আমাদের ঠিকানা এবং অনুপ্রেরণা

ডা. বি এম আতিকুজ্জামান :

আমরা ভেসে আসা মানুষ। বৈশ্বিক মানুষ। থিতু হই এখানে-সেখানে। আমি বাংলাদেশ, আফ্রিকার নানা দেশ ঘুরে থিতু হয়েছিলাম নিউইয়র্কে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে।
বাংলাদেশ ছেড়ে এখানে থিতু হতে সময় লেগেছে। এ সময়টা সংগ্রামের সময়, বেড়ে ওঠার সময়, জীবনের পথ খুঁজে নেওয়ার সময়।
সে সময়ে হাতে এসেছিল ‘ঠিকানা’। আমেরিকার অধিবাসীদের ঠিকানা। ঠিকানা সে সময় ছিল সাপ্তাহিক পত্রিকা। বাংলাদেশের খবর, অধিবাসীদের অবিরাম সংগ্রামের খবর, সুখ-দুঃখের খবরের আবাস ছিল ঠিকানা।
কোথায় বাসা ভাড়া পাবেন, কোথায় বেবি লিটার পাবেন, কোথায় আছে বাঙালি ডাক্তার, গ্রোসারি বা দেশে টাকা পাঠানোর ঠিকানা, এমনকি পাত্র-পাত্রীর খবর।
আমি জ্যাকসন হাইটসে গিয়ে ঠিকানায় অনেক কিছুর ঠিকানা খুঁজে পেতাম।
শাহীন ভাই শুরু করেছিলেন এ অসাধারণ পত্রিকাটি। তিনি অভিবাসী সমাজের একজন দায়বদ্ধ মানুষ হিসেবে কাজটি করেছেন আর অনেকের মতো।
লাখ লাখ অভিবাসীকে তিনি এবং তার প্রকাশনার টিম সহায়তা করেছে। এ দেশে বাংলাদেশি অধিবাসী গড়ে তোলার পেছনে তাদের ভূমিকাকে স্বাগত জানাই।
এই দায়বদ্ধতা আমাদের পথ দেখিয়েছে আরো অনুকরণীয় কাজ করার। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি উৎসাহিত হয়েছি প্রথম থেকেই বাংলাদেশিদের সাহায্য করার জন্য।
ঠিকানার ৩৪তম বর্ষে পদার্পণের এ মাহেন্দ্রক্ষণে শাহীন ভাইসহ ঠিকানার সবাইকে শুভেচ্ছা।

লেখক : অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার সেন্টার অব ফ্লোরিডা, অরল্যান্ড, ফ্লোরিডা।