এক্সিট রিয়েলটির ফ্র্যাঞ্চাইজি জামান পূরণ করেছে ৫শ মানুষের বাড়ি কেনার স্বপ্ন

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : এম জামান মজুমদার। একজন সফল রিয়েলটর ব্রোকার ও ওনার। ২৬ বছর ধরে এই পেশায় আছেন। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে আশির দশকে স্টুডেন্ট হিসেবে এই দেশে পড়তে এলেও লেখাপড়া শেষ করা হয়নি। নিউইয়র্কে টিকে থাকার তাগিদে কাজ করেছেন রেস্টুরেন্টে। চালিয়েছেন ট্যাক্সিও। আরও নানা পেশায় কাজ করেছেন। একসময় বাড়ি কিনতে গিয়ে নিজেই রিয়েলটর ব্রোকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ২৬ বছর আগে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ পরিবারের বাড়ি কিনে দিয়েছেন। এখন তিনি খ্যাতনামা এক্সিটের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নিয়েছেন। এই কাজে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি। এখন আরও বেশি সেবা দিতে পারবেন বলেন জানান।
এক্সিট রিয়েলটি হাউজিং সেক্টরে ও রিয়েল এস্টেট সেক্টরে একটি জনপ্রিয় নাম। মানুষ বাড়ি, ফ্ল্যাট, ভূমি বেচাকেনার জন্য সহযোগিতা নেন এক্সিট রিয়েলটির। তারা বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। এখন এই এক্সিট রিয়েলটির একটি আনুষ্ঠানিক পার্ট হলেন বাংলাদেশি আমেরিকান এম জামান মজুমদার। তিনি এক্সিটের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েছেন। গত নভেম্বরে এটি লাভ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ এপ্রিল এর শুভ উদ্বোধন করেন। তার কোম্পানির নাম এক্সিট রিয়েলটি প্রাইম। প্রায় ৩০ জনের একটি টিম তার অধীনে কাজ করছে ব্রোকার ও সেলস এজেন্ট হিসেবে। জামান মজুমদার নিজেও একজন ব্রোকার ও ওনার।


এম জামান মজুমদারের এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেক্টর ফ্যাস্টিলো। রিজিওনাল প্রধান ও তিনি নিউইয়র্ক মেট্রো এক্সিটের সিও। এক্সিট কানাডাভিত্তিক কোম্পানি। এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ মরিস। এক্সিটের ৬০টি অফিস আছে আমেরিকায়।
জামান মজুমদার তার ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া ও সফল হওয়ার ব্যাপারে বলেন, আমি ২৬ বছর ধরে রিয়েলটি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রথম এই দেশে স্টুডেন্ট হিসেবে এসেছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে মাস্টার্স করি। এখানে পড়তে এসেছিলাম কিন্তু আর পড়া হয়নি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কাজ করতে হয়েছে রেস্টুরেন্টে ও বিভিন্ন শপে। ট্যাক্সিও চালিয়েছি। তখন প্রথম প্রথম যে কাজ পেতাম, সেটাই করতাম। কারণ এখানে টিকে থাকতে হবে। তাই একসঙ্গে দুটি কাজ করেছি, এমনও নজির আছে। ১৪-১৬ ঘণ্টা কাজ করতাম। কাজ করতে করতে হাতে কিছু পয়সাও হলো। এরপর যখন বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন পরিচয় হয় কোরিয়ান এক ব্রোকারের সঙ্গে। আমি তাকে বাড়ির বিষয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতাম কিন্তু তিনি কিছুই বলতেন না। কিছু বলার হলে আমাকে নিয়ে যেতেন তার বসের কাছে। কোম্পানির মালিকের কাছে। মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম তার ওপর। এরপরও আমি ধৈর্য ধরে বাড়িটি কিনি। বাড়ি কেনার পর যখন ক্লোজিং হলো, তখন ওই ব্রোকার মোটা অঙ্কের একটি কমিশন পেল। ও ইংলিশও ভালো বলতে পারে না। আবার ঠিকমতো বোঝেও না। এরপরও এই ব্যবসায় ভালো করছে। আমি চিন্তা করলাম, আমি এই ব্যবসায় নিজেকে সম্পৃক্ত করব। ওই কোম্পানির সঙ্গে কথা বললাম। তারা আমাকে এই পেশায় সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য সব ধরনের পথ বাতলে দিল। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও শেখাল। এভাবে এই পেশায় জড়িত হয়ে গেলাম।

