বিশ্বচরাচর ডেস্ক : আফগানিস্তান নিয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়েছে। পাকিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় না দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।অন্যদিকে পাকিস্তান বলেছে, আফগানিস্তানের ভেতরে জঙ্গিদের যে সব নিরাপদ ঘাঁটি রয়েছে এবং তাদের আয়ের উৎস হিসেবে মাদকের যে ব্যবসা হচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আগে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ১৯ জানুয়ারি আফগানিস্তান ইস্যু ও মধ্য এশিয়ায় এর প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে এর সম্পর্ক এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সালিভান বলেছেন, পাকিস্তান যদি তার মাটিতে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দিতেই থাকে, তাহলে পাকিস্তানের সাথে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না। পাকিস্তানকে এটা বন্ধ করতে হবে এবং আফগান সংঘাত বন্ধে কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অ্যাম্বাসাডর মালিহা লোধি ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলকে বলেন, পাকিস্তানের মাটিকে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের নিরাপদ ঘাঁটি নেই। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বাইরে এ ধরনের ঘাঁটির যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা বাস্তবে যাচাই করে দেখা উচিত। লোধি বলেন, আফগানিস্তান ও তাদের সহযোগী বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অন্যদের দিকে আঙ্গুল না তুলে আফগানিস্তানের ভেতরের চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়া।যারা কল্পনা করছে আফগানিস্তানের বাইরে এ ধরনের সন্ত্রাসী অবস্থান রয়েছে, তাদের বাস্তবতা যাচাই করে দেখা উচিত।’ ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ মার্কিন সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর সিকিউরিটি কাউন্সিলে এ বাকযুদ্ধ হলো। মালিহা লোধি বলেন, ‘১৭ বছরের যুদ্ধে এটা জলের মতো পরিস্কার হয়ে গেছে যে যুদ্ধ চালিয়ে আফগান সরকার অথবা তালেবান কেউই জিততে পারবে না। কোন রাজনৈতিক ও কূটনীতিক প্রচেষ্টা ছাড়াই যে সামরিক তৎপরতা ও সেনা সমাগম করা হচ্ছে, তাতে সংঘাত আরও বাড়বে, এতে কোন সমাধান হবে না। আলোচনার কথা শুধু মুখে বলে, কার্যত তার উল্টাটা করলে কোন কাজ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইসাথে আমরা তালেবানদের প্রতি সংঘাত ছেড়ে আলোচনায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানাই।’ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবারুদ্দীনের অভিযোগেরও কড়া জবাব দেন লোধি। তিনি বলেন, সীমান্ত সংঘাত উসকে দেয়ার জন্য যারা পাকিস্তানি মানসিকতাকে অভিযোগ করছে, তাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত এবং নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করা উচিত। আমাদের দেশের প্রতি তাদের কি মানসিকতা, তাদের একজন গোয়েন্দা আমাদের দেশে ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে সেটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে। সাউথইস্ট মনিটর।
- বিজ্ঞাপন -