ঠিকানা অনলাইন : রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ায় গণভোট শুরু হয়েছে বলে আজ শুক্রবার ওই চার অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জানিয়েছেন।
শুরু থেকেই ওই গণভোটের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পশ্চিমাবিশ্ব ও ইউক্রেন। ওই গণভোটকে কোনো আইনি পরিণতি ছাড়াই একটি ‘ধোঁকাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করেছে আসছে তারা।
বিশেষ করে দোনেৎস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বিশাল অংশ এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে রয়েছে। কিয়েভ অধিকৃত অঞ্চলের জনগণকে এই গণভোট প্রক্রিয়া বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই ভোটকে স্বাগত জানিয়ে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের পিপলস কাউন্সিলের প্রধান ভ্লাদিমির বিদিওভকা টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গণভোট শুরু হয়েছে। এই গণভোট আমাদের দেশের ন্যায্য গতিপথ পুনরুদ্ধার করার জন্য, আমাদের বাসভূমিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, আমাদের ঐতিহাসিক মাতৃভূমি – রাশিয়ার অংশ হিসেবে দোনবাসের মর্যাদাকে সুসংহত করার জন্যই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে এই কথিত ভোটের আয়োজন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত নেতারা ভোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এটি পশ্চিমাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
তবে এই গণভোট প্রত্যাখ্যান করছে ইউক্রেন। এই ভোটের ফলকে কখনই তারা স্বীকৃতি দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়া-সমর্থিতরা ২৩-২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার) লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া প্রদেশে গণভোটের ঘোষণা করে, যা ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ ভূখণ্ড বা হাঙ্গেরির আয়তনের সমান এলাকা।
ঠিকানা/এসআর