অভিবাসীর যাপিত জীবন (৩৩)

মাহমুদ রেজা চৌধুরী

রোজার একটা মাস শেষ হলো। শুরুতে মনে করেছিলাম রোজার মাসে নিয়মিত কলাম অভিবাসীর যাপিত জীবন লিখবো না, বা লিখতে পারবো না। কিন্তু আল্লাহ্র অশেষ রহমত, রোজার ভেতরও লিখতে পেরেছি। আসলে অনেকের মত আমারও মনে হয় রোজা পালন করা এবং এর মধ্যেও অন্যান্য কাজ সারবার ব্যাপারটা মূলত একটা মাইন্ড সেট এবং রোজার বিষয়ে বিশ্বাসটাই প্রধান। কেউ কেউ আমরা এ দেশে প্রতিদিনের নানা কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে রোজা কনটিনিউ করা কঠিন বলে ভাবি। হতেও পারে, আবার কারোর কাছে এটা কোন সমস্যাই না। এটাও বাস্তবতা। বাংলাদেশে একজন কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালক- ওনারাও অনেকেই রোজা করেন, রোজার মাসের ২৯ বা ৩০ দিন। উত্তর আমেরিকাতে এই সামারে রোজার সময়টা বেশ লম্বা, প্রায় ১৬/১৭ ঘণ্টা। কোনো কোনো স্টেটে আরো বেশি। এখানে মোটামুটি ভোর চারটায় সেহরির শেষ সময়, আর ইফতার হয় সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে আটটার দিকে। যারা প্রতিদিন অফিসে কাজে যান বা অন্য কোন ক্ষেত্রে, যেমন চিকিৎসক, সারাদিন হাসপাতালে প্রচ- ব্যস্ত থাকেন, রোজা রাখা তাদের অনেকের জন্য কঠিনও বটে। আসলে যে কোন সাধনাই তো কষ্টের, সাধনাতো সোফায় হেলান দিয়ে বা বিছানায় শুয়ে করা যায় না।
রোজাটা বিশ্বাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাধনার মাস। ত্যাগ এবং সহনশীলতা চর্চার প্রতিদিনের একটা রুটিনের মাস। সৃষ্টিকর্তা যদি আমাদের রোজাকে গ্রহণ করেন, তাহলে এর পুরস্কার মানুষকে দেবেন এবং দেন। এটা সম্পূর্ণ বিশ্বাস এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনম্র ভালবাসার সাথে যুক্ত একটা দর্শন।
রোজার উপকার বা সমস্যা কি- এ নিয়ে কোন তর্ক বা বিতর্কে যাবার কিছু নেই। কারণ এটা একেবারেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত জ্ঞান, দর্শনের এবং প্রশ্নহীন বিশ্বাসের বিষয়। তবে আমার রোজার দ্বারা অন্য ব্যক্তির বা সমাজের কারোর কোন রকম অকল্যাণ যেন না হয়। এটা যারা রোজাপালন করি বা করেন, তাদের দেখবার বিষয়ও। রোজার যে মৌলিক শিক্ষা বা প্রবাহ, সেটা সাধারণত ৩০ দিন পরে, অধিকাংশরাই মনে রাখি না। অনুসরণও করি না। এ ক্ষেত্রে ৩০ দিনের সাধনা বা সংযমের লক্ষ অর্থহীন হয়ে যায়। যদিও সেটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়। বস্তুবাদী জগত ও সংস্কৃতিতে ভাববাদ বা সুফিবাদ রক্ষা কঠিন, যারা এর অনুসারী তাদের পক্ষেও। এক্ষেত্রে মনে হয়, আসলে রোজার বিষয়টাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডিতে না দেখে ইসলাম এবং মুসলিম দর্শনের আওতায় এবং অন্যান্য এর নানা চর্চার মধ্যে দেখতে পারি।
কারণ, রোজাতো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভর একটি মাত্র। ইসলাম আসলে কি কেবলই একটি ধর্ম বিশ্বাস নাকি, সামাজিক বিভিন্ন মূল্যবোধ এবং আচরণের দিন-প্রতিদিনের সংস্কৃতির অংশও- ভাববার বিষয়ও বটে।
