মাহমুদ রেজা চৌধুরী
সাম্রাজ্যবাদের এক প্রকার পরিপূরক হিসেবেও বলা যায় যে, নতুন উপনিবেশবাদ বা নতুন সাম্রাজ্যবাদ ধারণার জন্ম। সাম্রাজ্যবাদ চিন্তার সাথেই যুক্ত ঔপনিবেশবাদ এবং এর আত্মপ্রকাশ বিষয়টি। কার্ল মাকর্স ১৮৫৩-৫৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম “নিউইয়র্ক ডেইলি ট্রিবিউন” কাগজে ঔপনিবেশিক কাঠামো বিষয়ে তার একটি সুস্পষ্ট মতব্যক্ত করেছিলেন। মার্কসই প্রথম বলেন যে, উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোর কাঁচামালের উৎস ও জোগানের প্রধান কেন্দ্র বা স্থান ছিল ভারত ও চীনের মতো উপনিবেশগুলো এবং এই উপনিবেশগুলো পরিণতিতে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বশ্যতা স্বীকার করতে অনেকটাই বাধ্য হয়। ইংরেজরা ভারতবর্ষের মতো অনেক দেশ ও সমাজকে পদানত করে, তার রাজশক্তি চূর্ণ করে অর্থনৈতিক সম্পদকে লুট করে নিজেদের শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মার্কসর এই দর্শন বা দেখাকে বলিষ্ঠভাবে পরে প্রমাণ করলেন বলশেভিক বিপ্লবের অন্যতম নেতা লেনিন। লেনিন তার [email protected] (১৯১৬) গ্রন্থে বলেন, সাম্রাজ্যবাদ তার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি নির্মাণ করে অনুন্নত দেশগুলোর ভগ্নস্তূপের ওপর। তাই সাম্রাজ্যবাদের এই রাক্ষুসি গ্রাস থেকে মুক্তির পথ জাতীয় মুক্তি আন্দোলন।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিশ্বে রাজনীতির ক্ষেত্রেও এক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। মিত্র শক্তিগুলো ধীরে ধীরে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাতে অধিকারী হয়ে ওঠে। মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের মার্শাল (স্যার জন মার্শাল) পরিকল্পনার সাহায্যে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো যেমন- ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং পশ্চিম জার্মানি তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় রাজনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে। ফলে অন্য প্রান্তে এক রকম অসম প্রতিযোগিতার বাজার ও প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে। নূতন উপনিবেশবাদ হচ্ছে, সাবেক সাম্রাজ্যবাদী রাজনৈতিক পরিকল্পনার এবং মতাদর্শের এক প্রকার পরিমার্জিত ও পরিশোধিত রূপ।
বর্তমানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং কোথাও কোথাও ইউরোপীয় অনেক দেশের ওপর তাদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভুত্বকে সুদৃঢ় করতেও সক্ষম হয়েছে। অনেকের মতে মার্কিনদের ইরাক ও কসোভোর ওপর আক্রমণ, অধূনালুপ্ত সোভিয়েত রাষ্ট্রের অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, ইথিওপিয়া এবং সদ্য সিরিয়ার অনুগত শাসকগোষ্ঠীর প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা, ব্রিটেনের এক সময় ফক্্ লেন্ড দ্বীপপুঞ্জের ওপর সরাসরি আঘাত নতুন উপনিবেশবাদী নীতির নির্দশন। এই উপনিবেশবাদের আর্থ রাজনৈতিক দর্শন, ব্যক্তি এবং বড় বড় সামাজিক নানা প্রতিষ্ঠান এবং গোষ্ঠীদের মধ্যেও বিরাজ করে। এই বৈষম্য এবং সে ক্ষেত্রে কেবল যে উন্নয়নগামী বা দুর্বল অর্থনীতির রাষ্ট্র এবং সমাজই আক্রান্ত হয় তা নয়।
