ঠিকানা রিপোর্ট : ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর বাংলাদেশি-আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে ম্যাজিকম্যান আখ্যায়িত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আবুবকর হানিপ ড. মোমেন নামে এক লাখ ডলারের নতুন স্কলারশিপের ঘোষণা দিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রিত সফরে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনের দুই বছর পর এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধি দেখে তিনি বলেন, আবুবকর হানিপ একটি সফলতার গল্পের নাম। যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচুনিটি বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনিও।
প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ২০২১ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব নেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। যার উদ্বোধন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দুই বছরের ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারো পেয়ে আবেগে আপ্লুত ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। অল্প সময়ের পথচলায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনে যেসব নতুন পালক যোগ হয়েছে, তিনি তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, তিনশ থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় পনেরো শ। এর মধ্যে ছয়শর মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। জুলাই থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। যোগ হবে নার্সি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্সসহ নতুন কিছু প্রোগ্রাম। বক্তৃতা শেষে ড. মোমেন নামে এক লাখ ডলার স্কলারশিপের ঘোষণা দেন আবুবকর হানিপ।
উদ্বোধনের পর অল্প সময়ের ব্যবধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আবারও পেয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাসা প্রকাশ করেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ, ডিরেক্টর অব স্কুল অব বিজনেস ড. মার্ক এল রবিনসন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাগণকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই সফরের জন্য তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মতবিনিময় সভার শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বাসাডর মোহাম্মদ ইমরানসহ আগত অতিথিদের হাতে উপহার তুলে দেন। যাওয়ার আগে আশ্বাস দিয়ে যান নতুন ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হলে তিনি আবারও আসবেন।