অমরত্ব কি হাতের মুঠোয়?

ফারুক আজম :

২০৪৫ সালের মধ্যে মৃত্যু ‘ঐচ্ছিক’ এবং বার্ধক্য ‘নিরাময়যোগ্য’ হবে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, বিজ্ঞানের গতি ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে অনাগতের দিকে। কাল যা কল্পনায় ছিল, অকল্পনীয় আজ তা দিব্য এবং নিত্য জীবনসঙ্গী। ইন্টারনেট, সেল ফোন, ফেস টাইম, জিপিএস, চালকবিহীন গাড়ি-কী দ্রুত এসব যান্ত্রিক বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে নিমেষে। একসময় দেখতাম, ‘Get Smart’ টিভি শোতে ডিটেকটিভ জুতোকে ফোন বানিয়ে ব্যবহার করছে। এখন অ্যাপল ঘড়িতে যে কেউ কথা বলতে পারে। ১৯৮২ সালের টিভি ড্রামা ‘Knight Rider’ শোতে KITT গাড়ি কথা বলছে এবং ডাকলে স্বচালিত হয়ে চলে আসছে মনিবের কাছে। একুশ শতকে সেই টেকনোলজি এখন টেসলা গাড়িতে। চীনা গবেষকেরা চুম্বক ব্যবহার করে রাস্তার ওপর ঘোরাফেরা করে এমন গাড়ি পরীক্ষা করছেন।
বিজ্ঞান আর কল্পনা একই ধারাতে গিয়ে এক জায়গায় মিলিত হয়। সেখানে কল্পনা বিজ্ঞানের চেয়ে দ্রুতগামী। মূলত বিজ্ঞানের শুরু কল্পনা দিয়ে এবং পরিণতি বাস্তবে।

বিজ্ঞানের এক চমকপ্রদ ও বিস্ময়কর ঘোষণা ‘Think Spain’ এর এক নিবন্ধে। মানুষ অমরত্ব পেতে পারে, কত দিন একজন বাঁচবে তা নির্ভর করছে নিজের ইচ্ছার ওপর। বিজ্ঞান বলবে, তোমার যে চোখ আছে তা বদলে দেব নতুন চোখ, তখন তোমার দৃষ্টি হবে আরও স্বচ্ছ এবং তীব্র, অন্ধকারে দেখতে পাবে, ‘জুম’ করতে পারবে লক্ষ্যে। শরীরের যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বদলে আরও দক্ষ করতে পারবে একজন ক্রীড়াবিদের, একজন সার্জনের। কমিক হিরো ‘সুপারম্যান’ এর ক্ষমতা পেতে পারে যে কেউ।
রে কুর্জউইল (Ray Kurzweil), গুগলের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর, একজন সুপরিচিত ভবিষ্যদ্বিদ, যিনি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য সুপরিচিত। অতি সম্প্রতি তিনি আবারও তার ভবিষ্যদ্বাণী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তথাকথিত প্রযুক্তিগত এককতা ২০৪৫ সালের মধ্যে ঘটবে। মানুষ যন্ত্র দ্বারা চালিত হবে।

Kurzweil বিশ্বাস করেন, এই মানব-মেশিন মেলডিংয়ের অংশ হিসেবে ২০৩০ এর মধ্যে ‘ন্যানোবট’গুলো আমাদের দেহে বাস করবে। আমাদের ধমনি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এই মাইক্রোস্কোপিক রোবটগুলো আমাদের সুস্থ রাখবে এবং আমাদের মস্তিষ্ককে ‘ক্লাউডে’ রাখা সম্ভব হবে।

আরেকজন ভবিষ্যদ্বাদী, ডেভ ইভান্স, সিলিকন ভ্যালি স্টিলথ স্টার্টআপ স্ট্রিংফাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিটিও, ফেব্রুয়ারিতে জেমস বেডসোলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কুর্জউইলের ন্যানোবট ধারণা সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা দিয়েছেন।

