ঠিকানা রিপোর্ট : যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে গত ৬ মার্চ (১৪ শাবান) রাতে ‘নিসফ মিন ক্যাবনে’ বা ‘শবে বরাত’ আল আমিন জামে মসজিদে উদযাপিত হয়েছে। দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল খতমে কোরান, শবে বরাতের তাৎপর্য আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ দোয়া, জিকির আছগার ও সেহেরি বস্টন। আল আমিন মসজিদে বাদ মাগরিব খতমে কোরানের মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরী মোনাজত পরিচালনা করেন। এর পরপরই আল আমিন মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় বিশেষ তেলাওয়াত। এতে প্রায় ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
মহান এ রাতের তাৎপর্য আলোচনা করেন হাফেজ মাওলানা লুৎফুর রহমান চৌধুরী। তিনি পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই মহিমান্বিত রাতের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বাদীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এ রাতে আল্লাহ্ সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন, কেবলমাত্র শিরককারী এবং হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে। এই মহিমান্বিত রাতেই আল্লাহ্র রাসুল (সা.) জান্নাতুল বাকী জেয়ারত করেছেন, যা আমাদের জন্য অনুসরণীয়। এ মহান রাতে আল্লাহ্ তার বান্দাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে পৃথিবীর নিকটস্থ আসমানে আগমন করেন এবং তার বান্দাদের ফরিয়াদ কবুল করেন। হাদিসে এই রাতের বিশেষ মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে।
উক্ত মাহফিলে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সঙ্গে অংশগ্রহণ করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল ড. জহিরুল ইসলাম।
মাহফিলে আল আমিন মসজিদ ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি জয়নাল আবেদীন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই মহিমান্বিত রাতে অনেক মসজিদ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষর এই মহিমান্বিত রাতের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হলেন। তিনি সাম্প্রতিকসময়ে যেসব আলেম নামধারী বিভিন্ন বক্তব্য শবে বরাত উদযাপনের বিপক্ষে অডিও/ভিডিও করে নেতিবাচক সমলোচনা করেন এবং হাক্কানি আলেম-ওলামা, যারা দ্বীনের সঠিক দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্যে মুসল্লিদের কাছে দেয়া প্রার্থনা করেন।
তিনি জানান, আল আমিন মসজিদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সব কর্মকাণ্ড চালু রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেন।
শেষ রাতে জিকির মাহফিলে বিপুল সংখ্যাক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জিকির মাহফিল পরিচালনা করেন এসোসিয়েট ইমাম মাওলানা নেছার আহম্মদ। পরের দিন রোজা রাখার সুবিধার্থে মুসল্লিদের জন্যে সেহোরর ব্যবস্থা ছিল। এতেও বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।