আ’লীগের ঐতিহাসিক ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে গত ২৩ জুন জ্যাকসন হাইটসের মেজবান রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অসুস্থতার কারণে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্যতম সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেনÑ সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, কোষাধ্যক্ষ মনজুর কামাল, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।


পবিত্র কোরান তেলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের মাগফেরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অসুস্থ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য অসুস্থ নেতা-কর্মীর আশু সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
সভায় আরো বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সোলেমান আলী, আশ্রাফুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মালেক, জয়নাল আবেদীন, শামসুল আবেদীন, আলী হোসেন গজনবী, এমএ আলম বিপ্লব, সাখাওয়াত বিশ্বাস, নূরুজ্জামান সর্দার, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, জাহিদ হাসান, কফিল চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া, আনিসুর রহমান, রহিমুজ্জামান সুমন, আব্দুর রশিদ, ইমতিয়াজ চৌধুরী, নূরে আলম বাবু, নার্গিস বিউটি, রফিকুল ইসলাম, নূরুন্নাহার গিনি, মিজান চৌধুরী, নান্টু মিয়া, সাহিদা পারভিন লিপি, খান শওকত প্রমুখ।
বক্তারা সবাই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন, পরবর্তী পর্যায়ে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ গঠন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গ্রহণ, বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদান, ৬ দফা পেশ এবং শেষ পর্যন্ত ’৭১-এ স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।


বক্তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাহস এবং দেশের ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বলেন, ৬৯ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের যতো উন্নয়ন, তাও বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধিত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বহাল রাখতে হবে। আর সেজন্য আগামী নির্বাচনে বিজয় অর্জনের স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। সভাপতির বক্তব্যের পর কেক কাটা হয়।