ঠিকানা রিপোর্ট : চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ২০১৫ সালে প্রণিত আইনের আওতায় ট্যাক্স বাবদ কোনো ব্যক্তির ৫১ হাজার ডলারের বেশি অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ থাকলে তবে ইন্টারন্যাল রেভিনিউ সার্ভিস কিংবা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই ব্যক্তির আমেরিকানের পাসপোর্টের আবেদন বা নবায়নপত্র প্রত্যাখ্যান করবে। ইন্টারন্যাল রেভিনিউ সার্ভিসের জনৈক মুখপাত্র ৯ জুলাই জানান যে ওই আইনটি কার্যকর হওয়ায় নতুন আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী কিংবা নবায়ন প্রত্যাশী প্রায় ৩ লাখ ২৬ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য নিশ্চিত করেন যে বকেয়া ট্যাক্সের দায়ে আমেরিকান পাসপোর্ট হাতে থাকা কারও পাসপোর্ট বাতিল করা হবে না। যারা নতুন আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য কিংবা পুরানো আমেরিকান পাসপোর্ট পুনঃনবায়নের জন্য আবেদন করবেন শুধু তাদের আবেদনপত্রই উপরোল্লিখিত সংস্থা দুটি নাকচ বা প্রত্যাখ্যান করবে।
ইন্টারন্যাল রেভিনিউ সার্ভিসের মুখপাত্র আরও জানান যে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর জুনের শেষ পর্যন্ত ২২০ ব্যক্তি বকেয়া ট্যাক্স বাবদ ১১.৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিশোধ করেছেন। নিজেদের নতুন আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য কিংবা পুরানো আমেরিকান পাসপোর্ট পুনঃনবায়নের জন্য আবেদনপত্র যেন প্রত্যাখ্যাত না হয় তজ্জন্য তারা ওই অর্থ পরিশোধ করেছেন। ওই মুখপাত্র আরও জানান যে, কমপক্ষে আরও ১,৪০০ বকেয়া দেনাদার তাদের বকেয়া ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ দিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে গত ১০ জুলাই নিশ্চিত করা হয় যে বকেয়া ঋণ পরিশোধ না করায় ইতোমধ্যে আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য কিংবা পুরানো আমেরিকান পাসপোর্ট পুনঃনবায়নের জন্য আবেদন করা বেশ কিছুসংখ্যক দরখাস্ত নাকচ করা হয়েছে।