
এবিএম সালেহ উদ্দীন :
আমি, একটি কবিতা লিখতে চেয়েছি
শান্তির অমোঘে আঁকতে চেয়েছি প্রিয় জন্মভূমি
অবহেলিত কবিকে যুক্ত করতে চেয়েছি সুশীতল ছায়ায়
কিন্তু, তোমরা তা করতে দিলে না!
অধিক আক্রোশে ছড়িয়ে দিলে আগুন
বধ্যভূমি ফিলিস্তিন, অবরুদ্ধ কাশ্মীর, রোহিঙ্গার
সবুজ অরণ্যকে যারা বানিয়েছে কঙ্কালের শ্মশানঘাট
তোমরা তাদের স্বাগত জানাও
স্বৈরতন্ত্রের অগ্নিমহড়ায় উগ্রতার বিষ্পাপে
পাহাড়ি মোল্লায় করেছে যারা বিবেক সমর্পণ (!),
Ñতোমরা তাদের জয়গান করো
ওই যে দ্যাখো,
ভারত, বাংলায় হাঁটু গেড়ে বসে আছে বেফাস মৌলবাদ
দ্যুতি-ল্যাংগটে রূপ ধরেছে আধুনিক ধর্মবাজে!
ওরা এখন
রাইফেল হাতে টাট্টু দেহে হুইসেল বাজায়! অন্যদিকে
গো-মূত্র পানে যারা পিশাচি সবকে উদ্বুদ্ধ করে
তোমরা তাদের বন্দনা করো!
Ñআর স্বৈরতন্ত্র?
চতুর্দিকে তাক করা মেশিনগান
জীবন্তকে কঙ্কাল বানাতে বেশি কিছু লাগে না
দুয়েকটি ট্রিগার চালালেই সার
এভাবেই
শোষকের লাল ফিতা উদ্বোধনে সর্বত্র যুদ্ধকেই আলিঙ্গন
তোমরা কি দেখেছ?
ইউক্রেনের নিষ্পাপ বালিকার মুমূর্ষু দেহখানির সাথে
ফিলিস্তিনি শিশুর কী অপূর্ব মিল…
চারপাশের ক্রোধান্বিত যুদ্ধ কেউ পারে না থামাতে
তবু, আমি বলি, নাহ!
তোমরা যুদ্ধ করো না; মানুষ মেরো না ভাই
পৈশাচিকতার ছোবলে এত বিষাক্ত হাহাকার
সন্ত্রাস, আগুন-লাভার জ্বলন্ত পারদে নিশ্চুপ ধরণি
তাই তো মিনতিভরা আকাশ প্রার্থনা-
এসো মেঘ
এসো বৃষ্টি
এসো বর্ষার বিপুল জলধারা
দিগন্তজুড়ে নেমে আসুক স্বস্তি
শান্তির অমিয়ধারায় যুক্ত হোক আরও একটি লাইন-
‘মানুষ, তুমি আবার মানুষ হও…’