নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন-এ অভিযোগ করা চরম নিষ্ঠুরতা। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অফিসার হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন অন্য সব বাঙালি অফিসার, জওয়ানদের মতোই। সহকর্মীদের সাথে নিয়ে হানাদার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ‘মেজর জিয়া বলছি’ বলে তাঁর ২৭ মার্চের ঘোষণা বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত, হতবিহ্বল বাঙালি জাতিকে বেঁচে থাকার প্রতিরোধের শক্তি জুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নামে তাঁর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা। ঘোষণা পাঠকারী যে নামেই অভিহিত করা হোক, বাস্তবতা ছিল গোটা জাতির প্রাণশক্তি ছিল মেজর জিয়ার বেতার ঘোষণা। তিনি বঙ্গবন্ধুর নামেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটাও ঐতিহাসিক সত্য।
একাত্তরের সেই অবদানই জিয়াউর রহমানকে মুক্তিপাগল বাঙালির হৃদয়ের গভীরে স্থান করে দেয়। আওয়ামী লীগবিরোধী অনেকে জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে এক কাতারে শামিল করা, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করার ধৃষ্টতাও প্রদর্শন করেন। অথচ জিয়াউর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ন্যূনতম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কোনো মন্তব্য করেননি। কোনো রকম বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেন এমন কথাও কেউ বলতে পারেন না। জিয়াউর রহমান বিখ্যাত সাপ্তাহিক বিচিত্রায় নিজের লেখা এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মর্মান্তিক মৃত্যুর কয়েক মাস আগে তৎকালীন দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মহান জাতীয় নেতা হিসেবে অভিষিক্ত করে সম্মান জানিয়েছিলেন। সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের আবির্ভাব ঘটানোর পর কখনোই তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করেননি। ইদানীং বিরোধী দল, এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাও যা করতে দ্বিধা করেন না।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও রাজনীতিবিদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হননি। চেষ্টাও করেননি। যদিও রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। একাত্তরের চরম দুঃসময়ে বাঙালির জীবন-মরণ লড়াইয়ে মেজর জিয়া তাদের প্রাণশক্তি জুগিয়ে মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। সেই থেকেই জিয়া একটি শ্রদ্ধা, ভালোবাসার নাম। যাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক দলের জন্ম ও প্রতিষ্ঠা দেন জিয়াউর রহমান। মৃত্যুর পর তাঁর বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়া বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত দল পুনর্গঠন, নেতাকর্মীদের সাহস ও শক্তি জুগিয়ে সারা দেশে দলকে সংগঠিত করেন। সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের দুঃশাসন, অত্যাচার, নির্মমতার খড়্্গ নেমে আসে খালেদা জিয়া ও তাঁর বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর ওপর। আপসহীন নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন খালেদা। গণমানুষের হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, হানাদার পাক বাহিনীর সক্রিয় সহযোগী আলবদর, রাজাকার, আলশামসের প্রতিষ্ঠাতা, পৃষ্ঠপোষক জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের অকৃত্রিম ও ঐতিহাসিক মিত্র, একান্ত সহযোগী জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা ও সরকারের সঙ্গী করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজেকে বিতর্কে আনেন। সরকারপ্রধান ও অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তির শীর্ষ নেত্রী হিসেবে অনেক সাফল্য, অনেক অর্জনের পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতার সীমাবদ্ধতা নিয়েও বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত, নিন্দিত রাজনীতিবিদের নাম। নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা, সরকার পরিচালনায় দৃঢ়তাসহ বিভিন্ন গুণাবলি দীর্ঘকাল গণমানুষের হৃদয়ে অমলিন রাখবে তাকে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। রাজনৈতিক জীবনের অবসানের পর পুত্র তারেক রহমান, আরাফাত রহমান রাজনীতিতে আসবেন বলেই সাধারণভাবে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন যাবৎই অসুস্থ। শারীরিক, চরম অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা বিবেচনায় নিয়েই সরকার তাঁকে কারাগার থেকে গুলশানের বাসভবনে অবস্থানের সুযোগ দেয়। প্রচলিত জেল কোডে এ ধরনের বিধান না থাকলেও মানবিক কারণে সরকারপ্রধান তা করেন। শেখ হাসিনার এ পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রচলিত বিধিবিধান-বহির্ভূত ব্যবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানা থেকে সরিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার অনুমতি দিতে বাধা কোথায়?
আইনগত কিছু সীমাবদ্ধতা যদি থাকেও, মানবিকতার কাছে তা কি বাধা হতে পারে! মানুষের জন্যই আইন। তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী, সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ও শক্তির শীর্ষ নেত্রী হিসেবেও কি তিনি এই বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন না। বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে সরকারের আইনগত সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্যও এভাবে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না। অর্থাৎ অনুমতি লাভ করতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরে যেতে হবে। সেখান থেকেই আবেদন করতে হবে-আইনমন্ত্রীর দাবি যৌক্তিক মেনে নিয়েও বলা অযৌক্তিক নয় যে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানে অবস্থানরত বাসভবন ফিরোজা ভিলাকে সরকার সাবজেল ঘোষণা করতেই পারে। সাবজেল থেকেই তিনি বিদেশে যাওয়ার আবেদন করতে পারেন। আসলে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা নিয়ে। বিএনপির মহাসচিবসহ অন্য নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার তাঁর যথাযথ চিকিৎসা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দিয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডা. জাফরউল্লাহ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান, মুখ, নাকসহ দেহের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, বিএনপির নেতা অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই সংকটজনক। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে কোনো ব্রিফ করছেন না। তারা মুখ সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছেন। কেন এই রহস্যজনক আচরণ? গত কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে দুঃখজনক সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশ, র্যাবকে সতর্ক রাখা হয়েছে। কোনো ঘোষণা আসার সাথে সাথে সকল বাধা-নিষেধ অমান্য করে রাজধানী, মহানগরসহ সারা দেশে বিএনপির কর্মীরা ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন। মূলত সেই আশঙ্কা থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থানীয় চিকিৎসকদের সক্ষমতার বাইরে বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আইনগতভাবে বিদেশে পাঠানো যায় কি না পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। কী নির্মম হাস্যকর!