ইভান্স ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি মনে করেন, প্রযুক্তি ও জীববিজ্ঞানের এ ধরনের একীভূতকরণ মোটেও দূরবর্তী নয়। ‘Think Spain’ এ প্রকাশিতব্য নিবন্ধ “২০৪৫ সালের মধ্যে মৃত্যু ‘ঐচ্ছিক’ এবং বার্ধক্য ‘নিরাময়যোগ্য’ হবে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন।” যেন নিয়তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা।

বার্সেলোনায় তাদের নতুন বইয়ের উপস্থাপনার সময় দুজন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারের মতে, মাত্র ২৭ বছরের মধ্যে মৃত্যু ‘ঐচ্ছিক’ হবে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াটি ‘উল্টানো’ যাবে।

হোসে লুইস কর্ডেইরো, ভেনেজুয়েলায় স্প্যানিশ বাবা-মায়ের কাছে জন্ম এবং কেমব্রিজ (ইউকে) গণিতবিদ, ডেভিড উড, অপারেটিং সিস্টেম ‘সিম্বিয়ান’-এর প্রতিষ্ঠাতা, সম্প্রতি ‘দ্য ডেথ অফ ডেথ’ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন অমরত্ব একটি বাস্তব এবং বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা, যা অনেক আগে আসতে পারে, প্রাথমিকভাবে চিন্তা করার চেয়ে।
‘২০৪৫ সালের দিকে মানুষ কেবল দুর্ঘটনায় মারা যাবে, প্রাকৃতিক কারণ বা অসুস্থতার কারণে নয়,’ কর্ডেইরো ও উড বলেন, এটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ যে ‘বার্ধক্য’কে একটি ‘অসুখ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা শুরু করা, যাতে জনসাধারণের অর্থায়নে গবেষণা করা হয়। এর ‘নিরাময়’ প্রসারিত করতে পারে।

অন্যান্য নতুন জেনেটিক ম্যানিপুলেশন কৌশলগুলোর মধ্যে ন্যানো প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ, বার্সেলোনার ইকেস্ট্রিয়ান সার্কেলে উপস্থাপনাকালে প্রকৌশলীরা এ কথা জানান। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ‘খারাপ’ জিনকে সুস্থ জিনে পরিণত করা, শরীর থেকে মৃত কোষগুলোকে নির্মূল করা, ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো মেরামত করা, স্টেম সেল দিয়ে চিকিৎসা করা এবং 3D-তে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ‘প্রিন্ট করা’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কর্ডেইরো, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) আছেন, তার কথা তিনি ‘মৃত্যুহীন হওয়া বেছে নিয়েছেন’ এবং ৩০ বছরের মধ্যে তিনি আজকের চেয়ে ‘কম বয়সী’ হবেন!

বার্ধক্য হলো ডিএনএ ‘টেইলস’, যা ‘টেলোমেরেস’ নামে পরিচিত, ক্রোমোজোমে যার মধ্যে লাল রক্ত এবং যৌন কোষ ছাড়া প্রতিটি কোষে ২৩ জোড়া থাকেÑসেগুলো ছোট হয়ে যায় এবং বার্ধক্যের বিপরীত করা মানে ‘টেলোমেরেস’ দীর্ঘায়িত করা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টেলোমেরেস ক্ষতিগ্রস্ত এবং সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। একটি প্রক্রিয়া, যা শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্রুততর হয়Ñধূমপান, মদ্যপান এবং বায়ুদূষণ এমন উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে, যা টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য হ্রাস করে, এভাবে বার্ধক্য হয় ত্বরান্বিত।

কর্ডেইরো ও উড বিশ্বাস করেন, ১০ বছরের মধ্যে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগ নিরাময়যোগ্য হবে এবং গুগলের মতো বড় আন্তর্জাতিক করপোরেশনগুলো ‘মেডিসিনের ক্ষেত্রে প্রবেশ করবে’ কারণ তারা ‘বুঝতে শুরু করেছে যে বার্ধক্য নিরাময় সম্ভব’।
মাইক্রোসফট ইতিমধ্যেই একটি ক্রিওপ্রিজারভেশন সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে একজন বিজ্ঞানী এক দশকের মধ্যে ক্যানসার সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করছেন।

