ঠিকানা রিপোর্ট : গত পহেলা অক্টোবর আনুমানিক বেলা ২টার সময় বাংলাদেশি মহিলা তাসলিমা মজুমদার (৩৫) ওজনপার্কের ৮৪ স্ট্রিট ও আটলান্টিক এভিনিউর কর্নারে হোমলেস এক ছিনতাইকারী কর্তৃক উপর্যুপরী আঘাতে মারাত্মক আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার সময় তাসলিমার চার বছরের সন্তানও ছিল। সন্তান অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ ক্যামেরার মাধ্যমে ছিনতাইকারীকে সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন তাসলিমা মজুমদার ও তার ৪ বছরের ছেলে (নাম জানা যায়নি)সহ স্ট্রলার নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় উল্লেখিত স্থানে ছিনতাইকারী তার পথ রুদ্ধ করে তাসলিমার কাছে ১০ ডলার দাবি করে। তাসলিমা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। ছিনতাইকারী তাৎক্ষণিক তার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে তার চোখে মুখে নাকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে দেয়। ছিনতাইকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যাগ ছুড়ে ফেলে। জানা যায়, ছিনতাইকারীর নাম ড্যারিক ক্রিস (৫৭) ।
সে ইতিপূর্বে বিভিন্ন অপরাধে জেল খেটেছে। ছিনতাইকারী ক্রিস ব্রুকলীনের ঝঅখঠঅঞওঙঘ অজগণ ঐঙগঊখঊঝঝ ঝঐঊখঞঊজ এ থাকে। উল্লেখ্য, ৮৪ স্ট্রিট ও ১০১ এভিনিউর উপর সিটির উঙই কর্তৃপক্ষ মানসিক রোগীর জন্য ভবন নির্মাণ করছে। এ ভবনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ সভা, অনশন, টাউন হল মিটিং কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রতিবাদকারীদের বক্তব্য হলো, এটা আবাসস্থল এলাকা (জঊঝওউঊঘঞওঅখ), স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রীরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে, ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। এখানে মানসিক রোগীর থাকার ব্যবস্থা হলে সামাজিক নিরাপত্তা বিঘিœত হবে, সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবাদকারী সিভিক সংগঠনের মাধ্যমে এসব প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। সিটি প্রশাসন থেকে কোনোরকম ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে মানসিক রোগীর জন্য নির্মিত ভবনে স্থানান্তরের পূর্বেই সেমিনার একজন হোমলেস কৃর্তৃক নিরীহ মানুষের ওপর আঘাত ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে। মানসিক রোগীরা স্থানান্তর হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে! সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গত ৬ অক্টোবর ঘটনাস্থলে কমিউনিটির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সিনেটর ঔঙঝঊচ অউঙইঙ, অঝঝঊগইখণগঅঘ গওকঊ গওখখঅজ, কমিউনিটি অঈঞওঠওঝঞ ঈওঠওঈ খঊঅউঊজ ঝঅগ ঊঝচঙঝঞওঙ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সেক্রেটারি আহমদ এ হাকিম, মকবুল রহিম চুনই, ইঅঈউঐণঝ এর নির্বাহী পরিচালক মিসবা আবদীন উপস্থিত ছিলেন।