উপনিবেশবাদী দর্শন, অর্থনীতি এবং এসবের সাংস্কৃতিক আচার ব্যবহারেও ‘উন্নত’ দেশ-ও যে বাইরে বলা কঠিন। বুর্জোয়া অর্থনীতিতে ‘পুঁজি’র ভূমিকা যে কত ব্যাপক এবং এই পুঁজিকে দিয়ে ব্যক্তিগত অপরাধ, সামাজিক অপরাধ এবং অনৈতিকতাকেও যে ঢেকে রাখা সম্ভব- সেটা কাউকেই বানান করে বলে দেয়া প্রয়োজন নাই।
অভিবাসীদের যাপিত জীবন যাপনেও এর দৃষ্টান্ত আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কথিত উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থাতে। এখানে ছোট্টো করে একটা কথা বললে হয়ত ভুল বলা হবে না। ‘উন্নতি’ বলতে এখন যা কেবল ইতিবাচক পরিবর্তন তাকেই বোঝায় না। ডিকশেনারি বলে ডেভলমেন্ট হচ্ছে, A stage of growth or advancement. এটুকুরও বিভিন্ন তর্ক-বির্তক আছে কারণ উন্নয়ন কথাটি সাম্প্রতিক বিশ্বে পুঁজিবাদী ভাবনার অন্তর্গত তত্ত্ব। এখানে উন্নতি বলতে অসম প্রতিযোগিতা, শোষণ, ঠকানো এবং দুর্বলের উপর পীড়ন বা অত্যাচার বহু ক্ষেত্রেই বাস্তবতা। যেমন এটা মার্কিন মুল্লুকে তেমনি সোনার বাংলাদেশেও।
সামাজিক উপনিবেশবাদ। এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্মগত নাগরিক এবং অভিবাসীরাও। শুধু রাষ্ট্র উপনিবেশবাদী চরিত্রের হয় না। ব্যক্তিগত গোষ্ঠী, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ভেতরও বহু ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যেমন নাগরিকদের শোষণ করে- তেমনি এরা করে এদের কর্মজীবী শ্রমিক এবং সহকর্মীদের ওপর। যা একাধারে অমানবিক এবং অনৈতিক।
কথা হচ্ছিল প্রতিবেশী এক মেক্সিকান পরিবারের কর্তার সাথে। অনেকটা উদাসীন মনে হচ্ছিল বেশ কিছুদিন থেকে। প্রশ্ন করলাম কি হয়েছে। আমতা, আমতা করে বলল ‘ফ্যামেলি প্রবলেম।’ ফ্যামেলি প্রবলেম বলাতে প্রশ্ন করিনি, কারণ বিষয়গুলো স্পর্শকাতর এবং ব্যক্তিগত। গতকালকে সে আমাকে বলল পরিচিত কোনো ল’ইয়ার আছে- কি না, তার দরকার। বললাম কি ধরনের ল’ইয়ার, তা ছাড়া এই দেশে তো ল’ইয়ারের অভাব নাই, যেমন অপরাধ বা ক্রাইমেরও অভাব নাই। সে এই দেশে আছে, বৈধভাবেই। তবে তার জানা শোনার গ-িতা সীমিত, তার উপর ভাষার সমস্যা দেখলেই তাকে হাই, হ্যালো বলি, ঠাট্টাও করি বলে মনে হয় আমার সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। ভদ্রলোক ইয়োলো ক্যাব চালায়। বয়সে যুবক। কত হবে বয়স, ৩০-৩৫’র বেশি না। ভদ্রলোকের বউ একটা হোটেলে কাজ করে, থাকে বড় বোনের সাথে। বড় বোন ডাক্তার।
লোকটা বলল ভাই আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। বিস্তারিত বলতে গিয়ে বলল এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন বোন দেশে, বাবা-মাকে নিয়ে আসতে গেছে। ওখানে সে রোড এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে। বোনের হাসবেন্ড একটুও সহযোগিতা করছে না। তাই সে বুঝতে পারছে না কি করবে। ঘটনাটি শুনে খারাপ লাগল। সাথে সাথে মনে হলো এটা এই দেশে নূতন কিছু না। লোকটার বউ কাজ করত একটা