অমরত্বের অর্থ এই নয় যে এই গ্রহে প্রচণ্ড ভিড় বাড়বে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে এখনো প্রচুর জায়গা রয়েছে আরও মানুষের জন্য, এবং এই সময় বিগত দশক এবং বিগত শতাব্দীতে যত শিশু ছিল, এখন তা নেই। আর যদি নেহাতই প্রয়োজন পড়ে ‘তখন মহাকাশে বাস করা সম্ভব হবে’।

‘জাপানি ও কোরিয়ানরা, যদি তাদের বর্তমান প্রবণতা বজায় রাখে যে তারা খুবই কম সন্তান ধারণ করে, তাহলে তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে-দুই শতাব্দীর মধ্যে গ্রহে কোনো জাপানি বা কোরিয়ান মানুষ থাকবে না,’ কর্ডেইরো বলেছেন, ‘কিন্তু এই নতুন কৌশলগুলোর জন্য ধন্যবাদ, প্রকৃতপক্ষে জাপানি ও কোরিয়ান লোকেরা থাকবে, কারণ তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে এবং তরুণ থাকবে।’
অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসার খরচ সর্বশেষ স্মার্টফোনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল।
‘প্রথমে, এটি ব্যয়বহুল হবে, কিন্তু একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সঙ্গে দাম ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে, কারণ এটি এমন কিছু হবে, যা সবার উপকারে আসবে,’ কর্ডেইরো বলেছেন।
‘প্রযুক্তি, যখন এটি নতুন, দরিদ্র এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল, তবে এটি অবশেষে গণতান্ত্রিক এবং মূলধারায় পরিণত হয় এবং সস্তা হয়ে যায়।’

প্রকৌশলীরা বলছেন, তারা ইতিমধ্যে দুই বছর ধরে তাদের কৌশলগুলো ব্যবহার করছেনÑঅবৈধভাবে কিন্তু কলম্বিয়ায় যেখানে জেনেটিক ম্যানিপুলেশন কভার করার জন্য কম নিয়ম রয়েছে।
এলিজাবেথ প্যারিশ, তাদের প্রথম মানব রোগী, ‘বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো দেখতে শুরু করেছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এটি প্রতিরোধ করার জন্য কী করা যেতে পারে’।

তার চিকিৎসা ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এমনকি অবৈধ’, উড ব্যাখ্যা করেন, কিন্তু এই মুহূর্তে ভালো চলছে, কোনো প্রতিকূল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং তার রক্তে টেলোমেরেসের মাত্রা ‘আগের চেয়ে ২০ বছর ছোট’।
‘আমি চাই যে স্পেন এই প্রযুক্তির বিশ্বে একটি স্থান লাভ করুক এবং দেখায় যে আমরা পাগল নই, এটি শুধু যে লোকেরা এখনো তাদের সম্পর্কে জানে না,’ উড উপসংহারে বলেছিলেন।
‘দ্য ডেথ অফ ডেথ’ শেষ পর্যন্ত প্রথমে চারটি ভাষায় প্রকাশিত হবেÑস্প্যানিশ, ইংরেজি, পর্তুগিজ ও কোরিয়ান এবং এর বিক্রয় থেকে সমস্ত আয় লেখকদের গবেষণায় ফেরত দেওয়া হবে।
বিজ্ঞানের এমন বিস্ময়কর আবিষ্কার আপাতত অবিশ্বাস্য মনে হয়। কেবল দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা নয় কিন্তু তার সঙ্গে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ‘যৌবন’কে ধরে রাখাÑসেটি হবে অসাধ্য সাধন।