তিনি বলেন, এরপর আস্তে আস্তে রিমেক্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেলাম। পরে যখন সাফল্য আসতে থাকল, তখন নিজেই কোম্পানি করার কথা চিন্তা করি। গড়ে তুলি হিলসাইড এক্সিকিউটিভ রিয়েলটি। এটি ৭ বছরের মতো পরিচালনা করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত রিমেক্সের সঙ্গে কাজ করেছি।
আমার হিলসাইড এক্সিকিউটিভ রিয়েলটিও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করে। প্রশ্ন আসতে পারে, নিজের কোম্পানি থাকার পরও কেন আমি একটি খ্যতনামা কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম। এটা নেওয়ার কারণ হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। এই দেশে ব্র্যান্ডটা অনেক বড় ব্যাপার। মানুষ ব্র্যান্ডের কাছে বেশি যেতে চায়। আর ব্র্যান্ড হলে তাদের আস্থাও বেড়ে যায়। নভেম্বরে আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনলেও ১৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হলো। এ জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন মানুষ যোগ দেন। এক্সিটের হাই অফিশিয়ালরাও ছিলেন।
একজন মানুষের বাড়ি কেনার জন্য কীভাবে সহায়তা করতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান এবং এখানে যারা সেলস এজেন্ট ও ব্রোকার হিসেবে কাজ করেন, তারা সব ধরনের সহায়তা করতে পারেন। এটা যে কেবল কেনার ক্ষেত্রে তাই নয়, বিক্রির ক্ষেত্রেও হতে পারে। আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষকেই সহায়তা করি। কেবল বাড়ি কেনা বা বেচার জন্য নয়, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমি ক্রয়েও সহায়তা করি। এখন বিভিন্ন ওয়্যারহাউস ও কমার্শিয়াল স্পেসেরও কেনাবেচার কাজ করছি। এ জন্য আগে ক্রেতাদের ঠিক করতে হবে, তারা আসলে কী কিনতে চান।

এ পর্যন্ত কত মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করেছি। তাদের ঘর বেঁধে দিয়েছি। নিউইয়র্কে মানুষ যখন আসে, তখন তাদের বাড়ি করার স্বপ্ন থাকে। তবে সঠিক পরিকল্পনা অনেকেই করতে না পারায় টাকা থাকলেও বাড়ি কিনতে পারেন না। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে একজন অনেক কম সময়েই বাড়ির মালিক হতে পারেন। আমি প্রায় ৫০০ পরিবারের জন্য বাড়ি কিনে দিয়েছি। বিক্রি করে দিয়েছি অনেকের বাড়িই। এখন কমার্শিয়াল স্পেসেরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
ক্রেতাদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি ক্রেতা ছাড়াও আমার বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে স্প্যানিশ। আমরা সাধারণত জ্যামাইকা ও লং আইল্যান্ড সিটিতে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমি, স্পেস বেচাকেনার কাজ করে থাকি।
অনেক মানুষ অর্থ থাকার পরও বাড়ি কিনতে না পারার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হলো সঠিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা না করা। বাড়ি কিনতে হলে আগে থেকেই চিন্তা করতে হবে। একজন রিয়েলটরের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ব্যাংক লোনের বিষয়টি যারা বোঝেন, তাদের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের পরামর্শ নিয়ে সহজেই বাড়ি কেনা সম্ভব।
জামান মজুমদার বলেন, কেউ বাড়ি কিনতে চাইলে তার ৬০-৭০ হাজার ডলারের আয় থাকতে হবে। ট্যাক্স ফাইল ঠিক করতে হবে। ওবার ও ট্যাক্সি যারা চালান, তারা অনেক আয় করেন। কিন্তু তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যসেবা ও ফুডের বিভিন্ন সুবিধা নেন। এতে করে তারা হয়তো সব সময় পুরো ইনকাম দেখান না। বছরে ১৮-২৪ হাজার পর্যন্ত ইনকাম দেখান। কিন্তু যখন বাড়ি কিনতে যান, ওই বছরে দেখান একই পেশায় থেকে তার এক বছরেই এক শ হাজার ডলার ইনকাম হয়েছে। তখন আইআরএসের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ জন্য উচিত হলো তিনি যা আয় করেন, সেই প্রকৃত আয়টি ধারাবাহিকভাবে দেখানো। এতে তিনি সাময়িকভাবে কিছু সুবিধা কম পেলেও ভবিষ্যতে অনেক সুবিধা পাবেন। ভালো আয়, ভালো ক্রেডিট, ভালো ক্রেডিট স্কোর ও ট্যাক্স ফাইল ঠিক থাকলে ভালো।
ক্রেডিট স্কোর ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো আয় ও ব্যয় যা-ই হোক না কেন, তাকে স্কোর বিল্ড করতে হবে ও ভালো স্কোর রাখতে হবে। এ জন্য ক্রেডিট কার্ডের লিমেটের মধ্যে ৩০ শতাংশর বেশি কোনোভাবেই খরচ করা ঠিক নয়। বিলিং টাইমের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিল পে করতে হবে। একবার ক্রেডিট স্কোর নামতে শুরু করলে এটা ওঠানো খুব কঠিন। তাই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া ব্যাংক থেকে লোন দেওয়ার সময় শেষ দুই বছরের ট্যাক্স ফাইলের আয় ও তার ক্রেডিট স্কোরের ইতিহাস দেখে তা দেওয়া হয়। দুই মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টেরও প্রয়োজন পড়ে। ওই দুই মাসের মধ্যে অস্বাভাবিক লেনদেন হলে হবে না। তবে আগে থেকে ব্যাংকে বেশি অর্থ থাকলে কোনো সমস্যা নেই। বাড়ি কেনার জন্য টেন নাইনটি নাইনের চেয়ে ডব্লিউ টু বেশি ভালো। এছাড়া বাড়ি কেনার আগে ৩০ হাজার ডলারে গাড়ি কিনলে তার মাসে মাসে ৫০০ ডলার করে কিস্তি দিতে হয়। এতে লোন পেতে সমস্যা হয়।


এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের মাধ্যমে মানুষের সেবার দুয়ার আরো প্রসারিত হবে বলে তিনি জানান। বলেন, এটি একটি ব্র্যান্ড। এ কারণে আমরা নানা সুবিধা দিতে পারব। সার্ভিসও হবে উন্নত মানের। আমরা যেহেতু কুইন্সে এক্সিটের একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাই বাংলাদেশিরা নিশ্চিন্তে আমাদের কাছে আসতে পারেন এবং সহায়তা নিতে পারেন। সেবাও বিদেশি এজেন্টের চেয়ে বেশি পাবেন।
জামান মজুমদার আরো বলেন, কেবল যে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সেবা দিই তাই নয়, আমরা রিলেটর হিসেবে, ব্রোকার হিসেবে যারা কাজ করতে আগ্রহী, তাদেরও সম্পৃক্ত করি। এখান থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৭৫ ঘণ্টার ট্রেনিং নিয়ে যে কেউ সার্টিফিকেট নিতে পারেন।
অনেকে লাইসেন্স না করেই এই ব্যবসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বেআইনি। কারণ এ দেশে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা যায় না। আমাদের এখানে যারা কাজ করেন, তারা সবাই লাইসেন্সধারী। এ কারণে তাদের সঙ্গে লেনদেনে কোনো সমস্যা নেই। লাইসেন্সধারী রিয়েলটর না হলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তার সঙ্গে কাজ করাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যারা ব্রোকার ও রিয়েলটর, তারা এক্সিটের কাছে দায়বদ্ধ। লাইসেন্স নেই এমন ব্যক্তির ব্যক্তির মাধ্যমে বাড়ি কেনাবেচা করলে পরে কোনো ঝামেলা হলে টাকা ফেরত পাওয়া কঠিন। আমরা এক্সিটের ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ায় এটা বাংলাদেশিদের জন্য গ্র্যান্ড অপরচুনিটি। বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে এমন অফিস নেই। আমাদের এখানে আমি যেমন মেইন ব্রোকার আছি, তেমনি মিহির খান ও মো. আবু সাইদ নামে আরো দুজন অ্যাসোসিয়েট ব্রোকার আছেন। তারাও সহযোগিতা করতে পারেন। এর বাইরে আরও ২৯ জন রয়েছেন, তারাও সহায়তা করতে পারেন।


তিনি বলেন, আমাদের অফিস সম্পর্কে মানুষ এখনো পুরোপুরি জানে না। আমরা এটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আগামী দিনে হয়তো হাজার হাজার মানুষের ঘর বাঁধা ও বাড়ি বেচাকেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
জামান মজুমদার এই ব্যবসায় নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, সততা ও নিষ্ঠা আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমি রিমেক্সের হলোফেম পুরস্কারও লাভ করেছি। হায়েস্ট সেলিং এজেন্ট হিসেবে পুরস্কার পাওয়ার পর আমার উৎসাহ বেড়ে যায়। যদিও একসময় নিউইয়র্কে রিয়েলটদের ব্যবসা খারাপ গেছে। তখন আমারও অনেক লস হয়েছে। তারপরও হাল ছাড়িনি। আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
স্ত্রীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ারও কথা ছিল। এখানে আসার সুযোগ পেয়ে গেলাম, তাই আর হলো না। এখানে আসার পর আমার স্ত্রী সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। দিনের বেলা পাঁচটা পর্যন্ত চাকরি করতেন। রাতে ১১টা-১২টা পর্যন্ত ক্লাস ও লেখাপড়া করতেন। এরপর রান্নাবান্না করতেন। অনেক পরিশ্রম করেছেন। তখন অবশ্য আমাদের কোনো বেবি ছিল না। দুজন থাকায় ঝামেলাও কম ছিল। এরপর আমার ছেলের জন্ম হয়। তার নাম সাদমান জামান। এখন ১১ গ্রেড পড়ে।
জামান মজুমদারের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। পরে ঢাকার উত্তরায় বাড়ি করেছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করুন। বাড়ি ভাড়া দিয়ে সারা জীবন না থেকে বাড়ি কেনার চিন্তা করুন।