নন্দিনী মুস্তাফী :
এই যে বিকেল! গড়িয়ে দুপুর,
গোধূলির তন্দ্রালু বর্ণচ্ছটায়
আলুথালু এই যে আমি!
মুষড়ে যাওয়া উপড়ে পড়া লতাগুল্ম
পাবক হৃদয় শুধুই কি ক্ষণস্থায়ী?
দেহ যাবে দেহের ভেতর,
জড়িয়ে ধরে কাশের পালক,
বাঁশের ঝাড়ের মাতাল হাওয়ায়
পুকুরপাড়ের লেবুর ঘ্রাণে,
ঘুমের ঘোরে ডাকব কি মাকে?
আতর গোলাপ লোবান মধুর
নয়া পিরান বার্লির ঘ্রাণে;
হাড়কাঁপানো শীতের রাতে
সোঁদা ভেজা মাটির শয্যাতে,
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গোলাপ পানি
ঘুমাও বলে শুইয়ে দিয়ে
চলে যাবে স্বজন জাতি।
এ নেশায় কেমন নেশা;
সহস্র ডাকেও টুটবে না তা;-
ডাকবে আজান, কাঁদবে পাখি
আলোক দিয়ে কোজাগরি!
জানব কি তা টুটলে ঘুম
খুঁজব বাবা ভাইয়ের আলিঙ্গন!
নাই হেথা নাই চতুর্দিকে
বিশ্বচরাচর স্থবির হয়ে,
বলছে যেন;Ñআকুল হয়ে
আসবে না কেউ, আর কোনো দিনই।
একাই তুমি! যাবেও একা।
মা ঘুমিয়েছে কোন সে দেশে?
কোথায় বাবার আপন ভূমি,
ভাই ঘুমিয়েছে নিজ পরবাসে।
এমনই যদি নিয়ম তবে,
তৈরি করে পথটি আমার
পথের বাঁকে মিলিয়ে যাব
এক বুক আজন্ম তৃষ্ণা নিয়ে।