ইসলাম সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা, এ রকমের একটা শিরোনামে ভারতের ‘দেশ’ পত্রিকাতে একটা লেখা পড়েছি অনেক বছর আগে। লেখাটা ছিল ভারতের অন্যতম রাবিন্দ্রিক দার্শনিক এবং সমাজ গবেষক অম্লান দত্তের। সেখানে লেখক যা লিখেছেন, তার সারমর্ম ছিল “ইসলামে যে সাম্যবাদের কথা বলা হয় এবং সেটা যেভাবে ইসলামের অন্যতম মেসেঞ্জার মোহাম্মদ প্রচার এবং অনুসরণ করতেন, তার সাথে এরকম অন্যান্য মতবাদে যা বলা হয় বা আছে, এর একটা বড় পার্থক্য হলো, ইসলামের সাম্যবাদ এবং এর প্রচারক কেবল তা প্রচারই করেননি, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনযাপনে একই দর্শনকে অনুশীলন এবং অনুসরণও করে গেছেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। মানুষে মানুষে মোহাম্মদ কোন ভেদাভেদ করেননি। ধনী, দরিদ্র বা মনিব এবং ভৃত্যে কোন পার্থক্য করেননি, কাজেও নয়, চলনেও নয় এবং তাঁর আচার ব্যবহারেও নয়।”
ইসলামে জোর নয়, ভালবাসা। সমালোচনা নয়, আত্ম-সমালোচনা। উগ্রতা নয়, সহনশীলতা, চাপিয়ে দেয়া নয়, উব্দুদ্ধকরণ। এই ছিল মোহাম্মদের ধর্ম ইসলামের দর্শন এবং সেটা মোহাম্মদ (সঃ) তার কৈশোর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একই নিয়মে পালনও করেছেন।
ইসলামের একটি অর্থ শান্তি, সেই শান্তিকেই কেবল সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাখতে মোহাম্মদ (সঃ) চেষ্টা করেছেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং হিংসা প্রতিহিংসার উর্ধ্বে।
ইসলামের আরেকটি গুণ বা ধর্ম- কথায় এবং কাজে অভিন্ন থাকা। সমাজে ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে একে অন্যকে হেয় করা, সমালোচনা করা, হিংসা-প্রতিহিংসা ইসলাম দর্শনে নিষিদ্ধ। ইসলাম মনে করে ধর্ম যার যার বিশ্বাস, এখানে কোন প্রকার শক্তি বা অন্য কোন প্রভাব কিংবা জোর বল প্রয়োগ গ্রহণীয় নয়। ইসলামের সাথে অন্যান্য ধর্মের একটা বড় পার্থক্য, এ ধর্মে বিশ্বব্রহ্মা-ের সৃষ্টিকর্তা এক আল্লাহতে প্রশ্নহীন বিশ্বাস, তাঁর প্রেরিত সব গ্রন্থে বিশ্বাস এবং সে মতো নিজের জীবন পরিচালনা করার নির্দেশকে বিনা প্রশ্নে অনুসরণ করাতে। এ জন্যেই পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা “আল বাকারাতে” বলা আছে- এই গ্রন্থ তাদের, যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে। সুরা “বাকারা” পড়লে এবং সেটা জানলেই ইসলামের বাণী ও আদর্শের অনেক রহস্য এবং গুরুত্ব জানা যায়। পবিত্র কোরআন গ্রন্থ শুধু মুসলমানের নয়, কিন্তু এটা সমগ্র মানবজাতির এক পথ নির্দেশক।
ইসলামে ব্যক্তির বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নে ব্যক্তি স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। শুধুমাত্র সেই স্বাধীনতার চর্চা করতে চাইলে সেটা ইসলামের গণ্ডির বাইরে গিয়ে। আমরা যদি কোন কর্মক্ষেত্র বা কাজে যাই, সেখানে ড্রেস কোড যদি বলা হয়, এখানে সবাইকে কালো কোট আর সাদা শার্ট পড়তে হবে, আমরা প্রশ্ন করি না, কোটটা কালো কেন, ব্লু হলে কী হয়? এ প্রশ্ন অবশ্যই করতে পারি, কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট ড্রেসকোড ছাড়া থাকতে বা যেতে পারি না। একইভাবে আমরা যে যে ধর্মের হই না কেন, নির্দিষ্ট ধর্ম পালনও করবো, আবার এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জও করবো- দুটো এক সাথে হয় না। কোন ধর্মই কিন্তু গ্রোসারি দোকানের হাফ এন্ড হাফ মিল্ক কেনা-বেচা নয়। আমরা যে বিশ্বাসেরই অনুসারী হই না কেন, মানব কল্যাণের স্বার্থে সেখানে আমরা যা বিশ্বাস করি সেটা যদি পুরো অনুশীলন করি, তা হলেই কিন্তু সমাজের অধিকাংশ বিভ্রাট ও সংকটকে সমাধান করতে পারি। একজন হিন্দু হিন্দুই থাকি, একজন মুসলিম তাই থাকি, একইভাবে একজন খৃস্টান, ইহুদি বা সংশয়বাদী যাই হই, নিজ নিজ গন্ডিকে যেন অতিক্রম না করি। