ঠিকানা রিপোর্ট : বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল এবং জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শারমিনা সিরাজ সোনিয়ার বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ বইছে গণমাধ্যম ও সামাজিব যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আবার কেউ তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি বাজে মন্তব্য করছেন। আর এই বাজে মন্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন, কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছেন শারমিনা সিরাজ সোনিয়া।
একান্ত আলাপচারিতায় শারমিনা সিরাজ সোনিয়া ঠিকানাকে বলেন, আমরা একে অন্যকে পছন্দ করে, ভাল লাগা থেকে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমাদের বিয়ে নিয়ে এত বাজে কথা কেন?
সোনিয়া বলেন, এস আই টুটুল তার সাবেক স্ত্রীকে তালাক দিতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন সংসার টিকিয়ে রাখতে। বরং সাবেক স্ত্রী তানিয়া আহমেদ এস আই টুটুলকে ডিভোর্স দিয়েছেন। তাও এক বছর আগের কথা। এরপর তিন মাস আগে নিউইয়র্কে এস আই টুটুলের সঙ্গে আমার পরিচয়। তবে ডিভোর্সের পরও তানিয়া আহমেদ টুটুলকে নানাভাবে হুমকি দিতেন, যাতে কাউকে বিয়ে করতে না পারেন। এস আই টুটুলকে তিনি টাকার মেশিন মনে করতেন। বিভিন্ন অজুহাতে নিজের জন্য এবং বান্ধবীদের শপিংয়ের জন্য টাকা নিতেন। এজন্য টুটুল বিভিন্ন সময় খুব মন খারাপ করতেন।
শারমিনা সিরাজ সোনিয়া বলেন, টুটুলের বড় ছেলে শ্রেয়সী আমাদের বিয়েতে খুব খুশী। সে বলেছে যে আমার বাবা এখন ভাল থাকবেন। তিনি বলেন, শ্রেয়সীর সঙ্গে আমার কথা হয়। সে আমাকে ভীষণ পছন্দ করেছে। এমনকী আমার ১২ বছরের ছেলে আলিফও টুটুলকে খুব পছন্দ করেছে। সে তাকে বাবা ডাকে। আমি অফিসে গেলে সে টুটুলের কাছেই থাকে। আমি এখন ছেলেকে বকতেও পারি না।
তিনি বলেন, আরটিভির বাংলার গায়েন উপস্থাপনা করতে গিয়ে টুটুলের সঙ্গে পরিচয়। আমাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেওযার পর ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিচয়ের ৯০ দিনের মাথায় দুই পরিবারের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়েছে।
সোনিয়া বলেন, এস আই টুটুলকে নিয়ে আমি বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই। সারা জীবন একসাথে থাকতে চাই। তানিয়ার সঙ্গে দাম্পত্য কলহে এস আই টুটুল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, টুটুল প্রায় গান ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে আমি তার প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসাবে কাজ শুরু করি। আবার তাকে মঞ্চে ফিরিয়ে এনেছি।
শারমিনা সোনিয়া বলেন, লোকে বলে টুটুল গ্রিনকার্ডের জন্য আমাকে বিয়ে করেছে। এটা ডাহা মিথ্যা। কারণ টুটুল দুই বছর আগেই গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। আমিও নাগরিক ১১ বছর আগে থেকে। এমনকী টুটুল তার সব সম্পত্তি তানিয়াকে লিখে দিয়েছেন। তানিয়া ও তার সন্তানরাও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড পেয়েছেন টুটুলের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমি খুব ভাগ্যবতী এস আই টুটুলের মত স্বামী পেয়েছি। বিভিন্ন সময় প্রতারিত হয়ে একা থেকেছি। তবুও বিয়ে করিনি। আল্লাহ আমাকে এককজন ভালো সঙ্গী দিয়েছেন। তাই সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, আপাতত টুটুল আমেরিকাতেই থাকবেন। এখানে মূলধারার মিডিয়াতে কাজ করবেন। প্রয়োজনে এখানে নতুন একটি ব্যান্ডদল গড়বেন।
উল্লেখ্য, সোনিয়া সিরাজের বাবার বাড়ি বরিশালে। নানা বাড়ি মানিকগঞ্জে। ২০০২ সালে সোনিয়া পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
আমাদের বিয়ে নিয়ে এত বাজে কথা কেন?
ঠিকানাকে সোনিয়া বললেন-