আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে ডিজিটাল মুদ্রা একটি চ্যালেঞ্জ?

কাজী রূহুল আমীন

একুশ শতাব্দী বিজ্ঞানের যুগ। একুশ শতাব্দী প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি এবং পৃথিবী একে অন্যের প্রতি সম্পর্ক যুক্ত। পৃথিবী ও প্রযুক্তি পরস্পর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি এখন মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও কাজকর্মের প্রতিদিনের নিত্যসঙ্গী এবং বাহন। বিজ্ঞানের যুগে প্রযুক্তি পৃথিবীকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে। কম্প্যুটার এবং সেলফোন ব্যতীত এখন জীবনকে ভাবা যায় না। প্রযুক্তি কি আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ, তা একমাত্র সময় বলে দিতে পারবে। তবে এই মুহূর্তে প্রযুক্তি ব্যতীত পৃথিবী এবং জীবন অচল, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রযুক্তি, পৃথিবী, জীবন, যেন ওতোপ্রতভাবে জড়িত।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ইত্যাদির জন্য ডিজিটাল মুদ্রা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক এমনটি যেন মনে হচ্ছে। ডলার, পাউন্ড, ইউরো, মুদ্রার স্থানে প্লাসটিক মানি অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ড ইতিমধ্যে স্থান করে নিয়েছে। ভিসা কিংবা মাস্টার কার্ড, গোটা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য। সঙ্গে ডলার, পাউন্ড, ইউরো, মুদ্রা ব্যতীত গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করা সম্ভব। কারণ, ক্রেডিট কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রীপের মাঝেই ইলেক্ট্রোনিক্যালি অর্থের পরিমাণ সন্নিবেশিত কিংবা সম্পৃক্ত করা আছে। তাই মুদ্রিত ডলার, পাউন্ড, ইউরো, মুদ্রার ইত্যাদি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল মুদ্রার পরীক্ষিত, প্রমাণিত, সফলতা, জন কল্যাণে কোন প্রতিষ্ঠিত রেকর্ড নেই। কাজেই প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো, মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে, শতাব্দী শতাব্দী ধরে। তাকে ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে অপসারণ করা কতটা বাস্তব ভিত্তিক সেটিও বিবেচনায় রয়েছে। কেননা, ইদানিং ভারতে ৩৯ বিলিয়ন ডলার আত্মসাত কিংবা বাংলাদেশে রিজার্ভ ব্যাংক লুট, এগুলি মূলত: ডিজিটাল চুরি!…
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ইত্যাদির মুদ্রামান নির্ণয় করার পেছনে তার মাপকাঠি হিসেবে সমপরিমাণ স্বর্ণ মুজুদ থাকে। প্রতিটি দেশে সরকার মুদ্রা মুদ্রণের এক্তিয়ার কিংবা অধিকার রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে অন্য দেশ দখল করে, দীর্ঘকাল যুদ্ধ-বিগ্রহের ফলে অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙে পড়ে। ঐ ভেঙে পড়া অর্থনীতি জোড়া দিতে গিয়ে সরকার অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপিয়ে ফেলে, যার পেছনে স্বর্ণ মজুদ থাকে না। এই অতিরিক্ত অর্থ ছাপানো মুদ্রাকে ফিয়াট কারেন্সী বলে। এতে মুদ্রা মান। অবমূল্যায়ন হয়। এই অতিরিক্ত ছাপানো মুদ্রার ভার কর হিসেবে জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়। জনগণের ভোগান্তির শেষ থাকে না। সরকারের ভুল সিন্ধান্ত এ জন্য দায়ী। সরকার ইচ্ছা করলেই অতিরিক্ত অর্থ মুদ্রণের ফলে ঋণের বোঝা দীর্ঘয়িত হতে থাকে। ঋণের ভারে দেশ ও জাতি জর্জরিত হয়। তাকে ভারসাম্য বজায় রাখতে বিকল্প হিসেবে বিটকয়েন এর কথা ভাবা হচ্ছে!…
বিট কয়েন, ক্রিপ্টো কারেন্সী কিংবা সাইবার কারেন্সী, ইত্যাদি এক কথায় ডিজিটাল কারেন্সী। বিটকয়েনের উদ্ভাবক পিসেডনিমাস সাটোসি নাকামেতো। তিনি জানুয়ারী ২, ২০০৯ সালে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যা টাইমস অব লন্ডন ছেপেছিল। নিবন্ধের নাম “Chancellor on brink of second bailout for banks” সেখানে তিনি বিটকয়েন এর সৃজনশীল অবকাঠামো ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। সেখানে তিনি বিটকয়েন এবং প্রচলিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবহারিক বিন্যাস এবং সরকারের প্রথাগত কর্মের পার্থক্য তুলে ধরেন।
বিট কয়েন সম্পর্কে নোবেল বিজয়ী সিলার বলেন, Bitcoin’s biggest proponents believe, and have believed from the day the peer to peer, digital currency, was hatched is that the invention could replace most of our financial institutions. That inculdes the dollar, the federal reserve, and the banking system.
ডিজিটাল মুদ্রার অন্ধকার দিক রয়েছে। ব্যাংক এবং জনগণের মাঝে বাহ্যিক লেন দেন রয়েছে। অর্থাৎ ডলার জমা দিচ্ছে কিংবা তুলছে অথবা ম্যানেজারের সাক্ষাৎ করছে। সুবিধা-অসুবিধার কথা সাক্ষাতে আলাপ করছে। ডিজিটাল কারেন্সীতে সেই ঐতিহাসিক বন্ধন বিচ্ছিন্ন। ডিজিটাল কারেন্সী একটি অদৃশ্য মুদ্রা। যাকে স্পর্শ করা যায় না। বাতাসের মতো। স্পর্শ করা যায় না কিন্তু তার উপস্থিতি অনুভব করা যায়। ডিজিটাল মুদ্রা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মুদ্রা নয়। কিন্তু তার প্রচ- কার্যকারিতা অনুভব করা যায়। ব্যাংক ও জনগণের মধ্যস্থতা করার জন্য সরকার রয়েছে। ডিজিটাল মুদ্রায় কোন মধ্যস্থতাকারী কিংবা তৃতীয় ব্যক্তি নেই। লাভ-ক্ষতির হিসাব বিটকয়েনের আস্তরণের মাঝে লুকিয়ে আছে।
অর্থনীতি যে নিয়ন্ত্রণ করবে, সে পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল কারেন্সী। ডিজিটাল কারেন্সীর আসল উদ্দেশ্য অর্থনীতি নিয়œত্রণ করা। এটি সরকার এবং ডিজিটাল কারেন্সীর মাঝে ক্ষমতার লড়াই। এটি অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করার লড়াই। এখানে একটি প্রসঙ্গ টেনে আনা যেতে পারে। সফট ওয়ারের জনক বিল গেইটস। তিনি সফটওয়ার প্রোগ্রাম এবং অপারেটিং সিস্টেম দুটোই নিয়ন্ত্রণ করতেন। ফলে তিনি অপ্রতিরোধ্য শক্তির একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। আদালত বিল গেইটসের অপারেটিং সিষ্টেম কেড়ে নেয়। ঠিক তেমনি, ডিজিটাল কারেন্সী ইতিমধ্যে একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে আবিভর্’ত হয়েছে। তারা ডিজিটাল কারেন্সীর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এবং সেই অভিষ্ঠ লক্ষ্যে তারা দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন ডিজিটাল কারেন্সীর উপরে কীভাবে নীতিমালা নির্ধারণ করবেন এবং কেমন করে করবেন, একটি সরকারের দায়িত্ব।
ফ্রোড্রিক হায়েক (অর্থনীতি) ১৯৭৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি সাইবার কারেন্সী সম্পর্কে বলেন, A system of private currencies would cure a variety of economic ills. It would rule out the popssibility of unexpected inflation, and smooth out bussiness cycle.
বিশ্ব জুড়ে ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ছাপতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। ডিজিটাল মুদ্রার সেই ব্যয় বহন করতে হয় না। বলা বাহুল্য স্কটল্যান্ড ১৭১৬-১৮৪৫ সাল পর্যন্ত প্রাইভেট কারেন্সী চালু করে। প্রতিযোগিতামূলক প্রাইভেট ব্যাংক কারেন্সী, মুদ্রা স্ফীতি রোধ করতে সক্ষম হয়। বরং এর ফলে মুদ্রা স্থিতিশীলতা বয়ে আনে। কানাডায় ১৯৩৫ সালের পূর্বে কোন সেন্ট্রাল ব্যাংক ছিল না। এবং অর্থনৈতিক মন্দাতে ব্যাংক ধসে যায়নি! মুদ্রার মূল উদ্দেশ্য ব্যাংক লেন-দেন। মুদ্রা স্ফীতি নয়, বরং পূঁজি বিনিয়োগে মুনাফা অর্জন নিশ্চিত করা।
ডিজিটাল মুদ্রা সেই মুনাফা অর্জনে সফল হয়েছে। তাই ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ডিজিটাল মুদ্রার বিভিন্ন মুনাফার একটি পরিসংখ্যান নি¤েœ প্রদত্ত হল :
উচ্চ পর্যায়ের ফেডারেল মানিটারী ইকোনমিকস এবং মহিলা চেয়ারম্যান জানেট ইয়েলেন।
নির্ভরযোগ্য ক্রিপ্টো কারেন্সী হিসেবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রার স্বীকৃতি বিশ্ব জুড়ে জনকল্যাণে অর্জন করতে হবে। যেমন : ডক্টর ইউনুসের মাইক্রো-ইকোনমি ১৯৩ দেশের মধ্যে প্রায় ১০০টি দেশে মাইক্রো-ইকোনমি জন কল্যাণে পৃথিবী জুড়ে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত হবার পর ডক্টর ইউনূসকে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। বলা বাহুল্য ডক্টর ইউনূসের মাইক্রো-ইকোনমি এখন ইউরোপের বহু বিশ্ব বিদ্যালয় পাঠ্য কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।
