ঠিকানা অনলাইন : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, কী খেলা হবে? ভোট চুরি ও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
২৩ অক্টোবর রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। গুম-খুনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কত মানুষকে তোমরা হত্যা করে আজ বড় বড় কথা বলো! আজ নাকি তারা বাধা পাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা সভা পিটিয়ে পণ্ড করেছে। এই দল কে? এই দলের বিরুদ্ধে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে রাজপথে। আসল মোকাবিলা হবে ডিসেম্বরে।’
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লাখ লোক আপনাদের সঙ্গে নেই। আমাদের সঙ্গে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন ভুলে যান। এ লাখ লাখ লোক নিয়েই খেলা হবে। ডিসেম্বরে বিজয়ের মাস। জনতার বিজয়ের জয়ধ্বনি শুনতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমার ভালো লাগছে। শামীম ওসমান ফাইটার পলিটিশিয়ান। তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের পরপর তিনবার নির্বাচিত মেয়র। তাদের একই মঞ্চে দেখছি। আমার আসা সার্থক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শক্তি এরা। আগামীতে কঠিন দিন আসছে।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই হবে। সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে কী এ সংকট ছিল। এ সংকট বৈশ্বিক। শেখ হাসিনার ঘুম নেই। শেখ রেহানা এখনো বাসে চেপে যাতায়াত করেন। তাদের ঘুম নেই আপনাদের জন্য, জনগণের জন্য। এটা মনে রাখবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি একটা হবে। নতুন নেতা আসতে দেন। বসন্তের কোকিল আছে, দুঃসময়ের লোক নেই। কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। আর কত টাকা দরকার। মানুষ সব লক্ষ করে। কে কী করে তা শেখ হাসিনাও জানে। পদ-বাণিজ্যের কথা যেন না শুনি। ডেকে ডেকে পকেটের লোক বসাবেন, তা চলবে না। এবার তদন্ত করে খোঁজখবর নেব। পয়সা খেয়ে কমিটি করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো হয়ে যান, নিজেদের সংশোধন করুন। যারা এখন ভিড় করে দুঃসময়ে তাদের পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন নেতাদের কি আমাদের দরকার আছে? দরকার নেই।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল।
ঠিকানা/এনআই