আমার পছন্দের একটি মূল্যবান গ্রন্থ ‘নির্বাচিত কলাম’

‘নির্বাচিত কলাম’

এবিএম সালেহ উদ্দীন :

একজন আত্মনিবেদিত লেখকের যেসব গুণ থাকা দরকার, শামসাদ হুসামের লেখা পড়লে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি যে একজন সৃষ্টিশীল লেখক, তা পরিষ্কারভাবে পরিস্ফুটিত হয়। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মুক্তমনা লেখক। ভাষা ও গদ্যশৈলীর যেসব কারুকাজ থাকা দরকার, তার লেখায় সেটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে। তার রচনার মাঝে পরিশুদ্ধ, লেখার স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিমা ও শব্দবুননের দক্ষতা ফুটে ওঠে।
তিনি চলমান জীবনের প্রবহমান স্বকীয়তার মধ্য দিয়ে যেভাবে মানুষকে দেখেছেন, তা অকপটে ব্যক্ত করতে পারেন। এটি সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যকর্মের জন্য অতীব জরুরি। মননশীল চৈতন্য ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে মানুষকে চেনার অভিজ্ঞান ও অন্বেষণস্পৃহায় সমকালীন এবং ঐতিহ্য-ভিসারি মানবছায়া সাহিত্যবোধের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।

লেখক ও কলামিস্ট শামসাদ হুসাম বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির ওপর সব সময় ওয়াকিবহাল। লেখালেখি ছাড়াও ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের’ তিনি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি।

অনেক দিন আগে ‘নির্বাচিত কলাম’ নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ তিনি আমাকে দিয়েছিলেন। কোনো বইয়ের অন্তর্নিহিত মর্ম বুঝতে হলে তার গভীরে প্রবেশ করতে হয়। গভীর একাগ্রতা ও একনিষ্ঠ মনোভাব নিয়ে বইটিকে জীবনের একটি সমূহ অস্তিত্ব মনে করে তাকে পাঠ করতে হয়। কেননা বই কিনে যেমন মানুষ দেউলিয়া হয় না, তেমনি বই পড়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়, বড় হয়, বিখ্যাত হয়। আমরা জানি, মহান আল্লাহর প্রথম নির্দেশনাই হচ্ছে ‘পড়ো’।

যার ভেতর পড়ার অভ্যাস থাকবে, সেই মূলত জ্ঞানী। নিজের অস্তিত্বের বিনির্মাণ, গৌরব ও আত্মমর্যাদার জন্য যত বেশি পড়া যাবে, ততই সমৃদ্ধ থেকে সুসমৃদ্ধ হওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে পিয়ারসনের বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে, ‘যে বই পড়ে না, তার মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জন্মে না।’
বই নানা প্রকারের। ধর্ম, দর্শন, গবেষণা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, জীবনীগ্রন্থ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই, জীবনোপন্যাস, ভ্রমণ, গল্প, উপন্যাস, শিশুতোষ, কবিতা ও গান, চিত্রকলা, নাটক, রহস্য-রোমাঞ্চ, ফিকশন, থ্রিলার কিংবা প্রেম-বিরহ ভালোবাসার রোমান্টিকতায় পূর্ণ অনেক লেখকের অন্তর্লোকের কালজয়ী ঐশ্বর্যধর্মী হৃদয়স্পর্শী বই।

লেখক শামসাদ হুসামের স্বনির্বাচিত অতি মূল্যবান গ্রন্থটির পাতায় পাতায় মানুষ, ঐতিহ্যবোধ, সাহিত্য-সংস্কৃতি, মননশীলতার উৎকর্ষিত চিন্তাবোধ ও সাহিত্যের নানাবিধ উজ্জ্বল তত্ত্বই প্রাধান্য পায়। ‘নির্বাচিত কলাম’ নামে সন্নিবেশিত হলেও লেখাগুলো অনেকটা প্রবন্ধের মতো। সাধারণত প্রবন্ধসাহিত্যে জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কোনো বিষয় সম্পর্কে লেখকের চিন্তাগ্রাহ্য তত্ত্বকে কেন্দ্র করে প্রবন্ধ গড়ে ওঠে।

শামসাদ হুসামের উল্লিখিত গ্রন্থটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রবন্ধের আদলে সাজানো। তার পরিশুদ্ধ কলামের বাইরেও অনেক বৈচিত্র্যময় লেখা আছে। উল্লিখিত বইটি পড়লেই উপলুব্ধ হয়। বইটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস, শিল্প-সাহিত্য, নারীমুক্তি ও নারীর অধিকার প্রসঙ্গে বিশ্লেষণধর্মী নানান বিষয়ের বহুদর্শী দৃষ্টিকোণের সুউজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়েছে। বইটিতে ‘রবীন্দ্র সাহিত্যের কলালক্ষ্মী’ নামে প্রথম লেখার যাত্রা শুরু।