ক্রিপ্টো কারেন্সী বিনিয়োগের মুনাফা অর্জন একটি কথা। বিশ্ব স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে সেটি ভিন্ন কথা। তাই ডিজিটাল কারেন্সী নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে। রাজনীতিক, অর্থনীতিক, নীতিনির্ধারক, এনিয়ে গবেষণা, চর্চা, চিন্তা, করছেন। কেন না, একটি প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ইত্যাদি অপসারণ করে হুট করে ডিজিটাল মুদ্রাকে স্থান করে দেয়া যায় না। সমগ্র পৃথিবীতে, সব দেশে রিজার্ভ ব্যাংক কিংবা সেন্ট্রাল ব্যাংক মুদ্রার লেনদেন লেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সরকার মধ্যস্থত্বকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্রিপ্টো কারেন্সীল লেজার ক্রিপ্টেগ্রাপিক দায়িত্ব পালন করবে। অর্থাৎ ডিজিটাল কারেন্সীর নিয়ন্ত্রণ সরকার হারাতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক, সরকারি মধ্যস্থতার মুদ্রার লেজার পদ্ধতির সঙ্গে জনগণ পরিচিত। কিন্তু ডিজিটারা কারেন্সী ক্রিপ্টে গ্রাফিক কিভাবে অদৃশ্য মুদ্রার লেজার রক্ষণ করে, তার সঙ্গে সাধারণ জনগণ কিংবা সরকার পরিচিত নন। তার সঠিক অর্থের পরিমাণ কিংবা মুদ্রামান যাচাই করা সুকঠিন। ক্রীপ্টোগ্রাফিক লেজারের আস্তরণে ডাকা পড়ে আছে। এর সঠিক তথ্য কেবল দক্ষ, যোগ্য, পারদর্শী, প্রযুক্তিবীদরাই জানতে পারেন। সাধারণ জনগণ ও সরকারের স্বচ্ছ ধারণা এখনো গড়ে ওঠেনি বিশ্বব্যাপী। এর ফলে ডিজিটাল চুরি বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেতে পারে বৈকি!
ডিজিটাল মুদ্রার পক্ষে বিপক্ষে মতামত, ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে। রাজনীতিক, দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন : ডেমোক্র্যাট (কলণারাজে) প্রতিনিধি অর্থাৎ কংগ্রেসম্যান জেরড পলিস বলেন, What congress can and should do is protect consumers that use crypto-currencies in their every day life from being wnfairly taxed. কেউ কেউ মনে করেন, নীল্টো-কারেন্সী মূলত: পয়সা হাতিয়ে নেবার একটি সর্বোচ্চ পর্যায় প্রযুক্তিগত কৌশল! I don’t see bit coin as a credible competitor to the dollar in the united states of america- Neel kashkari, President federol reserve bank of Minneapolis.
It is not a stable source of store value, and it doesn’t constitute legal tender. I Would simply say that bitcoin at this time plays a very small role in the payment system. Janet Yeller.
When bit coin becomes a threat, they will take whatever action they need to suppress it-former federal Chairman Ben Bernanke.
তাহলে একথা সুস্পষ্ট প্রথাগত এবং প্রচলিত আন্তর্জাতকি মুদ্রার ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ইত্যাদির জন্য ডিজিটাল মুদ্রা একটি হুমকি স্বরূপ। সাইবার সিক্যু্িরটি থাকলে, সাইবার কারেন্সী থাকবে না কেন? অন্য কথায় সরকার মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাইবার কারেন্সী সরকারী মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তারা নিজস্ব মুদ্রা সাইবার কারেন্সী বাজারে দেখতে আগ্রহী। যিনি প্রচলিত মুদ্রা কিংবা সাইবার কারেন্সীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবেন, মুলত: তিনিই অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। এটি সরকারও ক্রিপ্টো কারেন্সীর মাঝে ক্ষমতার লড়াই। অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের লড়াই। সরকার ২০১৩ সালে বিটকয়েন ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ক্রীপ্টে কারেন্সীন অস্তিত্ব, উপস্থিতি, প্রভাব, অস্বীকার করার উপায় নেই। একদিন পৃথিবী প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছে। এখন প্রযুক্তি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ডিজিটাল কারেন্সীল যুগের উর্ধ্বে পথচলা। সাইবার কারেন্সীর অস্তিত্ব আছে। ডিজিটাল মুদ্রা এখন একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মুদ্রা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সে কথা বলাই বাহুল্য। ডিজিটাল কারেন্সী আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে কিনা, একমাত্র সময়ই বলে দিতে পারে। তবে একটি কথা সত্যি-ক্রীপ্টো করেন্সী স্থায়ী হলে, ডলারের ক্ষমতা খর্ব হতেই পারে!… আর এখানেই মার্কিন সরকার শংকিত, চিন্তিত, এবং বিচলিত এজন্য বিটকয়েন ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে আরো অনেক পুঁজি বিনিয়োগের জন্য মার্কিন নাগরিকদের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। এর নেপথ্যে রয়েছে সিলিকন ভ্যালির ইনার সার্কেলের গুটি কতক দক্ষ, যোগ্য পারদর্শী, অতি উঁচুমানের প্রযুক্তিবিদ!