ঠিকানা অনলাইন : না ফেরার দেশে চলে গেছেন ফুটবলের জাদুকর দিয়েগো ম্যারাডোনা। ২৫ নভেম্বর বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
আর্জেন্টিনার বুয়েনেস এইরেসের লেনাসে ১৯৬০ সালে জন্ম নেন ম্যারাডোনা। দরিদ্র পরিবারে বেশ কষ্টেই কেটেছে তার শৈশব। পড়াশোনা নয়, ফুটবলের প্রতিই ছিল তার নেশা। সারাক্ষণ বল নিয়ে পড়ে থাকতেন। ১০ বছর বয়সে এস্ত্রেয়া রোজার হয়ে খেলতে নামেন মাঠে।
আসুন একনজরে জেনে নিই ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনাকে :
১৯৬০ : ৩০ অক্টোবর বুয়েনস এইরেস প্রদেশের লেনাস জেলায় জন্ম।
১৯৭৬ : স্থানীয় ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিষেক।
১৯৭৭ : ২৭ ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাঠে নামেন। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ১২০ দিন।
১৯৭৮ : বয়স কম হওয়ার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন।
১৯৭৯ : ২ জুন জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন। অধিনায়ক হিসেবে শিরোপাও জয় করেন।
১৯৮২ : ২১ বছর বয়সে স্পেনে বিশ্বকাপ খেলার জন্য দলের সঙ্গে ইউরোপে পাড়ি জমান। ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নেয়।
১৯৮৪ : ইতালীয় ক্লাব নেপোলিতে যোগ দেন ৪.৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে।
১৯৮৬ : ঈশ্বরের হাতের খ্যাতি আর সঙ্গে সঙ্গে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। ওই বছরই ইউরোপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পান।
১৯৮৭ : নেপোলিকে জেতান ইতালীয় ফুটবলের শিরোপা।
১৯৯০ : সন্তানের পিতৃত্ব-সংক্রান্ত মামলায় জরিমানা। বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা।
১৯৯১ : ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে ইতালি ত্যাগ করতে হয়। কোকেন গ্রহণের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার হন।
১৯৯২ : স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া ফুটবল ক্লাবে যোগ দিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখাতে পারেননি।
১৯৯৩ : সেভিয়া ছেড়ে আবারও আর্জেন্টিনায় ফিরে এলেন। যোগ দিলেন স্থানীয় নোয়েল ওল্ড বয়েজ দলে।
১৯৯৪ : আবার ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে এক ম্যাচ পরই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন। এরপর আর জাতীয় দলে খেলেননি।
১৯৯৬ : মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হন।
১৯৯৭ : ৩৭ বছর বয়সে অবসর নিলেন।
২০০০ : হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উরুগুয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি হন।
২০০২ : মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের আশায় কিউবায় চলে যান।
২০০৩ : ম্যারাডোনা প্রথমবারের মতো তার ছেলের সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে তিনি সব সময় তাকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করে আসছিলেন।
২০০৪ : ১৯ এপ্রিল আরেকবার গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
২০০৮ : আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করে ডিসেম্বর ২০১০ থেকে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ম্যারাডোনা।
২০১০ : জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে পদত্যাগ করেন।
২০১১ : আরব আমিরাতের আল ওয়াসেল ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০২০ : ২৫ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
ঠিকানা/এনআই