ঠিকানা রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের বাসায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ফায়ার ফাইটারসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মে শুক্রবার ভোর ৫টার সময় ৪০-৪৬ এলেমহার্স্টের কেইস স্ট্রিটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে বাংলাদেশী গোলাম সরোয়ার মৃত্যুবরণ করে এবং ২ জন বাংলাদেশীসহ ৭ জন ফায়ার ফাইটার আহত হন। ফায়ার ফাইটারের সদস্যরা বাড়ির এটিক থেকে গোলাম সরোয়ারের লাশ উদ্ধার করেন। ৩৯ বছর বয়সী গোলাম সরোয়ার ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন এবং রাতে কলেজে কাজ করতেন। পাভেল খান বলেন, সরোয়ারের মর্মান্তিক মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মর্মাহত। তিনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। সবার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিলো। তার কাজিন ওয়ালি উল্যাহ বলেন, আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না সরোয়ার নেই। গত ২৪ ঘন্টা ছিলো তার জন্য বিভীষিকাময়। ফায়ার ফাইটার সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন। আহত অপর ২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের এলেমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ১০০জন ফায়ারফাইটার বেশ কয়েক ঘন্টা প্রাণান্ত প্রচেষ্টার পর এই ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট চীফ ওয়েনি কার্টওয়েট বলেন, অগ্নিকান্ডের কারণে উপরে ওঠার সিঁডি পুড়ে যাওয়ায় আমাদের সদস্যরাও আহত হয়েছেন এবং উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়েছে। অথচ যারা আটকা পড়েছেন তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন । আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার ফাইটারগণ চলে যান এবং ওয়ালি উল্যাহ খুঁজতে থাকেন তার কাজিন গোলাম সরোয়ারকে। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সরোয়ারকে খুঁজে না পেয়ে তিনি আবারো স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যান এবং তার কাজিনকে খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করেন। প্রথমে পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিলেও ওয়ালির কান্না এবং অনুরোধে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আবার পরদিন ১২ মে বিকেল ৫টায় ঐ বাড়িতে যায় এবং ১ ঘন্টা তল্লাশী চালিয়ে সরোয়ারের লাশ উদ্ধার করেন ধ্বংস্তুপ থেকে।
বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাড়িতে কোন ফায়ার এলার্ম ছিলো না। বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের ইনেসপেক্টর জানান, বাড়িটি অবৈধভাবে দু ফ্যামিলিতে কনভার্ট করা হয়েছে। বেইসমেন্টে অবৈধভাবে অনেকগুলো রুম করা হয়েছে। বেসমেন্টের সব রুমই ভাড়া দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাড়িটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে এবং মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কনভার্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে টেলিফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।