নিউইয়র্ক : গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবারের মতো এবারও উদীচী যুক্তরাষ্ট্র উদীচী স্কুলে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক অভিভাবিকা ও দর্শণার্থীর উপস্থিতিতে একুশে ফেব্রুয়ারী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা সাহিত্য ও গল্পকার ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ও ড. পূরবী দত্ত।
দুপুর বারোটায় একুশের ইতিহাস ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে তাঁরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তারপর জীবন বিশ্বাসের পরিচালনায় একুশের গানের মাধ্যমে সারিবদ্ধ ভাবে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনারে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে একুশের প্রেক্ষিত ও আলোকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ড. পুরবী বসু ও উদীচীর সিনিয়র সহসভাপতি সুব্রত বিশ্বাস। ড. পুরবী বসু বলেন, পৃথিবী বিভিন্ন দেশে অসংখ্য জাতিসত্ত্বা আছে। তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা রয়েছে। অসংখ্য ভাষা প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও অনেক ভাষার ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা রয়েছে। তারাও চায় তারা তাদের ভাষায় কথা বলতে, তাদের ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে। হয়তো অনেক ভাষা আছে আমাদের দেশের সে ছোট ভাষাগুলোর অনেক ভাষাই টিকবে না। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের ভাষার ওপর যে আঘাত এসেছিল আমরা যেন সে রকম অত্যাচারটুকু না করি।

সুব্রত বিশ^াস বলেন আপাতদৃষ্টিতে ভাষার দাবিতে ভাষার আন্দোলন হলেও মূল এর পেছনে ছিল বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। একুশের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আজও একুশের দাবি ও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আজও একুশের আন্দোলন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এছাড়াও অভিভাবক ও দর্শকদের পক্ষ থেকে অনেকইে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জীবন বিশ^াসের পরিচালনায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী ও শফি চৌধুরী হারুনের পরিচালনায় ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একুশের আলোকে গান পরিবেশন করা হয়। সুদৃতা পাল ও মুক্তা ধরের পরিচালনায় ছাত্রছাত্রীরা কবিতা আবৃত্তি করে। অনুষ্ঠানের শেষে ঘরে তৈরি পিঠা ও খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এ পর্যায় শেষে সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, বাঙালি পত্রিকার সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ও ড. পুরবী বসুর উপস্থিতিতে অভিভাবকদের মাঝে এক আড্ডার অবতারণা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।