ঠিকানা অনলাইন : ইউক্রেনীয় সেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে এবার যুক্তরাজ্যে সেনা পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ১২০ সদস্যের সামরিক বাহিনীর একটি চৌকশ দল এই প্রশিক্ষণ দেবে। বর্তমানে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের একাংশের প্রশিক্ষণ চলছে যুক্তরাজ্যে। এবার যুক্ত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকারও।
নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৮০০ ইউক্রেনীয় কর্মীকে অস্ত্র পরিচালনা, যুদ্ধের প্রাথমিক চিকিৎসা, অপারেশনাল আইনসহ যুদ্ধের দক্ষতায় গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে তাদের কবে পাঠানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেন, নিউজিল্যান্ডের সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত না এবং এই যুদ্ধে জড়াবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলছি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর নির্মম হামলা এবং পরবর্তীকালে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো কিয়েভকে সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই যুদ্ধে মস্কোকে পরাজিত করাই মিত্রদেশগুলোর মূল লক্ষ্য। ফলে পুতিনের প্রশাসন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বহু খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা।
এদিকে ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র গোলাবর্ষণ করে শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে তারা বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের এনারগোদার শহরের মেয়র দিমিত্রো অরলভ বলেছেন, জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঝুঁকি প্রতিদিনই বাড়ছে। এ নিয়ে তিনি তার গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। জাপোরিঝজিয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এর অবস্হান ইউক্রেনে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউক্রেন যুদ্ধের বড় একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। এটি কব্জায় নিতে গত মার্চ থেকেই ঐ এলাকার আশপাশে হামলা জোরদার করে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনারা পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুললে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে অতি স্পর্শকাতর পারমাণবিক বিদু্যত্কেন্দ্রটি। গত সপ্তাহেই সেখানে হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারপ করছে।
ঠিকানা/এসআর