জেবুন্নেছা জোৎস্না :
মুক্তির যুদ্ধ শেষে বিকেলে সময় হয় লাঞ্চ বক্সটা খোলারÑ
ভুলেই গিয়েছিলাম আছে কি আমার ক্ষুধা?
একজোড়া নির্মল চোখ?
শরতের মেঘে ভাসা আকাশ দেখার অবকাশ?
আচ্ছা, আজ কি বৃষ্টি হয়েছিল?
আকাশ কি মিটিয়েছিল পৃথিবীর তীব্র জলতৃষ্ণা?
তাইতো এখনো জমে আছে অবশিষ্ট কিছু পানিÑ
চড়ুইরা তাতে চটজলদি সেরে নেয় প্রাত্যহিক গোসল।
গোসলের আগে আজও চড়ুইগুলো কি অভ্যাসমতো
ঝগড়া-ভালোবাসায় মাতিয়ে রেখেছিল বাগানটা?
আজও কি সকাল হতেই বুড়ির দল মিউজিকের সাথে
নেচেছিল মৃদু কসরতের জুম্বা ড্যান্স?
তারপর বিকেল হতেই তরতাজা বুড়ো তরুণীরা
গালে গাঢ় রোজ আর কড়া লিপস্টিকে ফুরফুরে মনে
গেয়েছিল কি শেষ যৌবনের প্রশস্তি সংগীত?
আলো-আঁধারে আমার অবশ্য এসব জানার কথা নয়!
আর ভুল করে আমি অনেক কিছু বললেও, জানি তুমি
ভুল করে কিছু বলবে না এই অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো!
আর তাই তো, সবুজ ইউনিফর্মের স্লিম মাছির প্রজাতিটি
আমার নিঃসঙ্গ লাঞ্চ টেবিলে ইচ্ছুক হতে সঙ্গী!
আমাদের একই রঙের পোশাক,
আকৃতিতে ভিন্ন হলেও স্বভাব বোধ করি আমাদের একই!
আমরা শব্দের ফোনন আর আলোর ফোটন তরঙ্গে
ইথারীয় ভাষায় গল্প শুরু করি :
সে আমাকে বলে, আণ্ডার ওপর চাপ কমাও, মাছের কাঁটা খাও!
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে, মাছের কাঁটা খাওয়ার রেসিপি
এখন কেকা আপার রান্নার ভিডিওর চাইতে ইউটিউবে জনপ্রিয় বেশি!
বিড়াল প্রজাতির ভবিষ্যৎ খাবার সংকট চিত্রে
মিউমিউ লেজ নেড়ে চার পায়ে আমি মানুষ হেঁটে যেতে দেখি!
এমতাবস্থায়, উষ্ণ এপসম জলের বিলাসী মাছ হয়ে
আমি ক্রমশ শঙ্কিত ভাবনায় নিরাপত্তা খুঁজি!