ঠিকানা রিপোর্ট : বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপিত হচ্ছে স্বদেশের আঙিনা ছেড়ে প্রবাসের সর্বত্র। সবার মন রাঙিয়ে নতুন সূর্যালোক উদ্ভাসিত হয়েছে শুভ বারতা নিয়ে। পুরাতন যা কিছু জঞ্জাল তাকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার অঙ্গীকার সকলের মনে। গত ১৪ এপ্রিল ছিল বাংলা নববর্ষ ১৪২৫, বৈশাখের পথম দিন।
প্রবাসে প্রতিবছরের মতো এবারো সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ। উৎসবের ডালি নিয়ে জ্যামাইকার পিএস ৯৫ এ গত ১৪ এপ্রিল শনিবার পহেলা বৈশাখকে বরণ করেছে নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম অব নিউইয়র্ক, নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব এবং নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম। ঐদিন অগণিত বাঙালি তাদের স্বভাবজাত উদ্দীপনা আর অনুকূল আবহাওয়ায় ফুরফুরে উৎসবী মন নিয়ে বাংলা বর্ষকে বরণ করতে উপস্থিত হয়েছিল জ্যামাইকার পিএস-৯৫ এ।
চোখে পড়ার মতো বিষয় ছিল উৎসবস্থল। এলাকাজুড়ে নানান ঢংয়ে নানান রঙের বৈশাখী সাজে নানা বয়সের নারী-পুরুষ শিশু এলাকাকে রাঙিয়ে দিয়ে বাংলা নতুন বছরের শুভ বারতা ছড়িয়ে দেয়।
উল্লেখিত আয়োজক তিনটি সংগঠনের আমন্ত্রণে উপস্থিত সকল অতিথি পান্তা ইলিশ পর্ব উপভোগ করে মূল অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন। পান্তা ইলিশ পর্ব উদ্বোধন করেন পিএস ৯৫ এর প্রিন্সিপাল কিম হিল, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ।
নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকেলেই হলভর্তি দর্শক-শ্রোতা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে প্রস্তুত। অনুষ্ঠান পর্বে ছিল একতার ব্যান্ড, স্বরলিপির নৃত্য। নৃত্যে আরো ছিল ফাতেমা লীজ। সঙ্গীতে ছিল বর্ষা, উদীপ্ত, বাবলী হক, লীজু, আব্দুর রহমান, রানো নেওয়াজসহ প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী তনিমা হাদী, মন মাতানো, সাড়া জাগানো শাহ মাহবুব। তারা সবাইকে সুরের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নতুন বছরকে স্বাগত ও পুরাতন জঞ্জালকে পেছনে ফেলে সম্প্রীতি ও সোহার্দ্যরে বন্ধনে সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সবাইকে শুভ নববর্ষ জানিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। উপস্থিত ছিলেন এসেম্বলিম্যান ডেভিড উপ্রিন, লি-রয় কমরি, স্টেট সিনেটরের অফিস প্রতিনিধি, আলিসন, হাইন্ডম্যান এর প্রতিনিধি। কাউন্সিল ম্যান ডেনিক মিলার এবং লেটিসিয়া জেমসের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ- এই উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে আরো ছিল বাঙালি সাজে সাজো প্রতিযোগিতা। এতে প্রথম হন নাসরীন শাফী, ২য় চাঁদনী এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন রোকসানা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খাবার, বই, সিডি, শাড়ি, গহনা এবং পোশাকের স্টলে দর্শক-শ্রোতার উপচেপড়া ভিড় ছিল।
ডালিয়া চৌধুরী পরিচালনায় এবং উপস্থাপনায় ছিলেন উৎপল চৌধুরী।
সবশেষে আহ্বায়ক রুবাইয়া রহমান, উমেন্স ফোরামের সভাপতি রোকেয়া আকতার, ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আহনাফ আলম এবং নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোর্শেদ আলম উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের, মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের এবং অনুষ্ঠান সার্থক করতে সহায়তাকারী সংগঠন ও ব্যক্তিদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।