এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ : বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্ট : এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠ কমলাপুর স্টেডিয়ামে ভিয়েতনামকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। তহুরা ও আঁখি খাতুনের গোলে জয় তুলে নেয় লাল-সবুজরা। নানাবিধ সমীকরণ মাথায় নিয়ে কাল ভিয়েতনামের মুখোমুখি হয় বাংলার কিশোরীরা। কারণ দু’দলের পয়েন্ট এবং গোলগড় ছিল সমান। দ্বিতীয় পর্বে যেতে হলে অন্তত ড্র করতেই হবে। হারলেও বড় ব্যবধানে নয় তবে মারিয়া, মনিকাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স কোনো সমীকরণের ভেতরে যেতে দেয়নি দলকে। ‘এফ’ গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট (১২ পয়েন্ট) পেয়ে বাছাই পর্বের প্রথম ধাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। হেরেও গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে ভিয়েতনামের।
এএফসির এ বাছাইপর্বে গত আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সরাসরি খেলেছিল মূলপর্বে। এবার ফরম্যাটে খানিকটা পরিবর্তন এনেছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এএফসি। প্রথম ধাপে ৩০টি দল ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। সেখান থেকে ছয় গ্রুপের ছয় চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ যাবে দ্বিতীয় পর্বে।

বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম ছাড়া দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করা দলগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইরান, লাওস, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন। আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে খেলা। ৮টি দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের মোকাবেলা করবে। বাংলাদেশ কোন গ্রুপ থেকে খেলবে সেটি এখনো নির্ধারণ হয়নি।

দ্বিতীয় রাউন্ডের বাছাই পর্ব থেকে সেরা চার দল পাবে মূলপর্বের টিকিট। দুই গ্রুপের দুই চ্যাম্পিয়ন এবং দুই রানার্সআপ এ চার দল যাবে চূড়ান্তপর্বে। চূড়ান্তপর্বে আবার আগে থেকেই চার দল জায়গা নিশ্চিত করে রেখেছে। এই চার দল হলো স্বাগতিক থাইল্যান্ড, গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী জাপান।

বাছাই পর্বের শুরু থেকেই বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলে এসেছেন, সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ভিয়েতনামের বিপক্ষে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন। ভুল বলেননি ছোটন। যেখানে বাহরাইনের বিপক্ষে ১০-০, লেবাননের বিপক্ষে ৮-০, আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭-০ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় মারিয়ারা, সেখানে ভিয়েতনামকে হারাতে বেগ পেতে হয়েছে। জয়ের ব্যবধান থেকেই তো স্পষ্ট বোঝা যায় ভিয়েতনামের জালে গোল দিতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে।
কাল ভিয়েতনামের জালে বাংলাদেশ প্রথম গোলটি দেয় প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। ভিয়েতনামের গোলরক্ষক থি ওয়ান তহুরার নেওয়া শট গ্রিপে নিতে ব্যর্থ হলে সামনে দাঁড়ানো শামসুন্নাহার জুনিয়র বল সামনের দিকে ঠেলে দেন। দৌড়ে এসে সেই তহুরাই নিঁচু হেডে বল জালে জড়ান। গোলের আনন্দ মাঠ ছাপিয়ে ছুঁয়ে যায় গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শক-সমর্থকের মাঝেও।