ঠিকানা অনলাইন : কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে গত তিন দিন আগে অপহরণের শিকার সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহিয়ানের (৭) লাশ পেকুয়া উপজেলার ওঝানটিয়ার ডেউয়াখালীর চিংড়ি ঘের থেকে উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানার পুলিশ।
৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল তিনটায় উজানটিয়া ডেউয়াখালী মাছের ঘেরে স্থানীয় জেলেরা শিশু মাহিয়ার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম পেকুয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করে।
সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর সকালে প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে যায় মাহিয়ান। কিন্তু বিদ্যালয় ছুটি হলেও মাহিয়ান ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পিতা-মাতা। পরে জানা যায়, নিহত শিশুটির বড় চাচার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও তার সাথের কয়েকজন মিলে শিশু মাহিয়ানকে অপহরণ করে।
পরদিন মাহিয়ানের পিতা আয়াত উল্লাহ বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি অপহরণের জিডি করেন। পরে নিহতের পিতা আয়াত উল্লাহর কাছে একটি মোবাইল ফোন থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। এ ঘটনা থানা পুলিশকে অবগত করলে পর্যালোচনা করে নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মহেশখালী থানার পুলিশ। তদন্তে নামে পুলিশ। মুক্তিপণ চাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সন্দেহভাজন একজন পুরুষ ও দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
নিহত শিশুর পিতা আয়াত উল্লাহ বলেন, আমার মেয়েকে গত ৩০ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে নিয়ে যায় একটি চক্র। পরে অপহরণকারীরা একটি নম্বর থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। আমি বিষয়টি পুলিশকে অবগত করি। তার পরও আমার মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি। আমার শিশুকন্যাকে অপহরণকারীরা মেরে ফেলেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, মাতারবাড়ি থেকে অপহৃত এক শিশুর লাশ পেকুয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ শুরু থেকেই অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান চালিয়ে আসছে।
ঠিকানা/এনআই