
ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্কের কংগ্রেসনাল প্রতিনিধিদলের ডেমোক্র্যাটরা বাইডেন প্রশাসনের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কাজের অনুমতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১২ মে আইন প্রণেতারা লিখেছেন, ‘আমরা আশ্রয়প্রার্থীদের কাজের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বিলম্ব কমানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। অনেক আশ্রয়প্রার্থী কাজ করতে এবং তাদের
নতুন কমিউনিটিতে ফিরে যেতে চান।’
বর্তমান অভিবাসন আইনের আওতায় আশ্রয়প্রার্থীরা তাদের আবেদন ১৮০ দিনের জন্য বিচারাধীন না হওয়া পর্যন্ত ওয়ার্ক পারমিট পান না।
নিউইয়র্কের কংগ্রেসনাল ডেমোক্র্যাটরা বাইডেন প্রশাসনকে দেশে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের প্যারোল জারি করার আহ্বান জানান। এর ফলে আইনিভাবে কাজ করার জন্য আশ্রয়প্রার্থীদের কমপক্ষে ১৫০ দিন অপেক্ষা করার সময়কালের অবসান ঘটবে।
এম্পায়ার স্টেটের ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসনাল প্রতিনিধি দলে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার, হাউস সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস এবং প্রতিনিধি আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের মতো জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
আইন প্রণেতাদের মতে, ১৮০ দিন অপেক্ষা করা আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যায় সুবিধা গ্রহণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং কমিউনিটি গোষ্ঠীগুলোর উপর অযাচিত চাপ দেয়। অথচ এই গোষ্ঠীগুলোই নতুন আগতদের তাদের নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
আইন প্রণেতারা লিখেছেন, ‘আগেভাগে ওয়ার্ক পারমিটের অনুমতি দিলে এনজিও এবং অন্যান্য কমিউনিটির গোষ্ঠীগুলোর উপর চাপ কমবে। এছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের আরও স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার ও তাদের আশ্রয়ের দাবির জন্য আইনি প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পাওয়ার সুযোগ প্রদান করবে।’
‘আশ্রয়-প্রার্থীরা চাকরি তৈরি, উদ্ভাবন জোরদার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। নিউইয়র্ক সিটিতে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরি ও চাকরির প্রশিক্ষণের জন্য হাজার হাজার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।’
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিবাসীদের আগমন হোয়াইট হাউসের সাথে বিরোধ তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাসযোগে টেক্সাস থেকে উত্তরে নিউইয়র্কেও এসেছেন।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস (ডেমোক্র্যাট) নতুন আগতদের জন্য তহবিল নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভিবাসন বিষয়ে শহরটিকে ‘ব্যর্থ’ করেছেন।
পলিটিকোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এরই অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পুনর্নির্বাচন ক্যাম্পেইন এই সপ্তাহে অ্যাডামসকে প্রতিনিধি হিসেবে বাদ দিয়েছে।
এই উত্তেজনার বেশিরভাগই আশ্রয়প্রার্থীদের আইনগতভাবে কাজ করার অক্ষমতা, অবৈধভাবে কাজ করতে কিংবা সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
আইন প্রণেতারা লিখেছেন, ‘অনুমোদন ছাড়া কাজ করা আশ্রয়প্রার্থীরা প্রায়ই শোষিত হন, ন্যূনতম মজুরির চেয়ে অনেক কম বেতন পান এবং বারবার মজুরি চুরি ও শ্রম অপব্যবহারের ঘটনার সম্মুখীন হন।
নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার পরিবর্তে আমরা তাদের একটি অস্থির অবস্থায় রাখি। এ অবস্থায় তারা জোগান চায় এবং তাদের নিজেদের জন্য তা প্রয়োজন। কিন্তু আইনত তা করতে বাধা দেয়া হয়।’