
ঠিকানা অনলাইন : শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৯ রান দরকার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সেই অবিশ্বাস্য কাজটিই করে দেখালেন রিংকু সিং। যশ দয়ালের শেষ পাঁচ বলে টানা পাঁচ ছয় মেরে সমীকরণটা মিলিয়ে দেন তিনি। ৯ এপ্রিল আহমেদাবাদে আইপিএলের ১৩তম ম্যাচ গুজরাট টাইটান্সের ২০৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে কলকাতা।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ১ রান দিয়ে রিংকুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। এরপর তার অবিশ্বাস্য পাঁচ ছয়। ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৪৮ রান করে মাঠ ছাড়েন রিংক। কলকাতা ৭ উইকেটে করে ২০৭ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিজয় শঙ্কর ও সাই সুদর্শনের ফিফটিতে ৪ উইকেটে ২০৪ রান করে গুজরাট টাইটান্স।
রিংকুর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বৃথা গেছে রশিদ খানের হ্যাটট্রিক। অনেক চেষ্টা করেও আফগান স্পিনারের দুর্দান্ত গুগলিটা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি শার্দুল ঠাকুর। মিডল স্টাম্প বরাবর থাকা বলটা লাগল প্যাডে। আম্পায়ার আঙুল তুলতে কালক্ষেপণ করেননি। তাতেই হ্যাটট্রিক রশিদ খানের।
ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম তিন বলেই তিন উইকেট গুজরাট টাইটান্স অধিনায়কের। আন্দ্রে রাসেলকে দিয়ে শুরু। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার মাত্র ১ রান করে রশিদের ঘূর্ণি জালে পড়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন বদলি ফিল্ডার শ্রীকর ভরতকে। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের আরেক ক্যারিবিয়ান সুনীল নারাইনও তালুবন্দী। পরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ডাক ঠাকুর।
আইপিএল ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক রশিদ খানের। এই মৌসুমেরও প্রথম। এ নিয়ে আইপিএলের ১৬ আসরে মোট হ্যাটট্রিক হলো ২২টি।
ঠিকানা/এনআই