আইরিশ রাজনীতিতে বাংলাদেশি মডেল প্রিয়তি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তিকে এবার আইরিশ রাজনীতিতে দেখা যাবে। আয়ারল্যান্ডের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়াতে ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ লাস্যময়ী মডেল।
ঢাকার ফার্মগেট এলাকার মেয়ে প্রিয়তির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। প্রায় ১৭ বছর আগে পড়ালেখা করতে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে পড়ালেখার ফাঁকে মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
২০১৪ সালে ‘মিজ আয়ারল্যান্ড’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব মিডিয়ার নজরে আসেন তিনি। ২০১৫ সালে ‘মিজ আর্থ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব নিজের করে নেন।

আয়ারল্যান্ডের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ফিনে গেলের সদস্য হিসেবে টুকটাক রাজনীতিক কার্যক্রম শুরুও করেছেন মিস আয়ারল্যান্ড খ্যাত প্রিয়তি। ‘বিল্ডিং এ রিপাবলিক অব অপরচুনিটি’ স্লোগান নিয়ে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সদস্য ও ইউরোপীয় সংসদে এর সদস্যের দিক দিয়ে ফিনে গেল আয়ারল্যান্ডের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।
প্রিয়তির লক্ষ্য ডাবলিনের রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করা। ইচ্ছে আছে ফিঙ্গেলের আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে লড়াই করার, হোক না সেটা ৭/৮ বছর পরেই- মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এভাবে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন প্রিয়তি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করেছি।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন না কেন? এর জবাবে প্রিয়তি বলেন, ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে অনেক বাধা মনে হয়েছে। কাউকে দোষারোপ না করে এক কথায় বলতে চাই সেখানে কানেক্টিভিটি ছাড়া রাজনীতি খুব একটা ত্বরান্বিত হয় না।
প্রিয়তি পেশায় একজন বৈমানিক। প্রায় ১৭ বছর আগে পড়াশোনার জন্য প্রিয়তি পাড়ি জমান আয়ারল্যান্ডে। ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল মডেলিং করার। পড়াশোনা করেছেন মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তারপর অর্গানাইজেশন ডেভেলপমেন্টের ওপর ডিপ্লোমা এবং ম্যানেজমেন্টে ব্যাচেলর ডিগ্রি।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই লাস্যময়ী ইতিমধ্যে আলোচিত হয়েছেন একজন ফ্যাশন আইকন, মিস আয়ারল্যান্ড, মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল এবং পরিশেষে একজন মিডিয়া কর্মী হিসেবেও। জড়িয়েছেন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড ও জনহিতকর ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও।
মডেলিং ও বিভিন্ন চ্যারিটি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ভালো লাগা থেকে। ইতোমধ্যে আয়ারল্যান্ডের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। হলিউডের সিনেমায়ও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। বলিউডের ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েও আলোচিত হয়েছেন প্রিয়তি।