ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্কসিটিতে অনেকেই ভাড়া দিতে পারছে না। ফলে বাড়িওয়ালাকে ভাড়া না দিয়ে থাকছেন। থাকার চেষ্টা করছেন। করোনার মধ্যে ইভিকশন করার সুযোগ ছিল না। এখন আবার তা চালু হয়েছে। ফলে অনেকেই ভাড়া না দেয়া ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেননা বাড়িওয়ালারা ভাড়া না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া চেয়ে, না পেয়ে তাদেরকে ইভিকশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সংক্রান্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সিটিতে কিছু মানুষ আছে যারা ভাড়া দেয়ার জন্য সামর্থবান এরপরও ভাড়া দিচ্ছেন না। ১২ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত ভাড়া দেননি করোনার মধ্যে এমন নজিরও রয়েছে। তবে কিছু মানুষ আছে যারা প্রকৃতপক্ষে অসহায়। যারা স্বল্প আয়ের মানুষ। দরিদ্র মানুষ। তাদের পক্ষে ভাড়া দেয়া সম্ভব নয়। এমনকি বাসা ভাড়া আরো বাড়ানোর কারণে তারা নিদারুন কষ্টে আছে। এই ধরণের মানুষরা কঠিন অবস্থার মধ্যে আছেন।
সূত্র জানায়, কোন সামর্থবান ব্যক্তি, বেশি আয় করেন এরপরও যদি ভাড়া না দেন তাহলে বাড়িওয়ালা তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন। সরকারি সুবিধাও তার জন্য নেই। কিন্তু যারা দরিদ্রসীমার নীচে এবং গৃহহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা ইতোমধ্যে যারা গৃহহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছেন, এমন মুখোমুখি অবস্থানে আছেন, তারা ভাড়া সহায়তার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করে ভাড়া সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। সিটি এই ব্যাপারে কিছুুটা সহায়তা করছে।
সিটিএফএইচইপিএস এর প্রোগ্রামের আওতায় ভাড়া সহায়তা পাওয়ার সুযোগ আছে। তবে এই জন্য রয়েছে অনেক শর্ত। সেই সব শর্ত পূরণ করতে হবে আবেদনকারীকে। আবেদন পূরণ করার পর যোগ্য হলে তখন সব নথিপত্র যাচাই করে এরপর তারা সহায়তা পওয়ার উপযুক্ত কিনা এটি নির্ধারণ করবেন কেস ম্যানেজার। এই প্রোগ্রামটি হচ্ছে একটি ভাড়া সহায়তা প্রোগ্রাম। কোন ব্যক্তি অথবা পরিবারকে বাসা খুঁজে বের করতে ও সেখানে থাকার জন্য ভাড়া দিয়ে সহায়তা করে থাকে। ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল সার্ভিস- ডিএসএস এটি পরিচালনা করে। সাথে রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিসেস এবং হিউম্যান রিসোর্সেস এডমিনিস্ট্রেশন। কেউ যদি এইচআরএ অথবা ডিএইচএস এর আশ্রয়ে থেকে থাকেন এমন ব্যক্তি ও পরিবার এই প্রোগ্রামের অধিনে আবেদন করতে পারবে। এটি প্রোগ্রামের সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তি অথবা পরিবারকে নির্দিষ্ট কিছু মানদন্ড পূরণ করতে হবে। এরমধ্যে হলো তাদের মোট আয় ফেডারেল দরিদ্র সীমার ২০০ শতাংশ অথবা এর নীচে হতে হবে। নগদ সহায়তা পাচ্ছেন বা পওয়ার যোগ্য এমন হতে পারে, এই প্রোগ্রামের বাইরে অন্য কোন ভাড়া সহায়তা প্রোগ্রামের মধ্যে নেই।
বলা হচ্ছে, এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রাপ্ত বয়স্ক, তিনি সপ্তাহে কমপক্ষে ৩৫ ঘন্টা কাজ করেন। সেই ক্ষেত্রে মোট আয় ফেডারেল দারিদ্রসীমার ২০০ শতাংশর বেশি হতে পারে। সেখানে দুটি বিভাগ রয়েছে একটি গ্রুপ এ আর একটি গ্রুপ বি। যারা আবেদন করবেন তাদেরকে এ অথবা বি গ্রুপের শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত পূরণ করতে না পারলে এই ধরণের সহায়তা মিলবে না। যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত যদি ইতিবাচক হয় তাহলে পাবেন। এই প্রোগ্রামে সাধারণত উপযুক্ত হলে এর সাথে যথাযথ কারণ থাকলে অতিরিক্ত এক্সটেনশনসহ মোট চার বছরের জন্য দেয়া হয়। তবে এটি একবারে নয়। বার বার এক্সটেনশনের জন্য উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে ৬০ বছরের উপরের কোন ব্যক্তি হলে এবং অক্ষম হলে তখন ব্যতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই রেন্টাল সহায়তা কেবল নিউইয়র্র্ক সিটির পাঁচ ব্যরোর বাসার জন্য প্রযোজ্য হবে। একটি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি রুম অথবা একটি এসআরও ইউনিট হতে হবে। সর্বোচ্চ ১৭৫১ ডলার পর্যন্ত এই প্রোগ্রামের অধিনে দেয়া হয়। একটি সিঙ্গেল রুম দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য হলে সর্বাচ্চ ১ হাজার ১’শ ডলার পর্যন্ত সহায়তা দেয়া হয়।
একজন আবেদনকারী তার মোট আয়ের কত শতাংশ বাড়িওয়ালাকে নিজে দিবেন এবং কত শতাংশ ভাড়া সহায়তা প্রোগ্রামের অধিনে পাবেন তা তারা জানিয়ে দিবে আবেদন মূল্যায়ন করার পর। এই জন্য তারা কোন নগদ অর্থ দিবে না এবং ভাড়াটিয়ার হাতেও কোন অর্থ দিবে না। কেবল বাড়িওয়ালাকে চেকের মাধ্যমে মাসে মাসে অর্থ দিবে।