আশরাফুলের সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক

স্পোর্টস রিপোর্ট : ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী দেখিয়ে দিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গত ১ এপ্রিল ব্রাদার্সের বিপক্ষে তিন অংকে পৌঁছে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করে ফেললেন তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে আশরাফুলই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি কি না টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। ২০ মার্চ মোহামেডানের বিপক্ষে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর রেলিগেশন লিগে অগ্রণী ব্যাংকের পর ব্রাদার্সের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবারের লিগে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। তবে আক্ষেপের বিষয় হলো, সেঞ্চুরির পর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়াও অব্যাহত রয়েছে তার। গত ১ এপ্রিলও তার দল কলাবাগান হেরেছে। ওপেনার মিজানুরের সেঞ্চুরিতে কলাবাগানের ২৫২ রান ৩৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট খুইয়ে টপকে গেছে ব্রাদার্স।
আশরাফুল ভালো ব্যাটিং করলেও তার সেঞ্চুরিগুলো একটু মন্থর হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে পাঁচ সেঞ্চুরির চারটিতেই হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। এই যেমন গত ১ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয় ওভারে উইকেটে গিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ইনিংসের শেষ বলে। ১৩৭ বলে ১০টি চারে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার হাফ সেঞ্চুরি আসে ১০২ বলে। বেশ কয়েকটি উইকেট পড়ে গেছে বলে তাকে মন্থর ব্যাটিং করতে হয়েছেÑ ব্যাপারটা কিন্তু তেমনও নয়। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েছে কলাবাগান। দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ১১৭ রান যোগ করা ওয়ালিউল করিম ৯৫ বলে ৭৯ রান করেছেন। এ ছাড়া মুনিম শাহরিয়ার ও ফারুক হোসেনও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন। তবে পরের ৫০ রান ৩৫ বলে তুলে দলের পুঁজি ২৫০-এর ওপরে নিতে বড় ভূমিকা রাখেন। তবে ব্রাদার্সের ওপেনার মিজানুর ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দেন, বিকেএসপির এই উইকেটে জিততে হলে আরও অনেক বড় পুঁজি লাগবে।
তবে ফিক্সিংয়ে শাস্তি ভোগ করে গত মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা আশরাফুলের জন্য এটাও কম নয়। লিস্ট এ মর্যাদা পাওয়ার পর কেউ তো দুটির বেশি সেঞ্চুরি পাননি। সেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরি মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়। এর মধ্যে গত ১ এপ্রিলের সেঞ্চুরিটি দিয়ে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কলাবাগান : ৫০ ওভারে ২৫২/৩ (আশরাফুল ১০২*, ওয়ালিউল ৭৯, মুনিম ৩৫; সোহরাওয়ার্দী ২/৫৩)।
ব্রাদার্স : ৪৪৩ ওভারে ২৫৩/৪ (মিজানুর ১১৫, ইয়াসির ৪৫*, সাদাত ৩২*; জাইমুল ৩/৪৭)।
ফল : ব্রাদার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মিজানুর রহমান।