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। মোহাম্মদ (সা.) তার জীবনের শেষ ভাষণে কোথাও হে মুসলিম জাতি বলেননি, বলেছেন হে মানব জাতি। মোহাম্মদ (সা.) মানুষে মানুষে, শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ ভেদাভেদকে অন্যায় বলেছেন। এক্ষেত্রে নারী/পুরুষের অধিকারও সমান ঘোষণা করেছেন। আমরা তো অনেক পড়ি এবং শুনিও। মোহাম্মদ (সা.)-এর শেষ ভাষণ এবং ওনার মদিনা ঘোষণাটিও বিশেষ করে প্রত্যেক বিশ্বাসী মুসলিমদের জ্ঞাত থাকাটাও দরকার। পাশাপাশি যে কেউ এটা পড়ে দেখতে পারেন, ইসলামকে জানার জন্য।
কথাগুলি মনে আসলো, আমরা রোজাটাতেই ধার্মিক হয়ে যেন বাকিসময় অন্যরকম না হয়ে যাই। রমজান ইসলামি ক্যালেন্ডারের একটি মাত্র মাস, সব নয়। আর একটিকে নিয়েই নয়। সবকিছু নিয়েই ইসলাম বলতে ইসলামের আর যে চারটা দর্শন এবং নীতিমালা আছে, ইমান বা বিশ্বাস করা, এক আল্লাহকে বিনা প্রশ্নে। প্রতিদিন পাঁচবার নির্দেশিত নামাজ আদায় করা। সক্ষম হলে যাকাত দেয়া, বাৎসরিক জমানো সম্পদের শতকরা আড়াই ভাগ। সক্ষম হলে হজ্ব পালণ করা একবার। আর রমজান মাসে ৩০ দিন রোজা পালন বা রোজা রাখা।
সমানভাবে এর প্রত্যেকটা মাত্রাকে ইসলাম গুরুত্ব দেয়। একটা চেয়ারে যদি চারটা পা হয়। আর মাত্র একটা পা-শক্ত করে লাগাই, তাহলে কি তাকে বসানো যাবে? যাবে না। এর চার পাকেই সমানভাবে শক্ত করেই স্থাপন করতে হবে। ইসলামও একই রকম, এর পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিটাকে সামর্থ অনুযায়ী চর্চা করলেই রোজার মাস এবং এর সুফল প্রতিদিনের জীবনে অর্জন হতে পারার সম্ভাবনা থাকে।
নিউইয়র্কে হয়, যেমন এ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও রোজার মাসে ইফতারে কয়েক হাজার মানুষ একসাথে বসে ইফতার করে। কোথাও লোক সংখ্যা কমও হয়, নির্ভর করে স্থান বা এলাকার উপর। যেমন দুবাইয়ে সেট্রাল মসজিদ এলাকায় প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ একসাথে বসে ইফতার করে। নিউইয়র্কের জ্যামাইকা সেন্টার মসজিদে প্রতিদিন ৬-৭শ মানুষ ইফতার করেন। এতে প্রতিদিনের খরচ পড়ে তিন হাজার ডলার। এতে অনেকেই কন্ট্রিবিউট করেন। এই যে সবাইকে ইফতার শেয়ার করে খাওয়ানো- জাতি, ধর্ম, বর্ণ প্রশ্নের উর্ধ্বে, এটাই ইসলামের এক অনন্য বৈশিষ্ট্যও বটে। ইসলাম কি জানতে চাইলে অবশ্যই গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ভূগোল এবং ইতিহাস পড়া এবং জানা থাকাও জরুরি। বিজ্ঞানকে না জানলে ইসলামকে বোঝা অসম্ভব। ইসলামের বিকাশে কথিত আলেম সমাজের ভূমিকা সামান্য। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মূলত ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গের অনেকে। গোঁড়া বা রক্ষণশীলদের দ্বারা ইসলাম বিকশিত হয়েছে কম। এ রোজায় আমরা সব রকম গোড়ামির ঊর্ধ্বে নিজেদের রাখতে অনেকেই চেষ্টা করেছি এবং এটা লক্ষ্য রেখেই যেনো বাকি সময়ও চলি। অভিবাসী জীবনে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্র বা সুযোগ এবং এর পরিবেশ অফুরন্ত। এ বাস্তবতার সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের যার যার বিশ্বাস এবং ধর্ম ভাবনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের বারান্দাতে বন্দি করে না রাখি। ভালো কোন কিছুর চর্চা প্রতিদিন হলেই ভালোর মুখ দর্শন সম্ভব।
