ঠিকানা রিপোর্ট : বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য নানা সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে এটি আবার বড় পরিসরে করা হচ্ছে। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে এবং ভর্তির ব্যাপারে সহায়তা করার, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকেও চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের সব রকমের সহযোগিতা করার। জানা
গেছে, করোনাকালীন বাংলাদেশ থেকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে এসেছেন। পিএইচডি যারা করতে এসেছেন, তারা ইমিগ্রেশন সেক্টরেও বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারছেন। ভালো ফলাফল করে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরিও পাচ্ছেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এডুকেশনইউএসএ-প্ল্যাটফর্ম, ইডি প্রোগ্রামসের সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় মেলার আয়োজন করে। ইউএস ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা ঢাকায় সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার এডুকেশনইউএসএ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, ইডি প্রোগ্রামসের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় মেলার আয়োজন করে। মেলায় আসা শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই মেলা ফল ২০২২ ইডিট্রুর সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামের অংশ, ইডি প্রোগ্রামসের একটি উদ্যোগ, যা মার্কিন উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য স্নাতক ও স্নাতক ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা ঢাকাজুড়ে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। মেলায় অংশ নেয় ডিপল ইউনিভার্সিটি, এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, পেস ইউনিভার্সিটি, সাভানা কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, সিয়েনা কলেজ, স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়্যার, ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন-ভিক্টোরিয়া, ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাস, ইউনিভার্সিটি অব নর্দার্ন আইওয়া, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ডাকোটা এবং ওয়েস্টার্ন কেনটাকি ইউনিভার্সিটি।
মেলায় শিক্ষার্থীরা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা এবং বৃত্তির সুযোগ সম্পর্কে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান। ভর্তি আবেদন জমা দেওয়ার টিপসও দেওয়া হয়। এই প্রোগ্রামে এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া এবং মার্কিন উচ্চশিক্ষা-ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং এডুকেশনইউএসএ উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে তথ্য সেশনের ব্যবস্থা ছিল।
এডুকেশনইউএসএ হলো ১৭৮টি দেশে ৪২৫টির বেশি আন্তর্জাতিক ছাত্র পরামর্শ কেন্দ্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নেটওয়ার্ক। নেটওয়ার্কটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের সুযোগ সম্পর্কে সঠিক, ব্যাপক এবং বর্তমান তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের মার্কিন উচ্চশিক্ষার প্রচার করে। এডুকেশনইউএসএ প্রাতিষ্ঠানিক নেতাদের তাদের নিয়োগ এবং ক্যাম্পাস আন্তর্জাতিকীকরণ লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করার জন্য মার্কিন উচ্চশিক্ষা সম্প্রদায়কেও পরিষেবা প্রদান করে।
বাংলাদেশে এডুকেশনইউএসএ উপদেশমূলক পরিষেবা এবং রেফারেন্স সামগ্রী সারা দেশে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টারে, ধানমন্ডিতে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস এবং চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। এডুকেশনইউএসএ রেফারেন্স লাইব্রেরি এবং রিমোট অ্যাডভাইসিং সার্ভিস খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে আমেরিকান কর্নারের সহযোগিতায় অ্যাক্সেসযোগ্য। এডুকেশনইউএসএ পরিষেবা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