এ নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উত্থাপিত হবে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষ কি জয়ী হবে? শরীরে কৃত্রিম যন্ত্র দিলে কী রকম প্রতিক্রিয়া হবে? তাদের মতে, এখনো তারা তেমন বিরূপ কিছু পাননি। কেবল সামাজিক প্রতিক্রিয়া নয়, ধর্মীয় প্রতিক্রিয়ার প্রচণ্ড আঘাত আসবে। একজন মানুষের মৃত্যু কি মানুষ হাতে নিতে পারে? ভবিতব্য কোথায় যাবে? কেবল দুর্ঘটনায় মৃত্যু শুধু তাই থাকবে নিয়তির হাতে? এলন মাস্ক বলেন, তিনি চান তার মৃত্যু হোক ‘মঙ্গল গ্রহে’। মৃত্যুকে অতিক্রম করার, বার্ধক্য জয় করার জন্য প্রযুক্তি হন্যে হয়ে উঠেছে। করোনা অতিমারি আমাদের প্রচণ্ড ঘা দিয়ে জানিয়ে গেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহবাস করতে হবে মানুষের। সীমা অতিক্রম না করে, আরোপিত সভ্যতার লাগাম টেনে।

রে কুর্জউইলের অমরত্বের এই দর্শন, বৈজ্ঞানিক থিওরি যে সর্বজনগৃহীত, তা নয়। আমার অগ্রজ ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা শফিক চৌধুরী বলেন, ‘Ray Kurzweil-এর সাথে একটি আলোচনায়, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আমরা যদি আমাদের নিকটবর্তী অতীতের দিকে তাকাই, যেমন ১৪০০ ১৫০০ এবং ১৫০০-১৬০০ এর মধ্যে আবিষ্কারগুলো সীমিত ছিল। তখন মানুষ চাকা আবিষ্কার করেছিল, যা গাড়ি ও রথ নিয়ে আসে, আবির্ভাবের সাথে আরও বিকাশ ঘটেছিল। ১৭০০-১৮০০ সালে বাষ্প ইঞ্জিন ও যান্ত্রিক সুবিধা এবং ১৯০০ এর দশকে অ্যারোপ্লেন। এখন আমরা ক্রমবর্ধমান বক্ররেখার অ্যাসিম্পোটিক অংশে আছি, কোথায়, এক দশকে যা এক বছরে করা হয়েছে!

মহাকাশের অগ্রগতি আমাদের প্রচুর পরিমাণে পেট্রোলিয়াম উপজাতের পাশাপাশি বাড়িতে ব্যবহারের জন্য সাধারণত ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এবং সেরান মোড়ক দিয়েছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ করার জন্য এলন মাস্কের প্রতিশ্রুতি। চাঁদে যাওয়ার জন্য তাদের সুপার রকেট আর্টেমিস উৎক্ষেপণ করতে নাসার ব্যর্থতা হতাশাজনক!’ কিন্তু বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি কল্পনার দিগন্ত কেবল প্রসারিত করছে।

ডগলাস হফস্ট্যাডটার পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী জিইবির (GEB-গোডেল, এসথার ও বাখ) লেখক। তিনি Ray Kurzweil-এর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না, আগামী ২০-৩০ বছরে কী হবে? মানুষ কি সফটওয়্যার হিসেবে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের মধ্যে বিচরণ করবে? একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজনের তফাত কোথায় হবে? আর আমরা যদি সাইবার স্বর্গে থাকি, সেখান থেকে কি পতন হবে না? তিনি অমরত্বের এই ধারণা একদম উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বলছেন বিজ্ঞানীদের এ নিয়ে সিরিয়াসলি অনুসন্ধান করতে হবে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সম্পর্কে বলা হয়, এআই ‘তোমার চেয়ে তোমাকে বেশি জানে’। আমরা কী ভাবব তার আগেই সে বলে দিচ্ছে। ইসরাইলের ইতিহাসবিজ্ঞানী প্রফেসর নোয়া হারারা বলেন, একটা সময় আসছে, যখন পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে এইআই প্রযুক্তির দরুন।

সেই পুরোনো প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। বিজ্ঞান কি আশীর্বাদ না অভিশাপ? ‘দৃষ্টিপাত’ বইতে যাযাবর লিখছেন, ‘বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।’ আমরা কি সেদিকেই ধাবিত হচ্ছি? রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘আকাশ ভরা সূর্য-তারা বিশ্ব ভরা প্রাণ/ তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান/ জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধান, বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।’ এ যেন বিজ্ঞানের কথারই প্রতিধ্বনি।