হোটেলের রুম সার্ভিস সেকশনে। ঐ হোটেলটাতেই কাজের সময় হোটেলের এক গেস্ট রুমে ডেকে জোর করে মেয়েটার সাথে অনৈতিক আচরণ করে। পরে বলেছে এই কথা সে কাউকে বললে তাকে এখানকার চাকরি থেকে বের করার ব্যবস্থা করবে এবং তার জীবনের উপরও হুমকি আসবে। তার বউ বাসায় এসে কিছুদিন অসুস্থ বলে কাজে যেতনা দেখে শঙ্কা বাড়ে। অনেক দিন প্রশ্ন করার পরে তার বউ সেদিন ঘটনা স্বামীকে জানায়। মেয়েটা নাকি এখন মানসিক দিকেও ভেঙে পড়েছে, লোকটার সামান্য আয় আর বউয়ের আয়ে সংসার চলে। ওদের একটা ছোট্টো মেয়ে আনিকা বয়স মাত্র দেড় বছর। যাই হোক, ওকে একটা ল’ইয়ারের নম্বর দিলাম, আমাদেরই বন্ধু, ও এসব কেস্ নেয়। ওকে বুঝাবার জন্য বললাম, আমেরিকাতে অনেক মেয়েদের প্রথম চাকরিই ওয়েট্রেস হিসাবে। জিজ্ঞেস করে কেন? এই দেশের টিনএজার অনেকেই সুন্দর হয় দেখতে, এ টুকুনই। লেখাপড়া করতে চায় না বা করে না, ভাবে রূপ আছে আর দরকার কি? এক সময় বাবা-মা যখন হাত- খরচ দেয় না তখনই কাজ নেয় হোটেল রেস্টুরেন্টে ওয়েট্রেস হিসেবে। সহজ কাজ লেখাপড়া তেমন লাগে না। শুধু ক্রেতাদের হাসি মুখে নানাভাবে আপ্যায়ন করা। টিনএজ এটা করতে না-ও করে না। এদের আয় খুবই সামান্য, ঘণ্টায় তিন, সাড়ে তিন ডলার; কিন্তু এদের বড় আয় ক্রেতা বা কাস্টমারদের টিপস থেকে হয়। সুযোগটা অনেক সময় অনেক কাস্টমাররা নেয়, ওদের মতোই এরাও টিনএজারই। এভাবে এইসব প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কিছু ব্যবস্থাপকরাও এইসব মেয়ের আর্থিক সমস্যার সুযোগ নেয় অহরহ। বিষয়গুলো গোপন থাকে উভয়ের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার্থে। যে কারণে যে পরিমাণ এমন অনৈতিক কাজ হয়, সেই পরিমাণ খবর আমরা পাই না, শুনিও না। পুঁজিবাদী অর্থনীতির অসম প্রতিযোগিতার বাজারে এটাও এক রকম বৈষম্য এবং ব্যক্তি উপনিবেশবাদী চরিত্র কারোর আর্থিক অসচ্ছলতাকে ব্যবহার করে ব্যক্তির সার্বভৌমত্বকে পণ্য করা। গেল সপ্তাহে স্থানীয় টিভি চ্যানেল এবিসির খ্যাতানামা ভাষ্যকার ডায়ান সয়ার কথিত বৈষম্য এবং অনৈতিক আচরণের বিষয় এক নিজস্ব প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিভিতে, ২০২০ অনুষ্ঠানে। যেখানে দেখানো হয়েছে হোটেল রেস্টুরেন্টেই এই দেশের অল্পবয়স্ক মেয়ে থেকে শুরু করে চল্লিশোর্ধ্ব বা অনূর্ধ্ব কর্মজীবী মহিলারা অনেকেই অহরহ ভিকটিম হয় পুঁজিবাদী অর্থনীতি এবং এর বাণিজ্যের খেসারত গুনতে। হোটেল সার্ভিস, পোস্টাল সার্ভিস, ‘ফেডেক্স’ রিটেইল সার্ভিস, টার্গেট রিটেল স্টোর, কোনো ক্ষেত্রেই মেয়ে বা মহিলা সহকর্মীরা নিরাপদ নয়। আমেরিকার অর্থনীতিতে অন্যতম শক্তিশালি অব কাঠামো বলে পরিচিত এখানকার ভারী ট্রাক ইন্ডাস্ট্রিতেও অনেক মহিলা সহযোগী এবং ট্রাকের চালকরা শিকার হন তাদের বস বা ট্রেনারের হাতে। নির্দিষ্ট আয়ের সংসার চালাতে গিয়ে বেশির ভাগ মেয়েরা নীরবে বিষয়টা চেপে যান, কেউ, কেউ সারা জীবন ভর এই কারণে ব্যক্তিগত হিনম্যনতার কারণে শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণাতেও জীবনযাপন করেন। জানামতে বাংলাদেশি অভিবাসীদেরও অনেকে এ রকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উন্নত দেশ বলে কথা, এই উন্নতির অর্থ আর্থিক সচ্ছলতা বা এর কঠিন জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার লড়াই। এই লড়াইকে পুঁজিবাদী অনৈতিক প্রসার এবং কিছু সমাজপতিদের ব্যক্তিগত উপনিবেশবাদী মনোভাব বললেও ভুল বলা হবে না। রাষ্ট্রের মতোই ব্যক্তিও এখন অপর কোন দুর্বল ব্যক্তিকে নিজের উপনিবেশ বা কলোনি মনে করে যা খুশি তাই করে। মানুষের এই আচরণবিধির সাথে রাষ্ট্রেরও রাজনৈতিক সাম্রাজ্যবাদী বা উপনিবেশবাদী মনোভাবেরও মিল আছে। উভয়ের অভিন্ন লক্ষ্য, জীবনকে নিয়ে আনন্দ করা, ভোগ করা। শক্তি হলো অর্থ পূঁজির প্রভাব এবং আধিপত্য ভাবনার চর্চা। বৈষম্যমূলক সমাজ কাঠামোতে অগ্রাধিকার শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি বা দল অপেক্ষাকৃত দুর্বল অথবা কারোর আর্থিক দীনতাকে পণ্য বানিয়ে জীবনের বিলাশ বাড়ায়।
বিশ্বের সর্বত্রই কম/বেশি যে অনৈতিকতা, নারী নির্যাতন এবং নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে পুরুষের ব্যবহার মূলত আধুনিক সাম্রাজ্যবাদ এবং উপনিবেশবাদী রাজনৈতিক অপ সংস্কৃতির দৃষ্টান্তই বলা যায় একে। উল্লেখ্য যে, এই প্রাচুর্য ও ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রেই নারী নির্যাতন এবং নারীর প্রতি অনৈতিক আচরণ বেশি হয়। সমাধান সমাজ ও রাষ্ট্রকে মানবিক মূল্যবোধের দর্শনে জাগ্রত রাখা। এক সময়ে রাষ্ট্র যেমন দুর্বল রাজনৈতিক এবং আর্থিক রাষ্ট্রগুলোর সম্পদ লুট করেছে এবং এখনও করে, একইভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠী লুট করে অন্য ব্যক্তি বা শ্রেণীর সম্পদ কোথাও তার দেহের রূপ, কোথাও বা অন্য কিছুর ক্ষণিক আকর্ষণ । সমাজের অসম প্রতিযোগিতা এবং সুযোগকে এরা ‘ব্যবহার’ যে করে এর অন্যতম এক কারণ সাম্রাজ্যবাদ এবং উপনিবেশবাদ এখন রাজনৈতিক শোষণই না এটা অনেক ব্যক্তির সংস্কৃতি এবং তাদের আচার আচরণের মধ্যেও ঢুকে গেছে।
আগামী ৫ মে’র বিশ্বের কোথাও কোথাও পালন বা স্মরন করা হবে এই শতাব্দীর অন্যতম সমাজ চিন্তাবিদ কার্ল মার্ক্সের ২০০তম জন্ম শতবার্ষিকী। মার্ক্স সব সময়ই ব্যক্তির পুঁজি এবং ব্যক্তিস্বতন্ত্রবাদের অবসান চেয়েছেন। একটি শ্রেণিহীন সমাজ ব্যবস্থা ছিল মার্ক্সের স্বপ্ন। কিন্তু সেই রকম সমাজ এখনও কল্পনায়, কিন্তু বাস্তবে না।
সা¤্রাজ্যবাদ মনোভাব এবং শ্রেণী বৈষম্য এবং শোষণ রাষ্ট্র সীমানা পেরিয়ে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মননে বিরাজ করছে। অভিবাসীর যাপিত জীবনে যে সুখ চোখের বাইরে দেখি এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে শ্রেণী শোষণ আর শ্রমিক/মালিক সম্পর্কে অসমতা।
মার্ক্সের ২০০ তম জন্ম শতবার্ষিকীতে কথাগুলো মনে পড়লো। মার্ক্সস নিজেও ছিলেন অভিবাসী, জন্মভূমি জার্মান থেকে বিতাড়িত। মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন বিলেতে। রাজনৈতিক কারণে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন ছিলো তাঁর।।
লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক।
১১ এপ্রিল, ২০১৮।
ই-মেইল: [email protected]