ওয়াশিংটন: বাংলাদেশে বসন্ত শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বসন্ত পেরিয়ে চলছে বৈশাখের উৎসব। চারিদিকে আম কাঠালের মৌ মৌ গন্ধ। জৈষ্ঠ মাসকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাঙালিরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এখন বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে আছে। ঠিক যে মুহুর্তে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল ঠিক সেই মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্র থাকে বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা। প্রচন্ড ঠান্ডায় সবকিছুই থাকে ¤্রয়িমান। যুক্তরাষ্ট্রে স্প্রিং শুরু হয় মার্চের শেষে। গাছে গাছে ফুল ফুটে। পাখির কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠে চারিদিক। ঠান্ডা হাওয়া উষ্ণতা ছড়ায় প্রকৃতি। আর এমন দিনেই ১২ মে শনিবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল ভার্জিনিয়ার সাংস্কৃতিক দম্পতি আকতার হোসেন ও ফাহমিদা হোসেন। এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা নানা রঙে নানা ঢঙে নেচে গেয়ে বসন্ত আনন্দে মেতে উঠে।
অনুষ্ঠানে আফসানা সিরাজ, দিনার মনি, কালাচাঁদ সরকার, নাসের চৌধুরী, সীমা খান, ক্লেমন্ট গোমেজ, শেখ মাওলা মিলন, আবু রুমি, শিমুল সরকার, কামরুল চৌধুরী, মিতুল চৌধুরী, বুলবুল আকতার, শামশীষ সুহাষ, শিখা আহমেদ, এমেলিয়া শারমিন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও ফাহমিদা হোসেন শম্পা, সাবরিনা ডোনা ও মাহবুব হাসান সালেহ কবিতা আবৃতি করেন। তবলায় সঙ্গত করেন আশীষ বড়ুয়া।
এদিকে গত ১১ জানুয়ারি ভার্জিনিয়ার ওকটন হ্ইাস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশন করে টাইটানিক – দ্যা মিউজিক্যাল। টাইটানিকের কথা আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে। বিশ্বখ্যাত আরএম এস টাইটানিক যুক্তরাজ্যের জাহাজ নির্মান কোমাম্পানী হোয়াইট স্টার লাইন ব্লু টাইটানিক জাহাজটি নির্মাণ করেছিল। এই জাহাজটির লম্বায় ছিল ৯০০ ফুট এবং এটির উচ্চতা ছিল ১০০ ফুট। তৎকালীন সময়ে টাইটানিক ছিল সবচাইতে লাক্সারী এবং দ্রুতগতী সম্পন্ন জাহাজ। যেটি প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দ্রুত গতীতে চলতে পারত। টাইটানিক ১৯১২ সালে এপ্রিলের প্রথম দিকে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ২২০৬ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে। এর মধ্যে প্রায় ৯শত জনত ছিল জাহাজের ক্রু। কিন্তু এই টাইটানিক নিউইয়র্কে পৌঁছতে পারেনি। তার আগেই বরফের একটি পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে এটি ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এতে জাহাজের প্রায় ১৫১৭ জন যাত্রী ও ক্রু মারা যায়।
টাইটানিকের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিয়ে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র টাইটানিক। হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরুনের পরিচালনায় এই ছবির মুল দুটি চরিত্রে অভিনয় করে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ও কেইট উইনসলেট। একই বছর টাইটানিককে নিয়ে মুরে ইয়েসটেনর কথা ও গান নিয়ে ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল শো শুরু হয় এবং এটিও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে। গত দু সপ্তাহ ধরে ভার্জিনিয়ার ওকটন হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা টাইটানিক মিউজিক্যাল শো করছে স্কুল অডিটরিয়ামে। এই শোতে স্কুলের বাংলাদেশী ছাত্র মেহদী মিয়া সহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে এবং টাইটানিক- দ্যা মিইজিক্যাল দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করে।