শামসাদ হুসামের এই বইয়ে আকর্ষণীয়ভাবে রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে তিনটি ভিন্নধর্মী রচনা সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রথমটিতে রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ঐতিহ্য, আভিজাত্যবোধ, তার পরিবারের অন্য সদস্যদের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত মর্যাদা ও সম্মানবোধ সুচারুভাবে বর্ণিত হয়েছে। কবিগুরুর সাহিত্যজীবনের সূচনাকাল, বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সাহিত্যাদর্শের মৌলিক চরিত্র নির্ণীত, সিষ্ণিত ও অন্তর্নিহিত রহস্যকে উদঘাটন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে পরিবারের উজ্জ্বলতম সদস্যদের মধ্যে কবির বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবির সাহিত্যচরিত্রের বিরাট এলাকাজুড়ে থাকা ‘কাম্বরী দেবী’র অনন্তবিশ্রীমের কথাময়তার ছবির নির্মল বর্ণনা রয়েছে।

দ্বিতীয় প্রবন্ধে ‘মৃণালিনী দেবী : রবীন্দ্রসাহিত্যে উপেক্ষিতা এক নারী’ নামে দীর্ঘ আলোচনার সন্নিবেশ। অনেক সৌভাগ্যবান আমরা। সাহিত্যানুরাগের তীব্র টানে রবীন্দ্রনাথের ছায়ায় আমরা তার সাহিত্যের মায়ার পরশ খুঁজতে পারি।

শামসাদ হুসাম তার প্রচ্ছন্ন অনুভবের অকপট বর্ণনায় ঠাকুরবাড়ির স্পর্শকাতর উপেক্ষিত অধ্যায়ে ‘মৃণালিনী’র প্রতি অবহেলাজনিত ব্যবহারে দুঃখবোধ ও বেদনার কথা বিধৃত করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে তার স্ত্রীর স্থান হয়নি! তিনি যখন নানান জায়গায় ঘুরেছেন, কিন্তু কোথাও মৃণালিনীর স্থান হয়নি। বইয়ের ২১ পৃষ্ঠায় শামসাদ হুসাম লিখেছেন, কবির লেখা তার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে ৩৬টি চিঠি, যা তিনি খুব যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করেছিলেন-স্ত্রীর মৃত্যুর পরে ‘ভাইছুটি’ শিরোনামে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলেও সেখানে কবির কাছে লেখা মৃণালিনী দেবীর চিঠির কোনো স্থান হয়নি।

সাহিত্যের আকাশে মুক্তমনা ও আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ঘরের গৃহকোণ ছিল বেদনাত্মক ও অন্ধকারময়! ‘স্বামীর জৈবিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে মৃণালিনী দেবীকে বছরের পর বছর পেটে সন্তান ধারণ করতে গিয়ে শুধু শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তা-ই নয়, মানসিকভাবে জেরবার হয়েছে তার নিজস্ব ভুবনও। প্রায় আড়াই মাস আলো-বাতাসহীন ঘরে থেকে ১৯০২ সালের ২৩ নভেম্বর কবির স্ত্রী মৃণালিনী দেবী মাত্র ২৯ বছর বয়সে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪১ বছর।

গ্রন্থের তৃতীয় প্রবন্ধটি ‘রবীন্দ্রসাহিত্যের মৃত্যু’ শিরোনামে। এখানে কবির জন্ম, কৈশোর এবং ক্রমে ক্রমে বেড়ে ওঠার কথা। সাহিত্যের অত্যুজ্জ্বল আকাশে বয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কবিগুরুর ঐতিহ্যগাথা বিরাট পরিবারের জীবনালোকের আনন্দময়তার বিহ্বলতার চেয়ে দুঃখ-বেদনা বিষাদের নীহারিকায় বিচরণের কঠিনতম দিকগুলোর করুণ বর্ণনা রয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের অনেক বিষাদময় ঘটনাবলির কঠিনতম দহনের মধ্যেও তিনি সাহিত্যের বিশাল আকাশজুড়ে বিচরণ করছেন। কিন্তু বিশাল জমিদারবাড়ির কর্মচারীর কিশোরী কন্যাকে বিবাহের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের অবক্ষয়ী সমাজ আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠার সুযোগ পেল! কবির চিন্তারাজ্যে তখন জমিদারি রক্ষা ও সাহিত্যের বাতিক তাকে কি সত্যিই সমাজবিমুখ আচ্ছন্নতায় বেঁধে দিয়েছিল? নাহলে কীভাবে সাহিত্যের সুবিশাল মানবিকতার মধ্যেও তিনি তার অকালপ্রয়াত স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে অপরিণত বয়স থেকে বহু সন্তানের জননীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে গৃহকোণেই রেখে দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের ঔরসজাত দুই আদুরে কন্যাকে বাল্যবিবাহ দিয়েছিলেন! যার কিছুদিনের মধ্যেই মায়ের জীবদ্দশায় দুই কন্যার করুণ মৃত্যু ঘটেছিল। বিষাদের অন্ধকারে তার কিছুদিন পরই স্ত্রী মৃণালিনী দেবী মাত্র ২৯ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মহাপ্রয়াণে চলে যান। তারপর কবি পরিবার ও বংশে অনেকেরই করুণ মৃত্যু ঘটে। শামসাদ হুসামের লেখায় সেসব বেদনাত্মক কথাগুলো ব্যক্ত হয়েছে।

