ঠিকানা অনলাইন : আবারও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির এক কোটির বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে অন্ধকারে বসবাস করছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন। তীব্র ঠা-ার মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষ নিজেদের ঘর গরম করতে পারছেন না। এতে অবর্ণনীয় দুর্দশা দেখা দিয়েছে। খবর : বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে নিয়মিত ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। ওই ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, সব কিছুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। জেলেনস্কি দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ছয়টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনী ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এমন হামালার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
এসব হামলায় বিভিন্ন জ্বালানি অবকাঠামো ও স্থাপনা এবং অন্যান্য বেসামরিক ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর সবচেয়ে তীব্র বোমা হামলার দুই দিনেরও কম সময়ের মাথায় বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কিয়েভে যখন সকাল হয়, সে সময় সর্বত্র বরফের সাদা আস্তরণ। আর বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকের ঘর গরম হয়নি। শুধু কিয়েভই নয়, অনেক শহরের বাসিন্দাদেরই বিদ্যুৎ না থাকায় প্রাণ সুরক্ষা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাপোরিজিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্কে একটি আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে সেখানে সাতজন মারা যায়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বাঞ্চলে একটি গ্যাস উৎপাদনকেন্দ্র এবং নিপ্রোর একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাও সর্বশেষ এ রুশ হামলার লক্ষ্যের মধ্যে ছিল। এ ছাড়া রুশ হামলার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিনিসিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে বন্দরনগরী ওডেসা এবং উত্তর-পূর্বে সুমির বাসিন্দারা প্রধানত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে পড়েছেন।
এদিকে সদ্য রুশ দখলমুক্ত খেরসনে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেখানে ত্রাণ নিয়ে স্থানীদের মধ্যে কাড়াকাড়ি করতে দেখা গেছে। এদিকে গতকাল আল জাজিরা জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভের সঙ্গে খেরসনের মধ্যে আবারও রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশেষ সামরিক অভিযানের নামে ইউক্রেনজুড়ে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এ অবস্থায়, যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার আশু কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
ঠিকানা/এম