ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): গিয়াস আহমেদের বাসভবনে দোয়া মাহফিল

ঠিকানা রিপোর্ট : মূলধারার রাজনীতিক এবং জেবিবিএ সভাপতি গিয়াস আমাদের লং আইল্যান্ডের বাসভবনে গত রোববার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, কমিউনিটির বিশিষ্টজনসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগের সভাপতিত্বে এবং গিয়াস আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেলাল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আব্দুল মালেক, পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়ের রশিদ, আহলে বায়ত জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাঈদ মুতায়াক্কিল রাব্বানী, হাজী ক্যাম্প মসজিদের ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম, আইটিভির পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, আহলে বায়ত মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ ওযায়ের হাসান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নবী (সা.) আগমনের জন্য খুশি উদযাপন করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহতালা আল-কোরআনে বলেন, হে রসূল আপনি বলুন- আল্লাহর ‘অনুগ্রহ ও রহমত’ প্রাপ্তিতে মোমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ঠ (সূরা ইউনুস)।
বক্তারা আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য নবী রাসূলদের জন্ম এবং মৃত্যু দিবসে ‘রহমত’ বর্ষণ করেছেন বলে সূরা মরিয়মে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দা জন্মগ্রহণ আমাদের জন্য রহমত।
বক্তাগণ আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মগ্রহণ শুধু আমাদের জন্যই নয় বরং বিশ্ব জগতসমূহের জন্য রহমত। সেই রহমতের জন্য আমাদের আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং আনন্দ প্রকাশ করা ঈমানি দায়িত্ব। সেই কারণেই মুমিন-মুসলমানরাই শুধু নবীর জন্মদিনে আনন্দ প্রকাশ এবং ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করবে। কারণ শয়তান সেদিন কেঁদেছিল। এখনো মুসলমান নামধারী কিছু মানুষ শয়তানের সুরে সুরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন না করে মন খারাপ করে বিরুদ্ধাচরণ করে থাকে।
বক্তারা আরো বলেন, সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে থাকে। শুধু পথভ্রষ্ট ওহাবি সালাফি মতবাদের কিছু আলেম-ওলামা বিভিন্ন ইবাদতের মধ্যে ফেতনা ফ্যাসাদ ঢুকিয়ে মুসলিম সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলছে। অন্যদিকে ইসলামের শত্রুরা আরব বিশ্বসহ মুসলিম ভূমি দখল ও হত্যাযজ্ঞ করে চলেছে। সেই দিকে তাদের কোন খবর নেই।
মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ বলেন, প্রতিবছর আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), আশুরা, লাইলাতুল বরাত, আলাতুল কদরসহ অন্যান্য ইসলামী বরকতময় দিন/রাত আমরা পালন করে যাব ইনশাল্লাহ। তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান।
পরিশেষে হামদ-নাত এবং মিলাদের মাধ্যমে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।