অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সবারই কাম্য

গত নির্বাচন হয়ে গেছে প্রায় পাঁচ বছর আগে। আরেকটি নির্বাচন আসন্ন। এ বছরের শেষে না হলেও ২০২৪-এর শুরুতেই জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন যখন সবার দৃষ্টিই আসন্ন নির্বাচনের দিকে, তখন এখনো কেউ কেউ গত নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। তবে কিছু মানুষ এ নিয়ে যেসব কথা বলছেন, তার একটা উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। অবশ্য এ নিয়ে যখন বাইরের কোনো দেশ বা কোনো দেশের কোনো কোনো সংস্থা কিছু বলে, তখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন জাগে বৈকি।

ঠিকানার গত ২২ মার্চ সংখ্যা পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম ‘বাংলাদেশে গত সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি : যুক্তরাষ্ট্র’। যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে ২০২২ সালে মানবাধিকার যেমন চর্চা হয়েছে, সেই রিপোর্টে তা প্রকাশ পেয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হয়নি। এই নির্বাচনে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরানো, বিরোধী দলের প্রার্থীদের এজেন্ট এবং ভোটারদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়মের খবরে পর্যবেক্ষকেরা এ ধারণা পোষণ করেন।’
যেকোনো দেশ, ব্যক্তি, সংস্থা যেকোনো ধারণা পোষণ করতেই পারেন। ধারণা এবং বাস্তবতা এক নয়।

এ ছাড়া অতীতের পোস্টমর্টেম না করে ভবিষ্যতে একটি মুক্ত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণই সবাই কামনা করে এবং সেটাই হবে কাজের কাজ। এবার নির্বাচন কমিশন এবং সরকারপ্রধান থেকে সরকারি দল যেভাবে কথা বলছেন এবং অঙ্গীকার করছেন, তা বিশ্বাস করা যেতে পারেÑএমনটা ভাবা দোষের কিছু হবে না। আর অতীত কখনো ফিরে আসে না। বরং অতীতের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে পারলেই বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। আমাদের প্রত্যাশা কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সেদিকে সবাই দৃষ্টি রাখবেন। যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার থাকে, তা নেবেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে। আমরা সবাই চাই সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিতর্কমুক্ত একটা সাধারণ নির্বাচন। অংশীজন এবং পর্যবেক্ষক গ্রুপ সবাই তর্কহীন একটা নির্বাচন উপহার দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।