ঠিকানা অনলাইন : ভারতের কর্ণাটকের একটি আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন এক দম্পতি ডিভোর্সের মামলার জন্য। এ সময় আদালতেই স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন স্বামী। স্ত্রীকে হত্যার পর তাদের শিশুসন্তানটিকে আক্রমণ করতে যান, তবে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে শিশুটিকে রক্ষা করে।
ভারতের কর্ণাটকে ১৩ আগস্ট শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে বসবাস না করায় স্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুজনেই। কিন্তু সেখানেই ঘটে গেল এমন ভয়ংকর ঘটনা।
স্বামী শিবকুমার (৩২) এবং স্ত্রী চৈত্র (২৮) এর মধ্যে বিবাদ মেটাতে হোল নরসিপুরে বসেছিল পারিবারিক আদালত। যেখানে বিচারকও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, এ সময় বিচারক তাদের কথাবার্তা শুনে পরবর্তী দিন-তারিখ ধার্য করেন।
এরপর দুজনের মধ্যে এক ঘণ্টা কথাবার্তা হয়। পরে স্ত্রী ওয়াশরুমে গেলে স্বামী একটি ধারালো ছুরি নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে তার গলা কেটে ফেলে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, তার গলা ছুরি দিয়ে এমনভাবে কাটা হয়েছে যে আররেকটু হলে বিচ্ছিন্নই হয়ে যেত। এ ঘটনার পর স্বামী শিবকুমারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে নিয়ে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতের মধ্যে সে কীভাবে ছুরি নিয়ে প্রবেশ করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আগেই শিবকুমারের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার জন্য একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং সেই সূত্রে স্বামী-স্ত্রীকে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘটে গেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। সূত্র : এনডিটিভি
ঠিকানা/এনআই