বিস্ময়করভাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জবাবে শুধু বলেছেন, মানুষের জীবন-মৃত্যু সবই আল্লাহর হাত। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি মহল থেকে বিষ প্রয়োগই যদি করা হয়ে থাকে, তাহলে গুলশানের বাসায় থাকা অবস্থায় বিএনপি প্রয়োজনীয় টেস্ট করাল না কেন? বাসা থেকে বেগম জিয়া কয়েকবার হাসপাতালে গেছেন। একাধারে দীর্ঘ সময় হাসপাতালেও ছিলেন। খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডাক্তাররা করোনামুক্ত সনদ দেওয়ার পরই তাঁকে ছাড়া হয়। করোনার মরণছোবল থেকে রক্ষা পাওয়ার সনদ লাভের কয়েক মাস পরও করোনার জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার এবং তাতে প্রাণহানির বেশ কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে। গত নভেম্বর মাসেই রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে একজন পুলিশ অফিসারের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। অথচ তিন মাস আগে এই হাসপাতাল থেকেই করোনামুুক্তির সনদ দেওয়া হয়েছিল। করোনা ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া লিভারের জটিল সমস্যায় রয়েছেন। যার চিকিৎসা করার মতো সরঞ্জামাদি বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে এসব চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। হাঁটুর ব্যথাসহ আরো কয়েকটি সমস্যা জটিল আকারেই বেড়ে উঠেছে। এসব চিকিৎসা দেশেই করা সম্ভব এবং যথাযথ চিকিৎসাও করা হয়। কিন্তু মারাত্মক জটিল রোগের চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেওয়ায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও বিষপানে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ আগে কখনো করেননি। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে, বিদেশে পাঠানোর মতো শারীরিক অবস্থা আছে কি না বিবেচনা করে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক অভিযোগ আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত এক নয়। তার পরও কথা উঠছে, সরকার শেষ মুহূর্তেও বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত করছে না কেন?
বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রামী, ত্যাগী জীবনের অবসান কারোরই কাম্য নয়। তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে টিকে গেলেও তাঁর পক্ষে সুস্থ, স্বাভাবিক রাজনৈতিক জীবনযাপন সম্ভব হবে না। তাঁর শুভাকাক্সক্ষী, সুহৃদদের আক্ষেপভরা কথা, মানুষ তো একদিন যাবেই। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কী রেখে যাচ্ছেন! তাঁর কনিষ্ঠ ও জ্যেষ্ঠ পুত্রের কাউকেই লেখাপড়া করাতে পারেননি। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো স্কুল ডিঙালেও কলেজ ডিঙাতে পারেননি। বড় ছেলে তারেক রহমান স্কুল, কলেজ পেরোলেও উচ্চশিক্ষা নিতে পারেননি। লেখাপড়ার কাজটি ছিল তার জন্য মারাত্মক কষ্টকর ও বিরক্তিকর। ছোট ভাই কোকো বিয়ে করলেও সংসারী হতে পারেননি। ইয়াবা, হেরোইনসহ নানা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত পৃথিবী থেকে দুর্ভাগ্যজনক বিদায় নিতে হয় কোকোকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের পুত্রদের এই পরিণতি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরও কাম্য হতে পারে না। তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। তাঁর পক্ষে মুক্তভাবে দেশে আসা সম্ভব নয়। কোনো দিন বিএনপি ক্ষমতায় এসে তাঁর দেশে ফেরার পথ করে দেবে-এই দুরাশা নিয়ে আছেন তিনি। অর্থাৎ তারেক রহমানেরও রাজনৈতিক জীবনের দুঃখজনক পরিসমাপ্তি ঘটছে। তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। তবে সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরই এতে তেমন আগ্রহ নেই। যদিও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন না কেউ। তারেক রহমান নিজেও স্ত্রী জোবাইদাকে রাজনৈতিক ময়দানে পাঠাতে আগ্রহী নন।
এমন অবস্থায় জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির ভবিষ্যৎ গভীর সংকটাপন্ন। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে গোলযোগ, এমনকি বিভক্তির আশঙ্কাও হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। কাউন্সিল করার কথা বলা হলেও ভাঙন ঠেকাতে নির্বাচনের আগে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও কম। হঠাৎ করেই বিএনপি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তারেক রহমান খালেদা জিয়ার উত্তরসূরি। কী কারণে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুমুখে রেখে এই ঘোষণা-খালেদা জিয়ার পুত্র হিসেবে এটা তো কারোরই অজানা নয়। তাহলে কেন এই দুঃখজনক ঘোষণা?