এয়ারপোর্ট ও হোটেলের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের কালো পতাকা প্রদর্শন

ঠিকানা রিপোর্ট : জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সর্বত্রই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুলের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একটি অংশ, সাবেক সহ সভাপতি শরাফ হোসেন বাবু ও কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়ার নেতৃত্বে আরেকটি অংশ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লুর নেতৃত্বে অপর অংশ এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিউজার্সি এয়ারপোর্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কালো পতাকা প্রদর্শন করে এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। হোটেল হিলটনের সামনেও আব্দুল লতিফ স¤্রাট , গিয়াস আহমেদ এবং সোলায়মান ভূইয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন মহাজোট সরকারকে ‘ভোটার বিহীন নির্বাচনের অবৈধ সরকার’ আর ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যায়িত করে ‘যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউজার্সীর লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সময় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
বিএনপি’র বিক্ষোভ-সমাবেশ সফল করতে বিএনপি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, জাতীয়তাবাদী ফোরাম, জিয়া মঞ্চ, জিয়া পরিষদ, তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদ প্রভৃতি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা মূলদলকে সার্বিক সহযোগিতা দিেেয়ছে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার-পোস্টার সহ শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। তারা বিএনপি চেয়ারাপার্সন খালেদা জিয়া সহ দলের আটককৃত সকল নেতা-কর্মীর মুক্তিও দাবি করেন। নিউইয়র্ক ছাড়াও নিউজার্সি বিএনপি, ওয়াশিংটন বিএনপি, পেনসিলভেনিয়া বিএনপিসহ অন্যান্য স্টেটের বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। সরকারবিরোধী স্লোগানের মধ্যে ছিলো- গো ব্যাক হাসিনা, হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালো এক সাথে, খালেদা জিয়া জেলে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, তারেক জিয়া বাইরে কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে দিয়ে দাও- ইত্যাদি।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, শামসুল ইসলাম মজনু, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, আকতার হোসেন বাদল, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মাযহারুল ইসলাম জনি, খলকু রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, মোশাররফ সবুজ, গিয়াস উদ্দিন, বাকের আজাদ, ফিরোজ আহমেদ, সাইদুল হক, কাজী আজম, জাহিদ এফ সাদী, মার্শাল মুরাদ, নিউজার্সি স্টেট বিএনপির সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী ও কাউসার শাহীন, জাসাসের সভাপতি আলহাজ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ, ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুক, ডা. তারেক জামান, জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাফেল তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ডালিম, এবাদ চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, জাফর তালুকদার, আবুল বাসার, ফয়সাল, যুব দলের সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ, আহবাব চৌধুরী, নিউইর্ক সিটি বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাহফুজুল মওলা নান্নু, আহবাব হোসেন খোকন, আমানত হোসেন আমান, শেখ হায়দার আলী, রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া, সাইফুর খান হারুন, আবু তাহের, সোহরাব হোসেন, আল মামুন সবুজ, সালেহ আহমদ রুমেল, জি আর সুমন, নুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ভিপি জসিম, খলকুর রহমান, আমিনুল স্বপন, জুবায়ের শাহীন, কাওসার আহমেদ, সুয়েব আহমেদ, নাসির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, ডা. জাহিদ দেওয়ান প্রমুখ।