এবার সিটিলাইন-ওজনপার্কে লিটল বাংলাদেশ ওয়ের ফলক উন্মোচন

ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন ও কুইন্সের সীমান্তবর্তী সিটিলাইন-ওজনপার্কে ড্রিউ স্ট্রিটের সাথে ওয়ান ও ওয়ান অ্যাভিনিউি এবং লিবিার্টি অ্যাভিনিউর সংযোগস্থলে ‘লিটল বাংলাদেশ ওয়ে’র ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। যা এতদিন লিবার্টি প্লাজা নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশিদের অবদানের প্রতি সম্মানের স্মারক হিসাবে স্থাপিত হয় এই লিটল বাংলাদেশ ওয়ে। গত ১০ মার্চ সিটিলাইন-ওজনপার্ক
কমিউনিটি পেট্রোল, ব্যাকডিস, মসজিদ আল আমান, আল ফুরকান জামে মসজিদ ও ফুলতলী জামে মসজিদসহ কমিউনিটি সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লিটল বাংলাদশে ওয়ের ফলক উন্মোচন করেন ডিস্ট্রিক্ট-৩২’র কাউন্সিল ওম্যান জোয়ান আরিওলা।
কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ খানের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডেনোভান রিচার্ডস, এনওয়াইপিডির ব্রুকলিন নর্থের কমান্ডিং অফিসার স্কট হেন্ডারসন, মেয়র অফিসের প্রতিনিধি প্যাট্রিসিয়া রঘুনন্দন, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি অফিস প্রতিনিধি রোকেয়া আকতার, কমিউিনিটি বোর্ড-১০-এর চেয়ারপার্সন বেটি ব্রাটন, কমিউিনিটি বোর্ড-৯-এর চেয়ারপার্সন শেরি আলগ্রেডো বক্তব্য রাখেন।
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাকডিসের সিইও মিসবাহ আবদীন, সিটিলাইন-ওজনপার্ক সিভিলিয়ান পেট্রোলের প্রেসিডেন্ট ইকবাল আলী, মসজিদ আল আমানের সেক্রেটারি শরীফ উদ্দিন, বোর্ড মেম্বার কবির চৌধুরী, আল-ফুরকান জামে মসজিদের বোর্ড মেম্বার ডা. খালেদ রহমান, ফুলতলী জামে মসজিদের সেক্রেটারি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, উপদেষ্টা গুলজার আলীসহ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই এ শুভ কাজের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জোয়ান আরিওয়ালা বলেন, বাংলাদেশি সম্প্রদায় কতটা প্রশংসিত এবং কতটা মূল্যবান, সেটি কাজের মধ্যদিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি। এখানকার বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ সবাই আমার পরিচিত, চেনামুখ। ব্যবসা, নাগরিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমারা একসাথে কাজ করেছি। বাংলাদেশিদের প্রতি সম্মানের স্বাক্ষর বহন করে এই লিটল বাংলাদেশ ওয়ে। এ সংক্রান্ত বিলটি আনতে পারা আমার জন্য সম্মান এবং সৌভাগ্যের। বিলটি তৈরি এবং সমর্থন পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এ জন্য তিনি সিটি কাউন্সিলের স্পিকার আদ্রিয়ান অ্যাডামস্কে ধন্যবাদ জানান।
অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার বলেন, আপনারা একজন গর্বিত বাংলাদেশি, একজন গর্বিত আমেরিকান। আমি গর্বিত আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে। আপনাদের কারণে আমি অ্যাসেম্বলি মেম্বার, আপনাদের কারণেই আমি সম্মানিত। নিউইয়র্কে অন্যতম বৃহৎ জনগোষ্ঠি হচ্ছে বাংলাদেশিরা। আপনাদের জন্যই আমি এখানে লিটল বাংলাদেশ ওয়েতে দাঁড়িয়ে আছি। এ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। আমি শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলার সৌভাগ্য ও সম্মানিত বোধ করছি। বরো প্রেসিডেন্ট ডেনোভান রিচার্ডস বলেন, এখানকার সমাজ অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ। কুইন্স কাউন্টিতে ১৯০টি দেশের ৩৫০টির বেশি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। অর্থনীতি, কর, প্রকৌশল, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা আশ্চর্য্যজনক ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশিদের প্রতি আমি সম্মান জানাই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা, লাল-সবুজের বিশাল ক্যানভাস ও পাতাকা আর লাল-সবুজ বেলুনে ছোট্ট চত্বরটি যেনো পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে।