জেবুন্নেছা জোৎস্না :
আমার যখন ঘুম আসে না
রাতের কাঁথায় আকাশের খিলানিতে
শবের ধনুষ্টংকার কাটি!
শূন্যলোকে প্রয়াত আপনজনের কথা ভেবে
আমি সইতে পারি না!
দু’চোখ দিয়ে সে বীভৎসতা, আর ভাবতে পারি না!
আমারও শরীর কুড়ে খাবে একদিন
পোকামাকড়-কীট-সাপে-
সে দৃশ্য আমি এ চোখ দিয়ে দেখতে পারব না!
চোখ দুটি বরং থেকে যাক অন্ধ কারও চোখে-
আরও কিছুদিন সে চোখ মুগ্ধতার বিস্ময়ে দেখুক তোমাকে-
কীভাবে আকাশে মেঘের রং বদলায় অরোরা বোরিয়ালিসে-
আবার সেই মেঘে দুঃখ জমে ধরিত্রীর জমিনে বর্ষা নামে!
বুড়ো তারারা সুপারনোভার ব্লাস্টে মৃত্যু শেষে, যেমন
নেবুলাকে রেখে যায় নতুন তারার জন্মে অবশিষ্টাংশে-
ত্রিতালের চোখে কালো চশমা বেঁধে
ডগমগিয়ে অস্ত যাওয়া সূর্যের পথে
আমি চলে গেলেও করতলে সহস্র ফোটনে
ঠিক কোথাও রেখে যাব কোনো চিহ্ন এই প্রকৃতিতে!
কারও গর্ভে আমার চারণে সজ্জিত হবে নিজস্ব জিনের
ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিডের সিকোয়েন্স-
লাব্-ডাব্ শব্দস্রোতে আমি উঠব জেগে-
মানুষ না হই, মিউটেশনে দেবতা, অথবা
ব্যাঘ্রের গর্জে, নয়তো অনুভূতিপ্রবণ বিড়ালের চোখে!