ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে আমি হাউজের সাথে একমত : ট্রাম্প

ঠিকানা রিপোর্ট: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাটদের তোপের মুখে এক দ্ব্যার্থবোধক প্রস্তাব হাউজে ছুঁড়ে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে (পরিবার পৃথকীকরণ) হাউজ রিপালিকানদের প্রয়াসের সাথে তিনি এক হাজার পার্সেন্ট এক মত প্রকাশ করে বলেছেন, আমি আপনাদের সাথে আছি। সীমান্তে হাজার হাজার শিশুদের বাবা- মার কাছে থেকে কেড়ে নিয়ে শিশুদের বন্দী অবস্থায় রাখা নিয়ে সারা আমেরিকায় যখন তোলপাড় চলছে- তখন তিনি রিপাবলিকানদের এক গোপন বৈঠকে এ সব কথা বলেন। গোপন বৈঠকটি গত ১৯ জুন ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভাষণ দেন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। ওয়াশিংটনের দাহিল পত্রিকায় এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকানদের সাথে একমত পোষণ করলেও তিনি বলেছেন সীমান্তে আমাদের দেশের স্বার্থেই দেয়ালের খুব প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সাথে নিয়ে অনেক দূর যাবো- এটা মানবিক, এটা স্মার্ট এবং এটি ব্যয় সাধ্য প্রকল্প। প্রেসিডেন্ট দেয়াল নির্মাণের কথা বললেও সীমান্তে মায়ের কোল থেকে শিশু ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন কথা বলেননি। তিনি বলছেন, যে কোন বিল পাশ হলে তিনি তাতে স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় যে, তিনি তার এই কথা দিয়ে কট্টরপন্থী রিপাবলিকানদের মন জয় করতে পেরেছেন কিনা। রক্ষণশীল ফ্রিডম ককাসের ওয়াইওর প্রতিনিধি জর্ডান বলেন, আমি প্রেসিডেন্টের কথার সাথে সম্ভবত এক মত নই। আমি মনে করি অনেক রক্ষণশীল রয়েছেন যারা প্রেসিডেন্টের কথার সাথে এক থাকতে চান না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল রেখে কীভাবে সীমান্তে পরিবার পৃথকীকরণকে কট্টপন্থীদের কাছে গ্রহণীয় করতে পারেন সে জন্য এক পর্যায়ে দুটি বিল পাশের কথাও বলেছেন। তার একটি হচ্ছে- আপোষরফার বিল। আরেকটি হচ্ছে কংগ্রেসম্যান গুডলাটের রক্ষণশীল বিল।
একটি বিলের ব্যাপারে যে হারে উৎসাহ দেখা দেয়ার কথা ছিলো প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পর সে রকম উদ্দীপনা দেখা যায়নি। ডেমক্র্যাটরা এই বিলে কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি। কারণ তারা কোনভাবেই পরিবার পৃথককরণকে মেনে নেয়নি। সিনেটের মেজরিটি লিডার এবং অন্যান্য আইন প্রণেতারা এমন বিল পাশ করবে যাতে পিতা-মাতা ও শিশুদের একত্রে আটক করার জন্য সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ পিতামাতারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য আইনের সম্মুখীন। তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা আছে। সেই সমস্যা নিরসন করতে হবে। আমরা সেই ব্যাপারে কাজ করবো।