ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইস্যুর জটিলতা ও এর নিরসন

মোহাম্মদ এন মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন এবং স্থায়ী বাসিন্দা তথা গ্রিনকার্ডধারীরা তাদের ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে যেসব জটিলতায় সুদীর্ঘ কালক্ষেপণের সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তা নিরসনকল্পে বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখে কিছু তথ্য এ প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করবো।
সাধারণ ও-১৩০ পিটিশন এপ্রুভাল হওয়ার পরই ন্যাশনাল ভিসা সেন্টার সব কাগজপত্র, ইমিগ্রেশন ফি ইত্যাদি গ্রহণের পরই বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাসের পরামর্শক্রমে ন্যাশনাল ভিসা সেন্টার ভিসা ইন্টারভিউর তারিখ দিয়ে থাকেন। নির্ধারিত তারিখে ভিসা অফিসার যদি আবেদনের সাথে সব তথ্যাদি সুসংঘটিত থাকে এবং ভিসাপ্রার্থীকে ভিসা পাওয়ার যোগ্য মনে করেন, সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে ভিসা দিয়ে থাকেন।
যে সমস্ত কারণে ভিসা ইস্যু হতে দেরি হয় : ১. আবেদনের সাথে দেয়া তথ্যের সাথে দাখিলকৃত কাগজপত্রের মিল না থাকলে; ২. আবেদনকারীর দেয়া তথ্য, যেমন- বয়স ও অন্যান্য তথ্যের সাথে বাস্তবের মিল পাওয়া না গেলে; ৩. আবেদনকারী আবেদনে কোন তথ্য ভুল ও সত্য গোপন করলে এবং তা ফাঁস হয়ে গেলে; ৪. ইতিপূর্বে তথা আবেদনের সময় দাখিলকৃত কাগজপত্রের সাথে ইন্টারভিউর সময় দেয়া কাগজপত্রের গরমিল পাওয়া গেলে; ৫. আবেদকারী কোন ধরণের গুরুতর সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তা নিরময় না হওয়া পর্যন্ত; ৬. আবেদনকারীর সাথে স্পন্সরকারীর সম্পর্কের প্রমাণ না পাওয়া গেলে এবং ৭. স্পন্সরকারীর আয় যথেষ্ট না হলে।
ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইস্যু ত্বরান্বিত করণের উপায়সমূহ : ১. ও-১৩০-তে দেয়া তথ্যের সাথে পরবর্তীতে ভিসা আবেদনের তথ্যাদির মিল থাকতে হবে। ২. সঠিক ও সত্য জন্ম তারিখ উল্লেখ করা; ৩. প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন না করে সত্য তথ্য দেয়া; ৪. আবেদনের সময় দেয়া সব কাগজপত্রের ফটোকপি সংরক্ষণ করে এর সাথে মিল রেখেই ভিসা আবেদন দাখিল করা; ৫. ভিসাপ্রার্থীর কোন ধরণের সংক্রামক ব্যাধি কিংবা রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করে নেয়া; ৬. আবেদনকারী এবং স্পন্সরকারীর সম্পর্কে যাবতীয় প্রমাণাদি দাখিল করতে হবে। ৭. উপযুক্ত, যথার্থ এবং পর্যাপ্ত আয়সম্পন্ন স্পন্সরকারীর আবেদন দাখিল করতে হবে।
আবেদন যথার্থ ও সঠিকভাবে পূরণ করা, আবেদনের কপি হুবহু সংরক্ষণ করা, ইতিপূর্বে কোন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রার্থনা করা হলে, বা নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রার্থনা করা হলে, তা নতুন আবেদনে উল্লেখ করাই যথার্থ।
শুভ হোক সবার ভিসা ইন্টারভিউ। আরো তথ্যের জন্য কল দিতে পারেন : ৯১৭-৫৯৭-৬৩৪৯ নম্বরে।
লেখক পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকা-ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি বিজ্ঞ প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা ও ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন। তিনি এখন থেকে নিয়মিত ঠিকানার পাঠকদের জন্য লিখবেন।