গেলো একটা মাস আমরা যেটুকু সহশীলতা, সাধনা, সহমর্মিতা এবং অনেক ক্ষেত্রে উদারতার চর্চা করেছি অনেকে, এই চর্চাটুকু দীর্ঘজীবী হোক। মানুষের জন্যই সব ধর্ম, ধর্মের জন্য কিন্তু কোন মানুষ নয়। সেই মনুষত্বের বিজয় সম্ভব, যার যার ধর্ম ও মতবিশ্বাসে কাউকেই ছোট বা উপেক্ষা না করা। পবিত্র রমজানের এটাও এক শিক্ষা। এটা সারা বছর অটুট থাকুক আমাদের মধ্যে, যারা রোজাকে বুঝে, জেনে অনুশীলন করি। যে কোন বিষয়, সেটা যাই হোক ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি চিকিৎসা বা বিশ্বাস- সেটার প্রতি জ্ঞানার্জনে নির্দিষ্ট বিষয়ে নানান প-িত, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সাহায্য নিই আমরা। রাজনীতি বুঝতে দেশ-বিদেশের রাজনীতি বিষয়ের গুরু বা গুণিজনদেরকে পড়ি। গান্ধি, নেহেরু, জিন্নাহ, আব্রাহাম লিঙ্কন- এমন অনেককে আমরা পড়ি। অর্থনীতি পড়তে বা বুঝতে আমরা কার্ল মাক্স, রিকার্ড বা স্মিথ পড়ি। সাহিত্য পড়তে বা বুঝতে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র পড়ি। একইভাবে ধর্ম বিষয়টা কী, সেটা পড়তেও এ বিষয়ে পড়াশুনার বিকল্প নেই। শুনে শুনে পড়া বা জানা নয়, নিজে থেকে বই বা গবেষণামূলক প-িতদের বই পড়া গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামকে জানতে হলেও এই বিশ্বাসের প্রতি নানা গবেষক, জ্ঞানী-গুণীজনদের লেখা পড়া দরকার। ইসলাম সংক্রান্ত চিন্তা-গবেষণা এবং জ্ঞানের বিকাশে যে কয়েকজন প-িত আছেন, যেমন বলা যায়- আল বিরুনি, আল ফারাবি, ইবনে বতুতা, ইবনে কাইয়ান, ইবনে সিনা, ওমর খৈয়ান, ইমাম গাজ্জালী ইবনে খালদুন প্রমুখ- এসব মনীষীর ইসলাম বিষয়ক চিন্তা, গবেষণা, আলোচনা, ব্যাখ্যা এবং তার বিশ্লেষণ না জানলে ইসলাম দর্শনের মৌলিক অনেক কিছু অজানা রয়ে যাবে। উল্লেখিত মনীষীরা কেবল একটি বিষয়ে যে পন্ডিত ছিলেন তা কিন্তু নয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের অশেষ অবদান এবং প্রত্যয়গুলি আজও ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। আমরা প্রাচীন যুগের প-িত সক্রেটিস, কনফুসিয়াস, এরিস্টটল, প্লেটো এখনও পড়ি, আমাদের আধুনিক চিন্তা ও মননের নানান বিকাশের জন্যে। এই নিয়মে ইসলামকে জানতে বা বুঝতে হলেও উল্লেখিত প-িতবর্গের চিন্তা-ভাবনা জানা প্রয়োজন।
রোজার মাসে আমরা সত্যকে জানার যে চেষ্টা করি, বোঝার যে চেষ্টা করি, সাধনা করি, এসবের গভীর তাৎপর্যকে বুঝতে ইসলামের মনীষীদের লেখা না পড়লে না বুঝবো ইসলামের গুরুত্ব, না বুঝবো এর আদর্শিক শিক্ষা কি সেটা। ইসলাম কেবল নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতের আনুষ্ঠানিকতা নয়, ইসলাম সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, রাজনীতি, অর্থনীতি, মানবিকতা- এককথায় মানুষের জীবনের একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং প্রতিদিনের চর্চা। এটা বোঝার মধ্যেই রমজান মাসের মহত্ত্ব বোঝার অবকাশ মেলে।
লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক।
২২ জুন, ২০১৮।