ঠিকানা রিপোর্ট : বর্ণাঢ্য আয়োজনে, উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম অব নিউইয়র্ক, নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব ইনক এবং নিউ আমেরিকান উমেনস ফোরাম অব নিউইয়র্কের সপ্তম বার্ষিক নৈশভোজ এবং ইংরেজি নববর্ষ ২০১৮ উদযাপন।
গত ৬ জানুয়ারি হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রায় হাড় কাঁপানো শীতের কামড় উপেক্ষা করে জামাইকার হিলসাইডে তাজমহল পার্টি হলে উপচে পড়ে অতিথিদের উপস্থিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং কী-নোট স্পিকার ছিলেন কংগ্রেওম্যান ইভেটি ক্লার্ক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন নুসরাত এবং পল। শুরুতেই বাংলাদেশ এবং আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সকল শহীদের স্মরণে। স্বাগত বক্তব্য দেন নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট মোরশেদ আলম, ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম এবং উমেনস ফোরামের প্রেসিডেন্ট রোকেয়া আকতার। প্রধান অতিথি ইভেটি ক্লার্ক তার নিজের অভিবাসী ব্যাকগ্রাউন্ড তুলে ধরে বাংলাদেশি কমিউনিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সবাইকে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোট এখানে বড় শক্তি। ভোটের শক্তি দেখাতে পারলে মূলধারার সবাই আপনাদের কদর করবে।
কনসাল জেনারেল শামীম আহসান আয়োজকদের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এ ধরনের সংগঠনই পারে তাদের কর্মতৎপরতা দিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে মূল ধারায় জায়গা করে দিতে। মূলধারার রাজনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্ক যত নিবিড় হবে, মূলধারার অংশ হওয়ার পথ তত প্রশস্ত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেনÑ মাফ মেসবাহ উদ্দিন, দিলীপ নাথ বাঙালি, এঞ্জেলিকা, মিলন রহমান, হেলাল শেখ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জন ল্যু, ডা. মাসুদুল হাসান এবং নিউইয়র্ক গভর্নরের প্রতিনিধি হার্শ পেরেক।
কমিউনিটিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েকজনকে এওয়ার্ড দেয়া হয়। এই পর্ব পরিচালনা করেন উদীশা চৌধুরী। এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেনÑ মিজানুর চৌধুরী, এলিজাবেথ বার্না, ড. মোহাম্মদ হায়েক, ড. এন্থনী এন্ড্রজ জুনিয়র, আবদুল কাদের মিয়া, সিদ্দিক ওয়েই, এ্যাটর্নি সোমা সাঈদ এবং বরিস ডেভিডফ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন তনিমা হামিদ। স্বরলিপির শিক্ষার্থীরা চমৎকার নৃত্য প্রদর্শন করে সবার হৃদয়কে স্পর্শ করে।