ঠিকানা অনলাইন : বায়ার্নের বিপক্ষে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম হারের পর বার্সেলোনার ডিফেন্ডার পিকে বলেছিলেন, বর্তমানে আমরা যে অবস্থায় আছি এমন দলই আমরা। এই কথার পরই সবাই বুঝে গিয়েছিল মেসি যাওয়ার পর বার্সেলোনার অবস্থা একেবারেই নাযুক। ৮ ডিসেম্বর(বুধবার) বায়ার্নের বিপক্ষে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হেরে ২০ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল বার্সেলোনা। ইউরোপা লিগে জায়গা পেলেও এখন প্রশ্ন জেগেছে ইউরোপা লিগ কি জিততে পারবে তারা?
২০০০-০১ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে এরপর টানা ২০ বছর ইউরোপা লিগ খেলা হয়নি তাদের। তবে এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়লেও ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা। তবে এমন বিধ্বস্ত দল নিয়ে কি পারবে জাভির দল এবারের ইউরোপা লিগ জিততে?
ইউরোপা লিগে এর আগে ১১ বার খেলেছে বার্সেলোনা। তবে এখন পর্যন্ত ইউরোপা লিগের শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালে বার্সেলোনা খেলেছে চারবার। ১৯৭৫-৭৬ সালের ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। এর দুই মৌসুম পর নেদারল্যান্ডের ক্লাব পিএসভি আইনহোভেনের কাছে হেরে যায় বার্সেলোনা।
১৯৯৫-৯৬’র মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল তারা। আর ২০০০-০১ সালের মৌসুমে সেমিতে লিভারপুলের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে হেরে সে মৌসুমের ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেয় তারা।
তবে এবারের বার্সেলোনার দল বেশ তরুণ। দলে ২০ বয়সের কম খেলোয়াড় আছে বেশ কয়েকজন, যারা ভালো ফুটবল খেলছে। তবে ভালো ফুটবল খেললেও গোলের দেখা পাছেনা তারা। এমনকি দলে দলের স্ট্রাইকাররাও গোল খরায় ভুগছে। এমন অবস্থায় ইউরোপা লিগে তারা কেমন খেলবে তা নিয়ে জেগেছে প্রশ্ন। এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পড়বে বার্সেলোনা ২ গোলের বিপতিতে ৯ গোল হজম করেছে।
তবে বার্সেলোনার এমন পতন থেকে নতুন যুগের শুরু দেখছেন দলের কোচ জাভি। খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সে মোটেও খুশি নন বার্সার কোচ। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়াকে পরিবর্তনের শুরু হিসেবে দেখছেন জাভি। ম্যাচ শেষে জাভি জানান, ‘নিজেদের আরও নিংড়ে দিতে হবে। আমরা বার্সেলোনা। ক্লাবের গতিধারা পাল্টাতে এটাই হয়তো পরিবর্তনের সূচনা। এটা চ্যাম্পিয়নস লিগ অথচ আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারিনি। এটাই বাস্তবতা। আমাদের নতুন যুগ শুরু হলো।’ এখন দেখার বিষয় বার্সেলোনার কোন যুগের শুরু হয়।
ঠিকানা/এসআর