অন্তিম শয়নে সাবেক ফার্স্ট লেডি ফার্স্ট জননী বারবারা বুশ

ঠিকানা ডেস্ক: হিউস্টনের সেন্ট মার্টিন এপিসকোপাল চার্চে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানাদি শেষে (১৯৮৯- ১৯৯৩) সাবেক ফার্স্ট লেডী, (১৯৮১-১৯৮৯) সাবেক সেকেন্ড লেডী এবং (২০০০-২০০৮) সাবেক ফার্স্ট জননী বারবারা বুশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ বুশ, পুত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও গভর্নর জেব বুশ, কন্যা ডরোথী বুশ কচ, নীল বুশ, রবিন বুশ, মার্বিন বুশসহ পারিবারিক সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেড় সহ¯্রাধিক শোকার্ত জনতা অংশ গ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানাদি শেষে জর্জ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরীতে বারবারা বুশের মরদেহ সমাহিত করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানের প্রথম সারির হুইলচেয়ারে উপবিষ্ট ছিলেন সদ্য প্রয়াত বারবারার ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী আমেরিকার ৪১তম সাবেক প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ। আরও উপস্থিত ছিলেন বারবারার জ্যেষ্ঠ পুত্র জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ, উচ্চ প্রশংসাসূচক বক্তব্য রাখেন বারবারার ছোট পুত্র ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ এবং প্রেসিডেন্সিয়াল ইতিহাসবিদ জন ম্যাকাম। আমেরিকার ইতিহাসে দাম্পত্য জীবনের বিচারে জর্জ বুশ এবং বারবারার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ স্থায়ী এবং সুদীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে তিনি ২ পুত্র ও ৪ কন্যা জন্ম দিয়েছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি এবং রোসালিন কার্টারের দাম্পত্য জীবনের স্থায়িত্ব ছিল ৭১ বছর এবং জন ও আবিগালি এডামসের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল ৫৪ বছর স্থায়ী। বারবারা বুশের মত আবিগালিও সাবেক ফার্স্ট লেডী এবং ফার্স্ট মাদার ছিলেন। বারবারার স্বামী সিনিয়র বুশ আমেরিকার সর্বাপেক্ষা বয়সী প্রেসিডেন্টদের অন্যতম। গত বছরের নভেম্বর মাসে ৯৩ বছর ১৬৫ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড। বারাবারা বুশ ১৯২৫ সালের ৬ জুন নিউইয়র্কের প্রেসবাইটেরিয়ান/ কুইন্সে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪১ সালে ১৬ বছর বয়সে কানেকটিকাটের গ্রীনউইচের ক্রিসমাস ড্যান্সে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের সাথে বারবারার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ সময় সাউথ ক্যারোলিনার স্কুল ছাত্র জর্জের বয়স ছিল ১৭ বছর। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই পরবর্তীতে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।