বইটিতে অন্যান্য লেখার মধ্যে : শ্রদ্ধাঞ্জলি : শামসুর রাহমান, দিলওয়ার : রক্তে যার অনাদি অস্থি, আমাদের দিলু ভাই, কমরেড, তোমাকে শেষ অভিবাদন, বাংলা সাহিত্যে প্রকৃতি ও প্রেম, বাংলা সাহিত্যে প্রকৃতি এবং ঋতুবৈচিত্র্য কবিতা ও গানে, বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়ন, কালের কপোল তলে একবিন্দু নয়নের জল, বিবাহ : আসলে খেয়েও পস্তায়-না খেয়েও পস্তায় কেউ কেউ, ভ্যান গগের নিউইয়র্ক সফর, সিয়ার্স টাওয়ার এবং বঙ্গীয় বদ্বীপের এক বাঙালি সন্তান, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রবাসী বাঙালি, বাঙালির বিশ্বজয় : প্রেক্ষাপট যুক্তরাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধে সিলেটি নেতৃত্ব, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সিলেটিদের ভূমিকা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং এক শহীদ পরিবার, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং ভাষা মতিন, ঈদ এবং প্রাসঙ্গিক, ভূপেন হাজারিকা এবং প্রসঙ্গ ভিন্নতর, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন এবং অতঃপর, হিরোশিমা দিবস : ফরগিভ বাট ডোন্ট ফরগেট, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন কংগ্রেসের আপত্তির মূলে ব্যবসায়িক স্বার্থ?, পর্যটন বর্ষ : এবং প্রসঙ্গ সুন্দরবন বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রকৃতির প্রতিশোধ, উই শ্যাল ওভারকাম, স্বাধীনতা দিবস এবং স্টাচু অব লিবার্টিসহ মোট ৪১টি প্রবন্ধ-নিবন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং এক শহীদ পরিবার’ লেখাটির মর্ম অত্যন্ত আবেগঘন, যা পড়লে শিউরে উঠতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার কর্তৃক গণহত্যা থেকে শুরু করে সমগ্র দেশব্যাপী নির্যাতন, অত্যাচারের কুৎসিত বীভৎসতার কলঙ্কের ইতিহাস সবার জানা। একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এপ্রিল মাসে সিলেট হাসপাতালের অভ্যন্তরে সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার শামসুদ্দিন আহমেদ এবং কর্তব্যরত সহকর্মী ডা. লালা, সেবক-সেবিকা এবং তার ড্রাইভারসহ বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক সহকর্মী পালিয়ে চলে গেলেও ডা. শামসুদ্দিন তখন হাসপাতালের কয়েকজন মুমূর্ষু রোগীকে ছেড়ে যাননি। তিনি সেই দুর্দিনে রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন। তিনি অসহায় রোগীদের ফেলে দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি করেননি। শামসাদ হুসাম তার লেখায় সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার বেদনাদায়ক বর্ণনা করেছেন।

শহীদ শামসুদ্দিনের প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী অধ্যাপিকা হুসনে আরা সেই কঠিন সময়ে সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। একই কলেজে তিনি ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তাদের তরুণ পুত্র জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক (বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট চিকিৎসক) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

‘বাংলা সাহিত্যে প্রকৃতি ও প্রেম’, বাংলা সাহিত্য এবং ঋতুবৈচিত্র্য কবিতা ও গানে,’ বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়ন,’ ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও ভাষা মতিন’ এবং আধুনিক কবিতার বরপুত্র শামসুর রাহমান ও কবি দিলওয়ারের সাহিত্যকর্ম নিয়ে অসাধারণ লিখেছেন মুক্তমনা ও প্রতিভাময়ী লেখক শামসাদ হুসাম। তার প্রতিটি লেখার প্রণোদন ও আন্তরিক প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসার্হ।
প্রতিটি বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে গেলে কলেবর বাড়বে। তবে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, তার প্রতিটি লেখার বর্ণনার ন্যায়নিষ্ঠ বিশ্লেষণধর্মী ও বিষয়ান্তরের গভীরে প্রবেশ করতে পারলে অবশ্যই পাঠক উপকৃত হবেন।

ঢাকার ‘সানজানা প্রিন্টার্স’ এবং ‘উৎস প্রকাশন’ থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটির চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন তৌহিন হাসান। ঝকঝকে ছাপার উন্নত কাগজ ও বাঁধাইয়ে বইটির মূল্য ৪০০ টাকা।

শিল্প-সাহিত্যে সুউজ্জ্বল প্রতিভার অধিকারী বহু গ্রন্থের প্রণেতা ও আমাদের অগ্রগণ্য মননশীল কথাকার শামসাদ হুসামের প্রতিটি সারদর্শী গ্রন্থের মতো এই ‘নির্বাচিত কলাম’ বইটির পাঠকপ্রিয়তা ও সমৃদ্ধি কামনা করি। তার প্রতিটি সাহিত্যকর্ম চিরায়ত সম্ভারের ফোটানো গোলাপের স্নিগ্ধতার ঔজ্জ্বল্যে পাঠক হোক আলোড়িত ও সমৃদ্ধ।