অস্ট্রেলিয়ায় ব্রেনটনের বোনের বাড়িতে তল্লাশি

ঠিকানা ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার দুটি বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় ওই দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেনটন টেরেন্টের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে একাই এসব হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

বিবিসি জানায়, সন্দেহভাজন এই জঙ্গির বাড়ি সিডনির ৬০০ কিলোমিটার উত্তরে গ্রাফটন শহরে। সোমবার সকালে নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ গ্রাফটনের নিকটবর্তী স্যান্ডি বিচ ও লরেন্সের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ডানডিনে সম্প্রতি বসবাস করছিল ব্রেনটন।

নিউজিল্যান্ডের পুলিশের তদন্তে সহায়তা করতে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে। যে দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তার মধ্যে একটি টেরেন্টের বোনের বাড়ি বলে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা তার পরিবার তদন্তে সহযোগিতা করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ গ্রাফটনে টেরেন্ট পরিবারের দুই সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্বিচার এ হত্যাকা-ের ঘটনায় তারা ‘স্তম্ভিত’ হয়ে গেছেন। টেরেন্টের চাচা টেরি ফিটজেরাল্ড নাইন নিউজকে বলেন, ‘নিহত ও আহতদের জন্য এবং তাদের পরিবারগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা।’ ভয়াবহ এ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদার্ন একে দেশের ইতিহাসে ‘কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেন। দেশের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনও নিয়েছে তার সরকার। টেরেন্ট পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক এবং এসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও তার আছে। তার অতীত অপরাধের রেকর্ড নেই। সে নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বিভাগগুলোর নজরদারিতেও ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার দত্তন বলেন, গত তিন মাসে ৪৫ দিন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করেছিল ব্রেনটন।

এ দিকে ২০১৬ সালে শ্বেতাঙ্গ ব্রেনটন ইসরাইল ও গ্রিস সফর করেছিল বলে জানিয়েছে দেশ দুটি। ইসরাইলের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র সাবিনে হাদ্দাদ গত ১৮ মার্চ বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ব্রেনটন ৩ মাসের পর্যটন ভিসায় ইসরাইলে এসেছিল এবং ৯ দিন ছিল। এর বাইরে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে পারেননি তিনি। ওই বছরই ব্রেনটন গ্রিসেও সফর করেছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রেট ও সান্তোরিনি দ্বীপে ২০১৬ সালের মার্চে সফর করেছিল। ২০ মার্চ তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে গ্রিসে গিয়েছিল সে এবং কয়েকদিন অবস্থান করেছিল। গত বছরের ৯ থেকে ১৫ মার্চ বুলগেরিয়াও গিয়েছিল ব্রেনটন। এসব দেশ তার সফর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।