আটলান্টিক সিটিতে প্রাণের আমেজে দুর্গোৎসব উদযাপিত

আটলান্টিক সিটি থেকে প্রতিনিধি : শারদোৎসবের বার্তা পেয়ে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটির প্রবাসী বাংগালি হিন্দুরা মেতে উঠেছিল দুর্গোৎসবের হরেক আয়োজনে।
আটলান্টিক সিটির ফ্লোরিডা এভিনিউর শ্রী শ্রী গীতা সংঘের উদ্যোগে গত ৫ অক্টোবর সোমবার থেকে ১৯ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত তিথিমতে দুর্গাপূজার যাবতীয় শাস্ত্রীয় কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা হয়। দুর্গোৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল পূজার্চনা, আরতি,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সভা, মহাপ্রসাদ বিতরণ ইত্যাদি।
পুরাণে দেবী দুর্গার আবির্ভাব তত্ত্বে বলা হয়েছে, সমাজের সব অশুভ শক্তির বিনাশে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব। ত্রেতাযুগে অসুরকূলের দাপটে সমগ্র মানব জাতি যখন উৎকণ্ঠিত তখন মানব কল্যাণে এই ধরাধামে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। তিনি পিতৃ আদেশে বনবাসে থাকাকালীন লঙ্কেশর রাবন তার স্ত্রী সীতাকে অপহরন করে লংকায় লুকিয়ে রাখেন।লংকাপুরী থেকে প্রিয়তমা স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহবান করেন। বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দেবী দুর্গাকে আহবান করায় এ পূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতেই শরৎকালে দুর্গাপূজার প্রচলন হয়।

সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস, অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী দুর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে সমাজ থেকে সব পাপ দূর হয়ে যাবে, সমাজে ফিরে আসবে শান্তি।
হিন্দুশাস্ত্রীয় পণ্ডিত এবং সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যলোকে আসেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে অর্থাৎ ফসল ও শস্যহানি। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নিলেন দোলায় (পালকি) চড়ে। যার ফল মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ, মহামারীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে ।
দুর্গাপূজার এই ক’টা দিন আটলান্টিক সিটির প্রবাসী হিন্দুরা মেতে ছিল অনাবিল আনন্দে। ‘আনন্দলোকের মঙ্গলালোকে অন্যরকম অনুভূতি আর ভিন্নতর ভালোবাসায় উদ্বেলিত হোক সকল প্রবাসী হিন্দুর মন-প্রাণ’- এই ছিল সবার অন্তরের কামনা।