বিশ্বচরাচর ডেস্ক : প্রথম মহিলা হিসেবে ইসরাইলি সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন আরবি ভাষী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দ্জরু জাতিভুক্ত মুসলিম নারী ও সাবেক টেলিভিশন সংবাদ অ্যাঙ্কর গাদির কামাল মারিয়া। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর মাত্র মাত্র এক মাসের মতো সময় মধ্যেই।
ইসরাইলের প্রাক্তন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বেনী গান্তজে নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় নীল ও হোয়াইট পার্টির পক্ষে চলমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় নেসেটের জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেছেন গাদির মারিয়া। এটি এমন এক স্থান যেখানে প্রার্থীদের তালিকা থেকে ভোটাররা নির্বাচন করে। বেনী গান্তজ প্রধানমন্ত্রীর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকেন্দ্রের সাবেক অ্যাঙ্কর মারিয়া বলেন, সংখ্যালঘু নারীদের থেকে কোনো কিছুতে ধারাবাহিকভাবে তিনিই প্রথম হিসেবে জীবনে শুরু করেছেন। ৩৪ বছর বয়সী মারিয়া বলেন, ‘আমিই প্রথম অইহুদি নারী হিসেবে হিব্রæভাষার একটি সংবাদ সম্প্রচারকেন্দ্রের অ্যাংকর হয়েছিলাম।’
মারিয়া ইসরাইলের দালিয়াত আল-কারমেল গ্রামের গ্রুজের একটি প্রধান জনসংখ্যা কেন্দ্র। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসরণ করেন যা ইসরাইলের অংশভুক্ত সবচেয়ে সংখ্যালঘুদের একটি জাতি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বেড়ে উঠার বিষয়টি সহজ ছিল না বলে জানান মারিয়া। তিনি বলেন, তার রক্ষণশীল সম্প্রদায় সাংবাদিকতায় কাজ করাকে নারীর জন্য অনুপযুক্ত হিসাবে দেখে, যেজন্য তাকে অনেক সমালোচনার শিকার ও হতে হয়েছে।
সময়ের স্রোতে মারিয়া বয়োজ্যেষ্ঠদের সমর্থণ অর্জন করেন, এমনকি ইসরাইলের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ মুওয়াফাক তারিফ ও তাকে সমর্থণ দেয়। মারিয়া বলেন, ‘দ্রæজ নারীরা যে সফল হতে পারে, আমরা এই সম্প্রদায়কে বিনয়ের ও আদর্শ উপায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি তা এখন ধর্মীয় নেতারাও বুঝতে পেরেছেন।’
ইসরাইলে ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি দ্রæজ নাগরিকের বাস, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই শতাংশের নিচে। এ ছাড়াও সিরিয়া এবং লেবাননও দ্রæজ সম্প্রদায় আবাসভমি। ইসরাইলে দ্রæজ পুরুষদের সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত করা হয় যা দেশের ২০ শতাংশ আরব সংখ্যালঘু সদস্যদের তুলনায় বেশি, যাদের মধ্যে অনেকেই ফিলিস্তিনি হিসাবে পরিচিত। চলমান সংসদে ১২০ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ জন আরবীয় ছিল, যার মধ্যে দুটি অগ্রজ নারী ছিল। উল্লেখ্য, আগামী ৯ এপ্রিল ইসরাইলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।