নিউইয়র্ক : গত ৯ মার্চ, শুক্রবার, এশার নামাজের পর সানিসাইড মুসলিম সেন্টারে ‘জ্ঞান’ বিষয়ে আলোচনা করেন ড. সালাহউদ্দীন।
তিনি তার লেকচারে ইসলামে জ্ঞান বিষয়ক উপলব্ধিকে সুদৃঢ় করার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে আমাদের অনেক জ্ঞান আছে। কিন্তু আমাদের ‘আল্লাহ’ সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান আছে, তা চিন্তা করে দেখি না। আমরা মুসলিম হিসেবে নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতের ওপর যতটুকু জানি, তওহীদ, শিরক সম্পর্কে ততোটুকু জ্ঞান রাখি না।
আমাদের সামাজিক পরিবেশ ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা, আমাদের সন্তানরা জ্ঞানের অভাবে দ্বীন থেকে দূরে সরে বিদয়াতে নিমজ্জিত হচ্ছি। জ্ঞান সম্পর্কে অহংকার আমাদের পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। তাওহীদ ও আক্কীদার জ্ঞান আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আক্কীদা একটি বড় বৃক্ষ। আল্লাহ আদমকে (সা.) সৃষ্টি করে জ্ঞান দিয়েছেন, তাকে পরীক্ষা করেছেন জান্নাতে রেখে। হাদীসের জ্ঞানকেও ক্ষীণ করে দেখার কোন জো নেই, কারণ এটাও ওয়াহী। না জেনে কোন স্কলারকেও তিরস্কার করা উচিৎ নয়। কারণ মানুষ হিসেবে একজন স্কলারেরও ভুল হতে পারে। ইসলামের বড় ইমামরাও নিজেকে এভাবে উম্মতের সামনে পেশ করেননি। তারা যা দলিল পেয়েছেন, সাধ্যমতো তাই প্রচার করেছেন এবং সঠিকভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করতে মুসলিমদের তাগিদ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামের স্বর্ণযুগের বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের অবদান শীর্ষক একটি ভিডিও সবাই উপভোগ করেন। পুরো অনুষ্ঠান প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।